বিষয় নং- ০৪: তোমরা এমনভাবে যিকির কর যাতে মানুষ তোমাদেরকে পাগল বলে।


অনেক আহলে হাদিস আলেম জোরে যিকির নিষেধ করতে গিয়ে উক্ত হাদিসটিকে দ্বঈফ বা জাল বলে থাকেন। যেমন নাসিরুদ্দীন আলবানী তার নিকৃষ্ট গ্রন্থ ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ ওয়াল মাওদ্বুআহ’ গ্রন্থের ২/১৫ পৃষ্ঠায় হাদিস নং ৫১৭ এ বলেন, হাদিসটি দ্বঈফ। অথচ তার কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ তিনি উলে­খ করেন নি। 


❏ উক্ত হাদিসটি হল :


حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشَّافِعِيُّ، بِبَغْدَادَ، ثنا أَبُو إِسْمَاعِيلَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرٍ، وَأَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَيُّوبَ، أَنْبَأَ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثنا أَبُو الطَّاهِرِ، قَالُوا: ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ دَرَّاجًا أَبَا السَّمْحِ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ؓ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ: أَكْثِرُوا ذِكْرَ اللَّهِ حَتَّى يَقُولُوا مَجْنُونٌ


-‘‘হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,  তোমরা বেশি বেশি করে আল্লাহর যিকির কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদের  যিকির দেখে লোকেরা তোমাদেরকে পাগল বলে।’’  ৮৬

➥{ইমাম হাকেম নিশাপুরী : আল মুস্তাদরাক : ১/৬৭৭ পৃ., হা/১৮৩৯, ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তী : আল জামিউস সগীর : ১/২০৭ : হা/১৩৯৭,  ইমাম আহমদ : আল মুসনাদ : ১৮/২১২পৃ., হাদিস:১১৬৭৪ তাঁর এই সনদে রাবি ইবনে লাহি‘আহ রয়েছেন তাই সনদটি, হাসান, এবং ১৮/১৯৫ পৃ: হা/১১৬৫৩ তবে এই সনদে কোন দুর্বল রাবি নেই, ইমাম আবু ই’য়ালা : আল মুসনাদ : ২/৫২১ পৃ.হা/১৩৭৬,  ইমাম ইবনে হিব্বান : আস্-সহীহ : ৩/৯৯ পৃ., হা/৮১৭, ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান : ২/৬৪পৃ. হা/৫২৩, বায়হাকী, দাওয়াতুল কাবীর, ১/৮২ পৃ. হা/২১, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামিউল আহাদিস, ২/৫৭ পৃ. : ৩৮৫৭, ইমাম দায়লামী : মুসনাদিল ফিরদাউস : ১/৭২ পৃ. হা/২১২,  মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১/৪১৪ পৃ. হা/১৭৪৮, ইমাম মুনযির : তারগীব : ২/২৫৬ পৃ. হা/২৩০৪,  ইবনে রজব : জামিউল উলুম : ১/৪৪৪ পৃ. তাবরানী,  কিতাবুদ্-দোয়া,  ১/৫২১ পৃ. হা/১৮৫৯, ইবনে শাহীন, আত্-তারগীব ফি ফাযায়েলে আ‘মাল, ১/৫৬ পৃ. হা/১৫৬, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত,  লেবানন, হায়সামী,  আল-মাকসাদুল উ‘লা,  ৪/৩১৮ পৃ. হা/১৬২৪,  হায়সামী,  গায়াতুল মাকসুদ, ৪/২৮১ পৃ. হাদিস,  ৪৫৬৭, ও মাযমাউদ যাওয়াইদ, ১০/৭৫ পৃ. হা/১৬৭৬১, ইবনে হাজার আসকালানী, ইতরাফুল মুসনাদ, ৬/৩৭৩ পৃ. হাদিস,  ৮৬০২, দারুল ইবনে কাসীর,  দামেস্ক,  সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ১/১৩৮ পৃ. হা/১৪৬,  তিনি ইমাম হাকিমের রায়কে মেনে নিয়েছেন, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ১/২১২পৃ. হা/২৩০৯, শায়খ সুলায়মান বিন ফাসী, জামিউল ফাওয়াইদ, ৪/৪৫ পৃ. হা/৯২১৪, আযলূনী, কাশফুল খাফা, ১/১৮৬ পৃ. হাদিস,  ৪৯৭, তিনি ইবনে হিব্বানের ও হাকিম নিশাপুরীর সহীহ বলা রায়কে মেনে নিয়েছেন, দরবেশ হুত, আস্-সুনানিল মুত্তালিব, ১/৬৫পৃ. শায়খ মুহাম্মদ মাহমুদ খলিল, মুসনাদে জা‘মে, ৬/৪১৯ পৃ. হাদিস,  ৪৫৫৩, ছা‘লাভী, আত্-তাফাসীর, ৩/১১৭পৃ-১১৮ পৃ. আলবানী, সিলসিলাতুস আহাদিসুস দ্বঈফাহ, ২/৯ পৃ. হাদিস, ৫১৭,  ও ১৪/১১৪৫ পৃ. হা/৭০৪২, দ্বঈফু জা‘মেউস সগীর,  ১/১৫৬পৃ. হাদিস,  ১১০৮,  }



সনদ পর্যালোচনা:


সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! ইমাম সুয়ূতি  বলেন, হাদিসটি ‘সহীহ। 


(ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তী : আল জামিউস সগীর : ১/২০৭ : হা/১৩৯৭) 


❏ এ গ্রন্থের ব্যাখ্যায় আল্লামা সান‘আনী লিখেন- رمز المصنف لصحته وقال ابن حجر: حسن -‘‘গ্রন্থকার (ইমাম সুয়ূতি ) হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন এবং (তবে) ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) এটিকে ‘হাসান’ বলেছেন।’’ 


(তানভীর শরহে জামেউস সগীর, ৩/৫৪ পৃ. হা/১৩৯১) 


পাঠকবর্গ! ইমাম সুয়ূতি  একজন মুজাদ্দিদ, হাফেযুল হাদিস, আর আলবানী কী? সে একজন কট্টর বাতিল পন্থী। 


❏ ইমাম হাকিম নিশাপুরী (رحمة الله) বলেন,  


هَذِهِ صَحِيفَةٌ لِلْمِصْرِيِّينَ صَحِيحَةُ الْإِسْنَادِ، وَأَبُو الْهَيْثَمِ سُلَيْمَانُ بْنُ عُتْبَةَ الْعُتْوَارِيُّ مِنْ ثِقَاتِ أَهْلِ مِصْرَ


-‘‘রাবী ‘আবূ হাইসাম’ এটি তাঁর মিশরী পান্ডুলিপি থেকে বর্ণনা করেছেন, সেহেতু হাদিসটির সনদ সহীহ। রাবী ‘আবূ হাইসাম’ যার মূল নাম ‘সুলাইমান বিন উতবা আতওয়ারী’ তিনি মিশরের বিশ্বস্ত মুহাদ্দিসদের একজন।’’ 


(ইমাম হাকেম নিশাপুরী : আল মুস্তাদরাক : ১/৬৭৭ পৃ., হা/১৮৩৯) 


এমনকি ইমাম যাহাবীও তার কথার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন। ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) হাদিসটিকে সহীহ হিসেবে তার ‘আস-সহীহ’ গ্রন্থে সংকলন করেছেন। 



আলবানীর আপত্তি ও নিষ্পত্তি:


আলবানীর দাবী এ হাদিসের সনদে ‘র্দারায’ নামক একজন রাবী রয়েছে তিনি যঈফ রাবী, তাই এটির মান যঈফ। 


❏ ইমাম ইবনে আদী (رحمة الله) উক্ত রাবীর জীবনীতে লিখেন-


عُثْمَانُ بْنُ سَعِيد، قالَ: قُلتُ ليحيى بْن مَعِين دراج أبو السمح؟ فَقال: ثِقةٌ.


-‘‘উক্ত রাবীর বিষয়ে ইমাম ইবনে মাঈন (رحمة الله) কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সে সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’ 


(ইবনে আদী, আল-কামিল, ৪/১০ পৃ. ক্রমিক. ৬৪৭, যাহাবী, মিযানুল ই‘তিদাল, ২/২৪ পৃ. ক্রমিক. ২৬৬৭, ইমাম মিয্যী, তাহযিবুল কামাল, ৮/৪৭৮ পৃ. ক্রমিক. ১৭৯৭) 


❏ ইমাম যাহাবী (رحمة الله) উল্লেখ করেন- وقال عباس - عن يحيى: ليس به بأس. -‘‘মুহাদ্দিস আব্বাস (رحمة الله) ইমাম ইবনে মাঈন (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তার হাদিস গ্রহণ করতে কোন অসুবিধা নেই।’’ 


(যাহাবী, মিযানুল ই‘তিদাল, ২/২৪ পৃ. ক্রমিক. ২৬৬৭) 


❏ আল্লামা মুগলতাঈ (رحمة الله) লিখেন-


وذكره البستي في الثقات في حرف العين، وقال: اسمه عبد الرحمن بن السمح أبو السمح، وكذلك ابن خلفون ووثقه. وقال ابن شاهين في كتاب الثقات


-‘‘ইমাম বুসতী (رحمة الله) তাকে সিকাহ রাবীর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, তার মূল নাম, আব্দুর রহমান ইবনে সামহ, উপনাম আবূ সামহ; এমনিভাবে ইমাম ইবনে খালফুন (رحمة الله) তাকে সিকাহ বলেছেন, ইমাম ইবনে শাহীন (رحمة الله) তাকে সিকাহ রাবীর তালিকায় স্থান দিয়েছেন।’’ 


(মুগলতাঈ, ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৪/২৭৫ পৃ. ক্রমিক. ১৪৭৩) 


❏ এ সনদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে তিনি এবং ইমাম মিয্যী (رحمة الله) উল্লেখ করেন-


وَقَال عَباس الدُّورِيُّ : سألت يَحْيَى بْن مَعِين عَنْ حديث دراج، عَن أَبِي الْهَيْثَمِ، عَن أَبِي سَعِيد، فقَالَ: ما كان هكذا بهذا الإسناد فليس بِهِ بأس، دراج ثقة، وأَبُو الهيثم ثقة.


-‘‘তিনি আবূ হুসাইম (رحمة الله) হতে তিনি আবূ সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত হাদিসের সনদে কোন অসুবিধা নেই। র্দারায সিকাহ এবং আবূ হুছাইমও সিকাহ ’’


(মুগলতাঈ, ইকমালু তাহযিবুল কামাল, ৪/২৭৫ পৃ. ক্রমিক. ১৪৭৩, ইমাম মিয্যী, তাহযিবুল কামাল, ৮/৪৭৮ পৃ. ক্রমিক. ১৭৯৭) 


❏ ইমাম মিয্যী (رحمة الله) উল্লেখ করেন-


وَقَال أَبُو عُبَيد الأجري ، عَن أبي دَاوُد: أحاديثه مستقيمة


-‘‘আবূ উবায়দাহ আজরী (رحمة الله) তিনি ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তার হাদিস সঠিক।’’ 


(ইমাম মিয্যী, তাহযিবুল কামাল, ৮/৪৭৮ পৃ. ক্রমিক. ১৭৯৭) 


❏ এতগুলো মুহাদ্দিস তাকে সিকাহ বলার পরেও তিনি এ রাবীকে যঈফ বলে একে যঈফ হাদিস বলে সিদ্ধান্ত দিলেন, এ ভুয়া তাহকীককারী আলবানী এ রাবীর বিষয়ে সর্বশেষ লিখেছে- ومنه تعلم أن تحسين الحديث -‘‘তার হাদিসের বিষয়ে আমি ‘হাসান’ মর্যাদা সম্পন্ন বলে জানি।’’ 


(আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ ওয়াল মাওদ্বুআহ, ২/১৫ পৃ. হা/৫১৭) 


তারপরও ধোঁকাবাজ এ হাদিসকে যঈফ বলেছেন। এছাড়া এর সমর্থনে আরো একটি হাদিস পাওয়া যায়। যেমন-


وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؓ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -ﷺ-: اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا حَتَّى يَقُولَ الْمُنَافِقُونَ: إِنَّكُمْ مُرَاءُونَ


-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,  রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, তোমরা বেশি করে যিকির কর। মুনাফিকরা দেখে যেন বলতে পারে তোমরা তাদের দেখানোর জন্য যিকির করছো।’’  ৮৭

➥{ইমাম তাবরানী : মু’জামুল কাবীর : ১২/১৬৯ পৃ., হা/১২৭৮৬, ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : হিলইয়াতুল আউলিয়া : ৩/৮০ পৃ., ইমাম বায়হাকী : শু’আবুল ঈমান : ২/৬৪ পৃ., হা/৫২৪,  শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর,  ১/১৫৩ পৃ. হাদিস,  হাদিস,  ১৫৮২, ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ-যাওয়ায়েদে : ১০/৭৬ পৃ. হাদিস,  ১৬৭৬২, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, জামেউস সগীর : ১/১০৪ পৃ., হা/১৩৯৮, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল,  ১/৪১৫ পৃ. হাদিস,  ১৭৫৬,  আলবানী  :দ্বঈফাহ : ২/১৫ পৃ., হা/৫১৬, তিনি বলেন, হাদিসটি দূর্বল।}



❏ এ হাদিসটির সনদ প্রসঙ্গে ইমাম হাইসামী (رحمة الله) বলেন-


رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، وَفِيهِ الْحَسَنُ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ الْجُفْرِيُّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ.


-‘‘হাদিসটি তাবরানী (رحمة الله) বর্ণনা করেছেন, সনদে ‘হাসান ইবনে আবি জা‘ফর’ রয়েছেন, সে দুর্বল।’’ 


(ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ-যাওয়ায়েদে : ১০/৭৬ পৃ. হাদিস,  ১৬৭৬২) 


❏ তবে ইমাম যাহাবী (رحمة الله) তার জীবনীতে উল্লেখ করেছেন- قال الفلاس: صدوق -‘‘আল্লামা ফাল্লাস (رحمة الله) বলেন, তিনি সত্যবাদী।’’ 


(যাহাবী, মিযানুল ই‘তিদাল, ১/৪৮২ পৃ. ক্রমিক.১৮২৬) 


তবে সে দুর্বল বর্ণনাকারী হলেও এ শব্দে আরেকটি মুরসাল হাদিস থাকায় হাদিসটির মান ‘হাসান’ স্তরে পৌঁছেছে।


❏ ইমাম বায়হাকী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حدثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ الشَّعْرَانِيُّ، حدثنا  جَدِّي، قَالَ: حدثنا أَبُو تَوْبَةَ، حدثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، حدثنا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : أَكْثِرُوا ذِكْرَ اللهِ حَتَّى يَقُولَ الْمُنَافِقُونَ: إِنَّكُمْ مُرَاءُونَ


-‘‘তাবেয়ী হযরত আবি জাওযায়ী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, তোমরা বেশি বেশি করে আল্লাহর যিকির কর, যতক্ষণ না পর্যন্ত মুনাফিকরা তোমাদের যিকির শুনে বলে তোমরা তাদের শুনানোর জন্য যিকির করছো।’’  ৮৮

➥{ইমাম বায়হাকী : শু’আবুল ঈমান : ১/৩৯৭ পৃ., হা/৫২৭,  মুনযির, তারগিব ওয়াত তারহীব, ২/২৫৬ পৃ., হাদিস-২৩০৫, ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ-যাওয়ায়েদে : ১০/৭৬ পৃ.,  আযলূনী, কাশফুল খাফা, ১/১৮৭ পৃ., হাদিস-৪৯৭, ইমাম মানাভী, ফয়যুল কাদীর, ২/৮৫পৃ., সাখাবী,  মাকাসিদুল হাসানা,  ১/১৩৮পৃ. হা/১৪৬, দরবেশ হুত, আস্-সুনানিল মুত্তালিব, ১/৬৫পৃ. তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ১২/১৬৯পৃ. হাদিস,  ১২৭৮৬, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর,  ১/২১২পৃ. হাদিস,  ২৩০৮, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১/৪১৪ পৃ. হা/১৭৫৪ ও ১/৪৩৯ পৃ. হাদিস,  ১৮৯৭, }



❏ ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এটি সংকলন করে বলেন- هَذَا مُرْسَلٌ -‘‘এটি মুরসাল।’’ 


(ইমাম বায়হাকী : শু’আবুল ঈমান : ১/৩৯৭ পৃ., হা/৫২৭) 


❏ ইমাম সাখাবী (সাখাবী,  মাকাসিদুল হাসানা,  ১/১৩৮পৃ. হা/১৪৬) এটি সংকলন করে সনদ নিয়ে মুরসাল ছাড়া কোনো কিছুই বলেননি। 


❏ আল্লামা দরবেশহুত লিখেন- حَدِيث مُرْسل. -‘‘এ হাদিসটি মুরসাল হাদিস।’’ (দরবেশহুদ, আসনাউল মাত্তালিব, ১/৬৫ পৃ.) বুঝা গেল এ বিষয়ক হাদিসটির ভিত্তি আছে।

Top