মহাপাপী ও অভিশপ্ত ইয়াজিদের মৃত্যু সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা রয়েছে।
-----------------------------------------------
━“অনেক ইমামগন ইয়াজিদের প্রতি লানত বা অভিশাপ দিয়েছেন ━
❏ ইতিহাসে স্তম্ভিত আর বিস্ময়কর রেকর্ড করল D. Jakir naik ইয়াজিদকে শেষ পর্যন্ত সম্বোধন করল ""ইয়াজিদ রহিমুল্লাহ"" বলে।
❏ আসুন দেখি সিহাহ সিত্তাহর ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله) ইয়াজিদ সম্পর্কে কি বলেছেন :-
-- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله)
-- মুসনাদে আহমদের প্রনেতা
-- The greatest Imam of Hamboli Mazhab
-- যার জন্ম ১৬৪ হিজরি ওফাত ২৪১ হিজরি
-- যিনি ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর শিক্ষক ছিলেন ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর শিষ্য ছিলেন।
-- যিনি বিখ্যাত ইমাম,মুস্তাহিদ ও মুহাদ্দিস ছিলেন
সেই ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله) লানত করেছেন ইয়াজিদকে।
❏ এ প্রসঙ্গে বর্নিত আছে-
ﺍﻧﺎ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﺣﻤﺪ ﺳﺄﻟﻪ ﻭﻟﺪ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﻟﻌﻦ ﻳﺬﻳﺪ ﻗﺎﻝ ﻛﻴﻒ ﻻ ﻳﻠﻌﻦ ﻣﻦ ﻟﻌﻨﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ؟ ﻓﻘﺎﻝ
ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺪ ﻗﺮﺃﺕ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭ ﺟﻞ ﻓﻠﻢ ﺍﺟﺪ ﻓﻴﻪ ﻟﻌﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻳﻘﻮﻝ ﻓﻬﻞ
ﻋﺴﻴﺘﻢ ﺍﻥ ﺗﻮﻟﻴﺘﻢ ﺍﻥ ﺗﻔﺴﺪﻭ ﻓﻲ ﺍﻻﺭﺽ ﻭ ﺗﻘﻄﻌﻮﺍ ﺍﺭﺣﺎﻣﻜﻢ ﺍﻭﻝﺀﻙ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻟﻌﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ. ﻭﺍﻱ ﻓﺴﺎﺩ ﻭﻗﻄﻴﻌﺔ
ﺍﺷﺪ ﻣﻤﺎ ﻓﻌﻠﻪ ﻳﺰﻳﺪ ؟
অর্থ : হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (رحمة الله) উনার ছেলে হযরত আবদুল্লাহ (رحمة الله) তিনি উনার পিতাকে ইয়াজিদকে লা’নত করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। তিনি ছেলেকে বলেন, আল্লাহ পাক যাকে উনার কিতাব ( কুরআন শরীফে) এ লা’নত করেছেন তাকে লা’নত করা যাবে না কেন ? হযরত আব্দুল্লাহ (رحمة الله) তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক উনার কিতাব পাঠ করেছি। কুরআন শরীফে ইয়াজিদকে লা’নতের সন্ধান পাই নাই। হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (رحمة الله) তিনি উনার ছেলেকে বলেন, আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
হতে পারে তোমরা ফিরে যাবে আর পৃথিবীতে উপদ্রব সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের রেহমী বা জঠর সম্পর্ক ছিন্ন করবে। এরূপ লোকদের প্রতি আল্লাহ পাক তিনি লা’নত করেন। কাজেই ইয়াজিদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি যা করেছে তার চেয়ে অধিক উপদ্রব ও রেহমী সম্পর্ক ছিন্ন করা আর কি হতে পারে ?”
তথ্যসূত্রঃ
➥ তাফসীরে রূহুল মাআনী ২৫ তম খন্ড ৭২ পৃষ্ঠা, সুরা মুহাম্মদ আয়াত নং ২২-২৩
❏ বিশ্ব বিখ্যাত সুন্নী আক্বায়ীদের কিতাব
“আক্বাইদে নাসাফী” কিতাবে বর্নিত আছে –
ﻭﺑﻌﻀﻬﻢ ﺍﻃﻠﻖ ﺍﻟﻠﻌﻦ ﻋﻠﻴﻪ ﻟﻤﺎ ﺍﻧﻪ ﻛﻔﺮ ﺣﻴﻦ ﺍﻣﺮ ﻳﻘﻨﻞ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻭ ﺍﺗﻔﻘﻮﺍ ﻋﻠﻲ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻟﻠﻌﻦ
ﻋﻠﻲ ﻣﻦ ﻗﺘﻠﻪ ﺍﻭ ﺍﻣﺮ ﺑﻪ ﺍﻭ ﺍﺟﺎﺯﻩ ﻭﺭﺿﻲ ﺑﻪ ﻭﺍﻟﺤﻖ ﺍﻥ ﺭﺿﺎ ﻳﺰﻳﺪ ﻳﻘﺘﻞ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭ
ﺍﺳﺘﺒﺸﺎﺭﻩ ﺑﺰﻟﻚ ﻭ ﺍﻫﺎﻧﺔ ﺍﻫﻞ ﺑﻴﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﻤﺎ ﺗﻮﺍﺗﺮ ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺗﻔﺎﺻﻴﻠﻪ ﺍﺣﺎﺩﺍ
ﻓﻨﺤﻦ ﻻﻧﺘﻮﻗﻒ ﻓﻲ ﺷﺎﻧﻪ ﺑﻞ ﻓﻲ ﺍﻳﻤﺎﻧﻪ ﻟﻌﻨﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻋﻠﻲ ﺍﻧﺼﺎﺭﻩ ﻭﺍﻋﻮﺍﻧﻪ
অর্থ- কতক আলেম ইয়াজীদদের প্রতি লা’নত বর্ষন করেছেন। কারন ইয়াজীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার নির্দেশ দিয়ে কাফিরের কর্ম করে। আর যে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, যে উনাকে শহীদ করার নির্দেশ জারী করেছে , যে উনাকে শহীদ করাকে বৈধ বলে মত পোষন করেছে , এসব কান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছে –এরুপ লোকদের প্রতি লা’নত ও অভিসম্পাত দেয়াকে সকলেই বৈধ বলেছেন। আর সত্য হলো, ইয়াজীদ ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার ব্যাপারে রাজি ছিলো। উনার শহাদাত বরনের ব্যাপারে সে উল্লসিত ছিলো। সে নবীজী উনার পরিবারের মানহানী করে আনন্দিত হয় । নাউযুবিল্লাহ ! কাজেই আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইয়াজীদের
ব্যাপারে এতটুকু দ্বীধা করবো না , এমনকি তার ঈমানের প্রশ্নেও না। ইয়াজীদের প্রতি লা’নত ও অভিসম্পাত , ইয়াজীদের সাহায্যকারী দের প্রতি লানত ও অভিসম্পাত। ইয়াজীদের পক্ষ সমর্থন কারীদের প্রতি লা’নত ও অভিসম্পাত।”
দলীল–
➥ শরহে আক্বায়ীদে নাসাফী ১৬২ পৃষ্ঠা!