৮- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ طَلَاقِ الْأَمَةِ

٢٩٣- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : ্রطَلَاقُ الْأَمَةِ اثْنَتَانِ، وَعِدَّتُهَا حَيْضَتَانِ.


বাব নং ১৪১. ৮. দাসীর তালাকের বর্ণনা


২৯৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতিয়্যা থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, দাসীর তালাক দু‘টি এবং এদের ইদ্দত হলো দু‘ঋতু। 

(প্রাগুক্ত, ১/৬৭২/২০৭৯)


ব্যাখ্যা: এই হাদিসখানা দু‘টি বিষয়ে শাফেঈ ও মালেকী মাযহাবের বিপরীত হানাফীদের পক্ষে দলীল। প্রথমতঃ তালাকের সংখ্যা নির্ণয় নারীর উপর নির্ভর না পুরুষের উপর নির্ভর? দ্বিতীয়তঃ ইদ্দত কি ঋতু দিয়ে গণণা করা হবে না তুহর দিয়ে? হানাফীগণ উভয় প্রকারে প্রথম পদ্ধতি গ্রহণ করেন আর শাফেঈ ও মালিকীগণ দ্বিতীয় পদ্ধতি গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী যদি গোলাম হয় আর স্ত্রী যদি আযাদ হয় তবে হানাফীদের মতে ঐ মহিলা তিন তালাকে হারাম হবে। পক্ষান্তরে শাফেঈদের মতে দুই তালাকেই হারাম হয়ে যাবে। এভাবে যদি স্বামী আযাদ হয় আর স্ত্রী দাসী হয় তাহলে হানাফীদের মতে ঐ মহিলা দু‘তালাকেই স্বামীর উপর হারাম হয়ে যাবে। কিন্তু শাফেঈ ও মালিকীদের মতে সে ক্ষেত্রে তিন তালাকে হারাম হবে। তালাকের ক্ষেত্রে শাফেঈদের দলীল হল- الطلاق بالرجال والعدة بالنساء “পুরুষের বিবেচনায় তালাক আর নারীর বিবেচনায় ইদ্দত নির্ধারণ হয়।” আহনাফের মজবুত দলীল হলো- মারফু হাদিস যাতে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, তালাকের সংখ্যা নির্ধারণ নারীদের অবস্থার উপর নির্ভরশীল পুরুষদের অবস্থার উপর নয়।

Top