১৫- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ حُرْمَةِ أَكْلِ ثَمَنِ الْـخَمْرِ

٤٢٧- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْـهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِيْ عَامِرٍ الثَّقَفِيِّ، أَنَّهُ كَانَ يُهْدِيْ لِلنَّبِيِّ  كُلَّ عَامٍ رَاوِيَةً مِنْ خَمْرٍ.  وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ ثَقِيْفٍ يُكْنَىٰ: أَبَا عَامِرٍ كَانَ يُهْدِيْ لِلنَّبِيِّ  كُلَّ عَامٍ رَاوِيَةً مِنْ خَمْرٍ، فَأَهْدَىٰ فِي الْعَامِ الَّذِيْ حُرِّمَتْ فِيْهِ الْـخَمْرُ رَاوِيَةً كَمَا كَانَ يُهْدِيْ لَهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : يَا أَبَا عَامِرٍ! إِنَّ اللهَ تَعَالَىٰ قَدْ حَرَّمَ الْـخَمْرَ، فَلَا حَاجَةَ لَنَا فِيْ خَمْرِكَ ، قَالَ: خُذْهَا فَبِعْهَا، فَاسْتَعِنْ بِثَمَنِهَا عَلَىٰ حَاجَتِكَ، فَقَالَ: يَا أَبَا عَامِرٍ! إِنَّ اللهَ تَعَالَىٰ قَدْ حَرَّمَ شُرْبَهَا، وَبَيْعَهَا، وَأَكْلَ ثَمَنِهَا .


বাব নং ২১২. ১৫. মদের মূল্য গ্রহণ করা হারাম


৪২৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুহাম্মদ ইবনে কায়েস হামদানী থেকে, তিনি আবু আমের সকফী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি প্রতি বছর নবী করমি (ﷺ) ’র জন্য আঙ্গুরের এক মশক শরাব (মদ) হাদিয়া পাঠাতেন।


অন্য এক বর্ণনায় আছে, সকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি যার উপনাম ছিল আবু আমের, তিনি নবী করমি (ﷺ) কে প্রতি বছর এক মশক শরাব হাদিয়া দিতেন। যে বছর শরাব হারাম হয় সে বছরও সে এক মশক শরাব পাঠান। রাসূল (ﷺ)  বললেন, হে আবু আমের! নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা শরাব হারাম করে দিয়েছেন। এখন তোমার শরাব আমাদের আর প্রয়োজন নেই। তখন তিনি বলেন, আপনি তা রেখে দিন এবং বিক্রি করে এর মূল্য দ্বারা আপনার প্রয়োজন পুরণ করুন। রাসূল (ﷺ)  বললেন, হে আবু আমের! আল্লাহ তায়ালা শরাব পান করা, বিক্রি করা এবং এর মূল্য খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন। 

(ইত্তেহাফ, ৪/৩৪৯/৩৭২৪)


ব্যাখ্যা: জুযায বলেন, অভিধানে خمر বলা হয় ঐ বস্তুকে, যা জ্ঞানকে আচ্ছাদিত করে রাখে। ইবনুল আনবারী বলেন, মদকে خمر এজন্য বলে, যেহেতু মদ জ্ঞানকে বিলুপ্ত করে দেয়।  মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। জ্ঞানহারা মানুষ পশুর ন্যায়। এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা মদকে হারাম করেছেন। মদকে সমস্ত মন্দ কাজের উৎস বলা হয়। 


❏হযরত ওসমান (رضي الله عنه) থেকে ইমাম নাসাঈ  (رحمة الله) বর্ণনা করেন, اجتنبوا الخمر فانها ام الخبائث তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক, কেননা তা সমস্ত মন্দের উৎসমূল। 

Top