সায়্যিদুনা আবূ আইয়ুব আনসারী (رضي الله عنه)'র আক্বিদা
কবরের আযাবের আওয়ায শ্রবণ করা:
সায়্যিদুনা আবূ আইয়ুব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, সূর্য অস্তমিত হচ্ছিল, তখন রাসূল (ﷺ) বের হলেন এবং কিছু শব্দ শুনার পর ইরশাদ করলেন-
يَهُودُ تُعَذَّبُ فِي قُبُورِهَا
-‘‘ইয়াহুদিদের কবরে আযাব হচ্ছে।’’ ২৩৮
{২৩৮. সহীহ বুখারী, ২/৯৯ পৃ. হা/১৩৭৫, সহীহ মুসলিম, ৪/২২০০পৃ. হা/২৮৬৯, খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৫৫ পৃ. হা/৫৮৯৯, পরিচ্ছেদ: بَاب فِي المعجزات}
আক্বিদা
কবরের মধ্যে আযাবের যে শব্দ হচ্ছে তা নাবী কারিম (ﷺ) শুনেছেন। বরং রাসূল (ﷺ)’র এই ক্ষমতাও রয়েছে যে, তিনি যদি চান তবে অপরকেও আওয়ায শুনাতে পারেন। এটাও জানেন যে, কবরের মধ্যে কি মুসলমান রয়েছে নাকি ইয়াহুদী।
সাহায্যকারীঃ-
সায়্যিদুনা আবূ আইয়ুব আনসারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন যে,
الْأَنْصَارُ، وَمُزَيْنَةُ، وَجُهَيْنَةُ، وَغِفَارُ، وَأَشْجَعُ، وَمَنْ كَانَ مِنْ بَنِي عَبْدِ اللهِ، مَوَالِي دُونَ النَّاسِ، وَاللهُ وَرَسُولُهُ مَوْلَاهُمْ
-‘‘আনসার, মুযায়না, জুহায়না, গাফফার, আশজা‘ এবং বনূ আব্দুল্লাহর মধ্যকার লোকজন অন্য কোন মানুষ ছাড়া আমার জন্য সাহায্যকারী, আর আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) তাদের সাহায্যকারী।’’ ২৩৯
{২৩৯. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৯৫৪পৃ. হা/২৫১৯, পরিচ্ছেদ: بَابُ مِنْ فَضَائِلِ غِفَارَ، وَأَسْلَمَ، وَجُهَيْنَةَ، وَأَشْجَعَ، وَمُزَيْنَةَ، وَتَمِيمٍ، وَدَوْسٍ، وَطَيِّئٍ।, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩৮/৫২৩ পৃ. হা/২৩৫৪৩, সুনানে তিরমিযি, ৬/২২১ পৃ. হা/৩৯৪০, আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৪/৩৭৪ পৃ., ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ৪/১৪০ পৃ. হা/৩৯২৭, ইমাম আহমদ, ফাযায়েলুস সাহাবা, হা/১৬৭৭, ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসনাদ, ১/২৮ পৃ. হা/৩, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, হা/৬৭৯৮}
আক্বিদা
আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টির মধ্যে এমন এমন সব বুযুর্গ রয়েছেন যাঁরা একে অপরের সাহায্যকারী হন। আর রাসূূল (ﷺ) নিজ গোলামদের সাহায্যকারী। আম্বিয়া কিরাম, আউলিয়াদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি এবং আল্লাহর মাকবুল জেনে তাঁদেরকে নিজের সাহায্যকারী মনে করা শিরক নয়, বরং সঠিক ইসলাম এবং সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)’র আক্বিদা।