জাহান্নামে মহিলারা যাবে বেশি
عن عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَال َ إِنَّ أَقَلَّ سَاكِنِي الْجَنَّةِ النِّسَاءُ
হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন থেকে বর্ণিত,নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, জান্নাতে বসবাসকারী মহিলা খুব কম হবে। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় মহিলারা জান্নাতে কম যাবে। ২৬২
২৬২.বুখারী, খণ্ড ২, পৃ. ৭৮৩, মুসলিম খণ্ড ২, পৃ. ৩৫২
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ يقول قالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اطَّلَعْتُ فِي الجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الفُقَرَاءَ، وَاطَّلَعْتُ فِي النَّارِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ
হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আমি জান্নাত দেখেছি, এতে আমি অধিকাংশ দরিদ্র লোক দেখেছি। আর আমি জাহান্নাম দেখেছি, এতে আমি অধিকাংশ মহিলা দেখেছি। ২৬৩
২৬৩.বুখারী, খণ্ড ২, পৃ. ৭৮৩, মুসলিম, খণ্ড ২, পৃ. ২৫২
অসংখ্য হাদীসে রয়েছে, নবী করিম (ﷺ) যতবারই জাহান্নাম পরিদর্শন করেছেন, ততবারই মহিলাদেরকে সেখানে বেশি পেয়েছেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদেরকে বেশি দেখা গেছে। প্রশ্ন হলো মহিলারা বেশি কেন? হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বয়ং ইরশাদ ফরমান, জাহান্নামে বেশি মহিলা হওয়ার কারণ হলো অসামঞ্জস্য কথাবার্তা বলা, অভিশম্পাত জাতীয় কথা বলা। কুৎস রটনা করা বিষাক্ত কথাবার্তা বলা। মনে যা চায় তাই যেখানে সেখানে বলে বেড়ানো, কুৎসারটনা বা গালি-গালাজ করার মধ্যে সকলকে সমান মনে করা, স্বামীর না-শোকরিয়া করা অতীতের কর্মকাণ্ড ঘেঁটে ঘেঁটে বের করে স্বামীর বদনাম করা। পান থেকে চুন খসে পড়লে ঝগড়া আরম্ভ করা, শান্তির জীবন কখনো পায়নি বলে বদনাম রটানো। মা ও বোনেরা! আর কখনো মুখ থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বের করবেন না। এগুলো শয়তানের কাজ। এগুলো আল্লাহর ক্রোধকে ত্বরান্বিত করে জাহান্নামে নিয়ে যায়।