সায়্যিদুনা যায়িদ বিন আরকাম, সায়্যিদুনা আনিসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা এর আক্বিদা
উম্মাতগণের কাছে ভবিষ্যতে যেসব ঘটনা আসবে তার সংবাদ দেয়াঃ-
হযরত আনিসা বিনতে যায়েদ বিন আরকাম (رضي الله عنه) তাঁর সম্মানিত পিতা হযরত যায়েদ বিন আরকাম (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, হযরত যায়েদ (رضي الله عنه) অসুস্থবোধ করলে তাকে দেখার জন্য রাসূল (ﷺ) তাশরীফ নিলেন। ইরশাদ করলেন-
لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْ مَرَضِكَ بَأْسٌ وَلَكِنْ كَيْفَ لَكَ إِذَا عُمِّرْتَ بَعْدِي فَعَمِيتَ؟
-‘এই রোগে তোমার কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু ঐ সময় কী হবে যখন আমার ওফাত হবে আর তোমার হায়াত লম্বা হবে এবং তুমি অন্ধত্ব বরণ করবে?’
তিনি উত্তরে বললেন, আমি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে ধৈর্যধারণ করবো। রাসূল (ﷺ) বললেন,
إِذًا تَدْخُلِ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَاب
-‘‘তুমি বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’
হযরত আনিসা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন,
فَعَمِيَ بَعْدَ مَا مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ ردَّ اللَّهُ بَصَره ثمَّ مَاتَ
-‘‘রাসূল (ﷺ)’র ইন্তিকালের পর তিনি (হযরত যায়দ (رضي الله عنه)) অন্ধ হয়ে যান। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দৃষ্টি ফিরিয়ে দেন এবং এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন।’’ ২৭৪
{২৭৪. খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবীহ, ৩/১৬৭১ পৃ. হা/৫৯৩৯, (ভারতীয় পৃ. ৫৪৩), ইমাম বায়হাকী, দালাইলুন নবুয়ত, ৬/৪৭৯ পৃ., ইমাম ইবনে কাসির, মু‘জিযাতুন্নবী (দ.), ১/৩৩৫ পৃ., ইমাম মুকরীজী, ইমতাউল আসমা, ১২/২৪৮ পৃ. এবং ১৪/১৫৬ পৃ., দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।}
আক্বিদা
রাসূল (ﷺ) অবগত যে, তাঁর উম্মাতের জীবনে কী কী ঘটনা আসবে। এটাও জানেন যে, কিয়ামত দিবসে তার সাথে কী রকম আচরণ করা হবে। নাবী (ﷺ) নিজের সাহাবীদের (رضي الله عنه) সামনে কী সংঘটিত হবে তার সম্পর্কে অবগত ছিলেন।