মাসআলাঃ ফাসিকের সাক্ষ্যও গ্রহণযোগ্য নয়।
মাসআলাঃ ফাসিকের পিছনে নামায পড়া জায়েয আছে (মাকরূহে তাহরীমী সহকারে) হাদীস শরীফে এসেছে- প্রত্যেক নেক্কার ও বদকারের পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে।
মাসআলাঃ ওয়াজকারীর খুতবা বসে পড়া জায়েয আছে, কেননা উহা ওয়াজিব খুতবা নয়।
মাসআলাঃ কবরের আযাব থেকে নিরাপদ থাকার সুসংবাদ জুমার রাত বা দিনে মৃত্যুবরণকারীর জন্য, দাফন হওয়া ব্যক্তির জন্য নয়, হাদীস শরীফে রয়েছে “যে মুসলিম ব্যক্তি জুমার দিনে বা রাতে মৃত্যুবরণ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।” মুল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন- কবরের ফিতনা দ্বারা উদ্দেশ্য হল- কবরের আযাব ও প্রশ্ন। ২৭০
➥২৭০. মিরকাত শরহে মিশকাত, বাবু আযাবিল কবর, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-১১২।
মাসআলাঃ সামুদ্রিক জাহাজে জাহাজের কর্মচারী ক্যাপ্টেনের তা’বি (অনুসারী)।
মাসআলাঃ হুজুর মুস্তফা (ﷺ) এর নিকট প্রত্যেক উম্মতের অবস্থা পেশ করা হয়। হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন আমাকে আমার উম্মতের ঐ সমস্ত আমল দেখানো হয়েছে যা আল্লাহর নিকট সাওয়াব হিসেবে গণ্য। এমন কি মসজিদ থেকে বের করে নিক্ষেপ করাও আমি ঐ আমল সমূহের মধ্যে দেখেছি, আবু দাউদ, তিরমিযী আর ইবনে খুজাইমা এ হাদীসকে সহী বলেছেন। অপর এক হাদীসে এসেছে- হুজুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন- আল্লাহ তায়ালার যে সমস্ত ফেরেশতা কার্যাবলী পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে তারা উম্মতে মুহাম্মদীর সমস্ত অবস্থা গোপন ও প্রকাশ্য সমস্ত অবস্থা হুজুর মুস্তফা (ﷺ)কে জানিয়ে দিতেন। ২৭১
➥২৭১. আবু দাউদ ও তিরমিযী।