❏ প্রশ্ন-১৯৬: পুরুষদের জন্য অপ্রয়োজনীয় লোম ক্ষুর দ্বারা পরিষ্কার করা কি আবশ্যক? লোম পরিষ্কার করার পাউডার ব্যবহার করা যাবে কি-না? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: পুরুষদের জন্য অপ্রয়োজনীয় লোম ক্ষুর দ্বারা পরিষ্কার করা জরুরী বরং সুন্নাত তরিকা। এ ক্ষেত্রে মেডিসিন পাউডার ব্যবহার করার অনুমতিও আছে, যা দ্বারা লোম পরিষ্কার হয়। যা খোলাফে আওলা বা অনুত্তম। হ্যাঁ! মহিলাদের জন্য ব্যবহারের অনুমতি আছে। আল্লামা আবদুল হাই লক্ষ্মৌভী (رحمه الله تعالي ) ‘নফউল মুফতি ওয়াস্ সায়েল’ (نفع المفتى والسائل) গ্রন্থে বলেছেন,
هل يجوز قطع شعر العانة بالمراقض ؟ الاستبشار هو خلاف السنة قال الملا على القارى فى المرقات . قال ابن الملك لو ازال شعرها بغير الحلق لايكون على وجه السنة ، وفيه ان ازالته قد يكون بالنورة وقد ثبت انه عليه السلام استعمل النورة على ماذكره السيوطى فى رسالة نعم لو ازالها بالمقراض لايكون اتباعًا للسنة على وجه الكمال .
লোমনাশক পাউডার বা লোশন দ্বারা নাভীর নীচে পরিষ্কার করা জায়েয আছে কি-না? লোম উপড়ানো সুন্নতের খেলাপ- মোল্লা আলী ক্বারী মিরকাত শরীফে বলেছেন, আল্লামা ইবনে মালেক বলেছেন- নাভীর নীচের লোম যদি মুন্ডানো ব্যতিত অন্যভাবে পরিষ্কার করে তবে তা হবে সুন্নাতের খেলাফ। কেউ যদি লোমনাশক পাউডার বা লোশন দ্বারা পরিষ্কার করে, তবে তা আল্লামা সুয়ূতির মতে, জায়েয। যেহেতু তিনি তার রেছালায় হুযূর এরূপ মেডিসিন দ্বারা লোম ছাপ করেন মর্মে বর্ণনা করেন। হ্যাঁ! সেটা যদি কেচি দ্বারা ছাটা হয়, তবে তা যথাযথ সুন্নাত মোতাবেক হবে না।
241. নফউল মুফতি ওয়াস্ সায়েল, কিতাবুল খতর ওয়াল ইবাহা; ফাতওয়া হিন্দিয়া, কিতাবুল কারাহিয়া ফিল খাতানে ও খেছা, পৃষ্ঠা-৩৫৭, ৩৫৮; অনুরূপ দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে উলেখ আছে।
ইমাম ইবনে মাজাহ (رحمه الله تعالي ) তাঁর ‘সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফে’ উক্ত মাসআলার ওপর একটি অধ্যায় باب الاطلاء بالنورة অর্থাৎ- ‘মেডিসিন পাউডার দ্বারা লোম পরিষ্কার করার বিধান কি?’ নামক একটি শিরোনাম কায়েম করেন।
❏ প্রশ্ন-১৯৭: বর্তমানে গাইরে মুকালিদ তথা আহলে হাদীস ও জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা মাযহাব চতুষ্টয় এবং তাদের তাকলীদ ও অনুসরণকে শিরক বলে মাযহারের বিরোধীতা করছে। তাদের এ মনোভাব শুদ্ধ কি-না? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: মাযহাব চতুষ্টয় সম্পর্কে সমস্ত উম্মতের ইজমা বা ঐকমত্য রয়েছে। মাযহাব পরিত্যাগ করা এবং এঁদের বিরোধীতা করা শুদ্ধ হবে না বরং অবশ্যই গোনাহগার হবে। আল-আশবাহ ওয়ান্ নযায়ের গ্রন্থে উল্লেখ আছে,
وما خالف الاربعة فهو مخالف الاجماع .
অর্থাৎ- ‘যারা মাযহাব চতুষ্টয়ের বিরোধতা করল, পক্ষান্তরে তারা ইজমায়ে উম্মতের বিরোধীতা করল।’
242. আল-আশবাহ ওয়ান নযায়ের, পৃষ্ঠা-১৩১, অনুরূপ মোল্লা জিওয়ানও (رحمة الله) বলেছেন। তাফসীরে আহমদী,200. সূরা আলে-ইমরান, পৃষ্ঠা-৩২৬; তাফসীরে মাযহারী,200. সূরা আলে-ইমরান, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৪৬।