ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের মসজিদে নামায আদায় করা জায়েজ কিনা?

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম


নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম বিধান, যা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ বিবেকসম্পন্ন নর-নারীর উপরই ফরজ। সেই সাথে পুরুষের জন্য রয়েছে মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান। এই বিধান কি শুধুই পুরুষের জন্য নাকি নারীর জন্যও? কুরআন ও হাদিসে কী এসেছে? নারীরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়বে কিনা এ নিয়ে আমাদের সমাজে বিতর্ক পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত এটি কোনো বিষয় নয়। কেননা, হাদিসে এর স্পষ্ট সমাধান রয়েছে। পবিত্র কুরআনুল করিমে আল্লাহ তা‘আলা নারী জাতিকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করেছেনÑ ‘আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলি যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো।’

হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ ছিল সোনালী যুগ, সে যুগের মানুষদেরকে বলা হত স্বর্ণ মানব। মুসলিম নারীরাও ছিলেন ঈমানী চেতনায় বলীয়ান, যাদের অন্তর ছিল পূত-পবিত্র, যাদের ব্যাপারে সামান্যতম কুধারণার কল্পনাও করা যায় না। তাঁরা হলেন কেয়ামত অবধি সকল নারী জাতির জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, আদর্শ পরাকাষ্ঠা। যাদের অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অতুলনীয় পর্দা থাকার কারণে ফিৎনার কোন আশংকাই ছিল না। তাঁরা রাতের আঁধারে কেবলমাত্র ফজর ও ইশায় আপাদমস্তক ঢেকে অত্যন্ত আড়ম্বরহীনতার সাথে অতি সংগোপনে খুব হেফাজতে রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইক্তেদার সৌভাগ্য অর্জনার্থে মসজিদে গমন করতেন। তথাপি শান্তির আধার, মানবতার মুক্তিদূত, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে মার্জিত ভাষায়, কোমলভাবে মসজিদে না আসার প্রতি অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের ঘরের কোণকে তাদের জন্য উত্তম, উৎকৃষ্টতম মসজিদ, অধিক সওয়াবের মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে: মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়া অপেক্ষা ঘরে নামাজ পড়ায় পঁচিশ গুণ ছওয়াব বেশী হয়। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কয়েকটি অমূল্যবাণী তুলে ধরার প্রয়াস পেলামঃ

ক. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, নারীর জন্য নির্ধারিত হুজরার নামায অপেক্ষা তার ঘরে নামায পড়া উত্তম, আর ঘরে নামায অপেক্ষা নিভৃত ও একান্ত কোঠায় নামায পড়া উত্তম।

খ. একদা হযরত উম্মে হুমাইদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দরবারে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আপনার সঙ্গে নামাজ পড়তে ভালোবাসি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করলেন, আমি জানি তুমি আমার সঙ্গে নামায পড়তে ভালোবাসো, কিন্তু তোমার ঘরে নামায তোমার বাইরের হুজরায় নামায অপেক্ষা উত্তম। আর তোমার হুজরায় নামায তোমার বাড়িতে নামায অপেক্ষা উত্তম। আর তোমার বাড়িতে নামায তোমার মহল্লার মসজিদে নামায অপেক্ষা উত্তম। আর তোমার মহল্লার মসজিদে নামায আমার মসজিদে নামায অপেক্ষা উত্তম। অতঃপর উক্ত মহিলা সাহাবী নিজ ঘরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নামাযের স্থান নির্ধারণ করে নিলেন এবং আমরণ তাতেই নামায আদায় করলেন।

গ. উম্মুল মুমিনিন হযরত উম্মে সালমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, গৃহাভ্যন্তরই হলো নারীদের জন্য উত্তম মসজিদ।

উপরোক্ত সহিহ হাদিসসমূহ দ্বারা নি¤েœাক্ত বিষয়াদি প্রমাণিত হয় : ক. নারীদের নামাযের জন্য তাদের নিজ গৃহকোণ মসজিদ অপেক্ষা উত্তম। খ. রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেই নারীদেরকে মসজিদে গমনের প্রতি নিরুৎসাহিত করেছেন। গ. আর হাদিসের কয়েকটি বর্ণনা, যা নারীদের মসজিদে আসা প্রসঙ্গে পাওয়া যায়,(যেমন: যদি নারীরা তোমাদের নিকট মসজিদে গমনের অনুমতি চায়, তাহলে তোমরা তাদেরকে অনুমতি দিয়ে দাও। ‘তোমরা তোমাদের নারীদের মসজিদে যাতায়াতে বাধা দিও না। তবে তাদের ঘরই তাদের (নামাযের জন্য) উত্তম স্থান।’ ‘তোমাদের নারীদেরকে রাতের বেলায় মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেবে।’ ) তা প্রাথমিক যুগের কথা, তখন নারী- পুরুষ কেউ ইসলামের সকল মাসআলা জানতেন না, তখন কয়েকটি কঠিন শর্তসহকারে রাতের আঁধারে নির্দিষ্ট দরজা দিয়ে একদম পেছনের কাতারে নারীদের দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দৈনন্দিন জীবনের নিত্য নতুন শরীয়তের বিভিন্ন হুকুম, আহকাম অবতীর্ণ হত, সে সকল বিষয় জানার জন্যও মহিলাদের মসজিদের জামাআতে আসার প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া মহিলাদের অনেক জটিল বিষয়ে মাসআলা জানার প্রয়োজন হত, যা স্বয়ং রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই কেবল সমাধান দিতে পারতেন। তাই নারীদের মসজিদে আসার ব্যাপারে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কিতাবাদি, আলেমদের ওয়াজ, নসীহত ও আরো বিভিন্ন পদ্ধতিতে শরীয়তের বিষয়াদির প্রচার-প্রসার ঘটেছে, কাজেই মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণের কোন প্রয়োজন নেই। সুতরাং ওইসব হাদিস দ্বারা বর্তমানে নারীদের মসজিদে গমন জায়েয বলা যাবে না।

উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিীকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখতেন যে, নারীরা সাজসজ্জা গ্রহণে, সুগন্ধি ব্যবহারে ও সুন্দর পোশাক পরিধানে কী পন্থা উদ্ভাবন করেছে, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দিতেন, যেমন নিষেধ করা হয়েছিল বনী ইসরাঈলের নারীদেরকে।

হযরত আমর শাইবানী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: আমি (এ উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ফিকাহবিদ) সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে দেখেছি যে, তিনি জুমু’আর দিনে নারীদেরকে মসজিদ হতে বের করে দিতেন এবং বলতেন, তোমরা নিজ ঘরে চলে যাও, তোমাদের জন্য এটাই উত্তম।

আমীরুল মুমেনীন হযরত উমর ফারুক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর যুগে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) ছোট ছোট পাথর মেরে মহিলাদের মসজিদে গমনে বাধা দিতেন।

বুখারী শরিফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উপরোক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, ‘হযরত আয়েশা ছিদ্দিীকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) -এর এই মন্তব্য তো রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দুনিয়া থেকে বিদায়ের কিছুদিন পরের নারীদের সম্পর্কে। অথচ আজকের যুগের নারীদের উগ্রতা আর বেহায়াপনার হাজার ভাগের এক ভাগও সে যুগে ছিল না। তাহলে এ অবস্থা দেখে তিনি কী মন্তব্য করতেন?’ আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) নিজ যুগ তথা হিজরি নবম শতাব্দীর নারীদের সম্পর্কে এ কথা বলেছেন। তাহলে আজ হিজরি পঞ্চদশ শতাব্দীতে সারা বিশ্ব যে অশ্লীলতা আর উলঙ্গপনার দিকে ছুটে চলেছে, বেপর্দা আর বেহায়াপনার আজ যে ছড়াছড়ি, মেয়েরা যখন পুরুষের পোশাক পরিধান করছে, সম্পূর্ণ বেপর্দা হয়ে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঠিক সে মুহূর্তে অবলা মা-বোনদের সওয়াবের স্বপ্ন দেখিয়ে মসজিদে আর ঈদগাহে টেনে আনার অপচেষ্টা বোকামি কিংবা ধৃষ্ঠতা ছাড়া কিছুই নয়। অথচ এর জন্য দলিল দেওয়া হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগের নারীদের দ্বারা। এ যুগের নারীরা কি সে যুগের নারীদের মতো? কস্মিনকালেও নয়। তা সত্ত্বেও সে যুগেই নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে কিভাবে এ যুগের নারীদের মসজিদে ও ঈদগাহে গিয়ে নামাযের জন্য উৎসাহ দেওয়া যায়? বরং বর্তমানে নারীদের বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, পর্দাহীনতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিতনা-ফ্যাসাদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এসব ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে বাঁচার জন্যই মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: ‘ফিতনা-ফ্যাসাদ হত্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধ।’

[সূরা বাকারা: আয়াত-১৯১] তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ফাতওয়া হলো- বর্তমান ফিৎনার যুগে কলুষযুক্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বৃদ্ধা, যুবতী, কিশোরী, কোন মহিলারই মসজিদে গমন বৈধ হবে না। [উমদাতুলক্বারী, ২/৪২০] 


মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, তারাবীহ ও ঈদের নামাযসহ যে কোন নামায জামাআতে আদায় করার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়া বা মসজিদে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী।”

আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/১১৭২;

‘আল ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ’, ১/৩১১-৩১২;

দুররে মুখতার,১/৩৮৩, গায়াতুল আওতার ১/ ২৬৩; গায়াতুল আওতার ১/ ২৬৩


অতএব, কুরআন ও হাদীসের আলোকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মুফতীগণের নির্ভরযোগ্য অভিমতের ভিত্তিতে এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নারীদের মসজিদে গিয়ে পুরুষদের সাথে নামাজ পড়া সম্পূর্ণ শরীয়ত বহির্ভূত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ না করলেও, গমন করার প্রতি নিরুৎসাহ প্রদানই একথা প্রমাণ করে যে, তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আন্তরিক ইচ্ছা ছিল যে, নারীরা যেন ঘর থেকে বের না হয়। তবে বিশেষ কিছু ফায়েদা ও প্রয়োজনে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেন নি। কিন্তু পরবর্তিতে সাহাবায়ে কেরামের যুগে যখন সে ফায়েদা ও প্রয়োজনের অবকাশ রইল না, তখন সাহাবায়ে কেরাম চিরকালের জন্য রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওই আন্তরিক ইচ্ছার বাস্তবায়ন করেছেন।

হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর যুগে যখন মহিলাদের পরিবর্তিত অবস্থা পরিলক্ষিত হয় এবং ফিতনার আশঙ্কাও দিন দিন বাড়তে থাকে, তখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দীকা, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) সহ বড় বড় সাহাবায়ে কেরাম নারীদের মসজিদে না আসার আদেশ জারি করলেন। অন্য সাহাবায়ে কেরামও এ ঘোষণাকে স্বাগত জানালেন। কেননা তাঁরা জানতেন, মহিলাদের মসজিদে আসতে নিষেধ করার মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর নির্দেশের বিরোধিতা করা হয়নি; বরং তাঁর ইচ্ছারই প্রতিফলন হয়েছে। তাই এটার উপর সকল সাহাবায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেন। সুতরাং এটা সর্বকালের সর্বসাধারণ সকলের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।

বাদাইউস সানাঈ ১/১৫৬, কৃত:আল্লামা কাছানী

আর এই সর্বসম্মত হুকুম উপেক্ষা করে বৈধতার ফতোয়া দেয়া ও তা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা চালানো ঈমানদারের কাজ নয়। কোরআনুল করিমে ইরশাদ হচ্ছে: “যারা হযরত সাহাবা-ই-কিরামগণকে (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) ইখলাসের সাথে অনুসরণ করবে, তাঁদের প্রতিও আল্লাহ্ তায়ালা সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহ্ তায়ালার প্রতি সন্তুষ্ট।”

[ সূরা তওবা:১০০] হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অবশ্যই পালনীয়।”

[সুনানে আবূ দাউদ; জামে তিরমীযী; মুসনাদে আহমদ;

সুনানে ইবনে মাজাহ; মিশকাত; মিরকাত] হ্যাঁ, যদি কোথাও যাওয়ার পথে নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশংকা হয় এবং নারীদের মসজিদে যাওয়ার পরিবেশ সম্পূর্ণ অনকূল হয়, তবে তাদের শালীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার পুরোপুরি নিশ্চয়তা থাকার শর্তসাপেক্ষে সফররত নারীরা মসজিদে (পৃথক নারী ইবাদতখানায়) গিয়ে নামাজ পড়তে পারবে।


তথ্যসূত্রঃ

– সূরা আহযাব ৩৩

– মসনদে ফেরদাউস, কৃত: ইমাম দায়লামী; সুনানে আবু দাউদ; মুসনদে আহমদ; ত্ববারানী ; ইবনে হাব্বান; মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক; দায়লামি,২/৩৮৯

– সুনানে আবু দাউদ, হাদীস :৫৭০

– মুসনাদে আহমদ; সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস:-১৬৮৯; সহীহ ইবনে হিব্বান; ‘তারগীব-তারহীব’, হাদীস:-৫১৩; ফাতহুল বারি : ২/২৯০

– মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৬৫৯৮; ইবনে খুজাইমা : ১৬৮৪; আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস : ৯১০১

– সহিহ বুখারী, হাদীস:৮৯৯; সহিহ মুসলিম, হাদীস:১০১৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫৬৭

– সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫৬৭

– সহিহ বুখারী, হাদীস:৮৯৯

– মুসলিম শরীফের টীকা দ্রষ্টব্য

– সহিহ বুখারী, হাদীস: ৮৬৯; সহিহ মুসলিম, হাদীস :৪৪৫

– ‘তারগীব-তারহীব’, হাদীস :৫২৩; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদীস : ৫২০১

– উমদাতুল ক্বারী, ২/১৫৬

– উমদাতুলক্বারী: ৬/১৫৮

Top