স্বীকার ও অস্বীকার’ জ্ঞাপক আয়াত ব্যবহারের বর্ণনাঃ 


জেনে রাখুন যে, দ্বীনের ভিত্তি এবং যার উপর মুক্তি নির্ভর, তা হলাে-পবিত্র কুরআনের সব আয়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। অধিকাংশ ভ্ৰষ্ট সম্প্রদায় পথভ্রষ্ট হয়েছে এ কারণে যে, তারা কতেক আয়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। আর কতেক আয়াতকে অস্বীকার করে বসেছে। যেমনঃ 


কদরীয়া সম্প্রদায়ঃ


✦তারা এ আয়াতের প্রতি ঈমান এনেছে-


انا وما ظلمنهم ولكن كانوا أنفسهم يظلمون.


আমি তাদের উপর জুলুম করিনি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম (অত্যাচার করেছে)। 


✦আর এ আয়াতকে অস্বীকার করেছে,


والله خلقكم وما تموت

 

(আল্লাহ তােমাদের ও তােমাদের কর্মসমূহের স্রষ্টা।)


আর জবরিয়া সম্প্রদায়ঃ


✦এরা এ আয়াতে বিশ্বাস করে, 


وما تشاءون إلا أن يشاء الله رب العالمين

 

(তােমরা কি চাও, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছে তাই করেন, যিনি সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক।)


✦আর এ আয়াতকে অস্বীকার করে, 


(এটা তাদেরকে আমি অবাধ্যতার প্রতিফল দিয়েছি, আর নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী)। 


খারেজী সম্প্রদায়ঃ


✦এরা এ আয়াত বিশ্বাস করে, 

ت يصلونها يوم الدين .وان الفجار لفي جحيم .

(নিঃসন্দেহে পাপীরা কিয়ামত দিবসে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে)। 


✦কিন্তু এ আয়াতকে অস্বীকার করে- 


[নিশ্চয়ই আল্লাহ কুফর (গুনাহ) ক্ষমা করেন না। এতদব্যতীত অন্য সব (পাপ) তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন।]


ভ্রষ্ট মরজিয়া সম্প্রদায়ঃ


✦এ আয়াতে বিশ্বাস করে - 


لاتقنطو من رحمة الله ان الله يغفر الذنوب جميعا الم.


(আল্লাহর করুণা থেকে নৈরাশ হয়াে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সকল পাপ ক্ষমা করে দিবেন, নিঃসন্দেহে তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।


✦অথচ তারা এ আয়াতকে অস্বীকার করেঃ


(যে কেউ পাপ কর্ম করবে, তাকে তার প্রতিফল প্রদান করা হবে)। এ ধরনের অসংখ্য দৃষ্টান্তে কালাম শাস্ত্ৰসমূহ ভরপুর

Top