পঞ্চম প্রশ্নঃ অভিমতে আমার এ উক্তি যা প্রশ্নকর্তা আরবীতে অনুবাদ করার সময় এভাবেই বলেছেন যে, রাসুলে পাক (ﷺ)-এর জ্ঞান থেকে অনু পরিমাণও অদৃশ্য হয়নি। এদ্বারা তােমাদের উদ্দেশ্য এটাই যে, আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত কোন বস্তু অনু পরিমাণও হুজুরে সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর জ্ঞান থেকে অদৃশ্য নয়, অথবা অন্য কিছু। " আমি বলছি, প্রথম জবাব হলাে আমার বক্তৃতার অনুবাদতাে এটা নয়ই।
বাকী রইলাে, কোন অনু যা হুজুরের জ্ঞান বহির্ভূত হয়, তাহলে তা পরিষ্কার। অস্তিত্বহীন বস্তুর দিকে দৃষ্টমান কিন্তু তা প্রশ্নকারীর অনুবাদের বিপরীত, তিনি নিজপক্ষ থেকে মিসকাল (পরিমাণ) শব্দ বৃদ্ধি করেছেন। যা আমার বক্তৃতা নয়। নিঃসন্দেহে তারা এটাই চায় যে, সে খন্ডন ও সন্দেহ যা তার বাক্যে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত উদ্দেশ্য অথবা অল্প। আর এটা বিশুদ্ধ হয়ে যেতাে যদি সে ‘পরিমাণ’ শব্দটি বৃদ্ধি না করতাে এবং এটা জিজ্ঞেস করার জন্য দাঁড়াতো যে, আজলের কোন বস্তু কি হুজুরের জ্ঞান থেকে অদৃশ্য রয়েছে (যদি তা স্বীকার করে) তাহলে এ কথারই প্রমাণ বহন করতাে যে, সে আজলে অণুর অস্তিত্ব স্বীকার করছে, যা পরিস্কার ভ্রষ্ট এবং কুফর।
অথচ, সে শব্দ বৃদ্ধি করে দিয়েছে, জানতে পারেনি যে, আজলে এমন কোন বস্তু নেই যা ‘পাল্লা দ্বারা পরিমাণ করা যাবে, ওখানেতাে একমাত্র আল্লাহই এবং তার মহান গুণাবলীই রয়েছে সুতরাং তার বক্তব্য পরিত্যাজা এবং কুফরের আশংকার দিকে লক্ষ্যণীয় রয়ে গিয়েছে অথবা তাতে তাই প্রকাশিত হয়েছে। এটাই তার পরিণাম যা তার ভাইয়ের জন্য খনন করেছে, অতঃপর এখানে যে কথা হচ্ছে তা আমি বারংবার তােমাদের বলছি এবং পরিষ্কার ভাষায় প্রকাশ করে দিয়েছি। আর আজল’ শব্দের উল্লেখ না আমার বক্তৃতায় আছে, না এ অর্থে যা প্রশ্নকারীর সন্দেহে হয়েছে, যা .. আমার উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয় জবাবঃ এখানে তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর মুসলমান, পুণ্যাত্মা, সুস্থ ব্যক্তিদের। এমন কোন মুসলমানের সাথে খারাপ ধারণা পােষণ করা যাবে।, ভাল ধারণাই রাখতে হবে যদি তিনি এমন কোন কিছু পান, যাতে অন্য দৃষ্টিকোণ রয়েছে, তাহলে তা ব্যাখ্যা করে দোষ-ত্রুটি থেকে প্রত্যাবর্তন করে দেন। দ্বিতীয় স্তর তারা, যারাতাে এর সামর্থ রাখেনা কিন্তু তাদের এক ধরণের সুবিচার রয়েছে। তাদের দ্বীন সামান্য সংরক্ষিত আছে। তারা নিজের ভাইয়ের অন্য নিজ থেকে অসম্ভব কিছু রচনা করেনা, যেন খারাপ ধারণা ও অপবাদের জন্য শক্তি পাওয়া যায়।
তৃতীয় স্তরঃ ঐ ব্যক্তি যারা নি’মাতসমূহ থেকে বঞ্চিতের সীমায় পৌছে গেছে। কিন্তু তাদের চক্ষে সামান্য লজ্জা অবশিষ্ট রয়েছে। সুতরাং খারাপ ধারণায় সে যার অপবাদ দেয় যদি সে তার বিরােধ ব্যাখ্যা পায় তখন তা নিয়ে আর অগ্রসর হয়না। এ জন্য যে, তার চক্ষুর সামনে ঐ বস্তু বিদ্যমান যা তার অপবাদকে খন্ডন করে দেয় এবং তার মুখে লাগাম পরিয়ে দেয়। কিন্তু যে ব্যক্তি হিংসা করেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সীমা অতিক্রম করেছে। সে দেখে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর শুনে ও আপত্তি করে। আর আমি হামলাকারীদের সতর্ক করছি এবং তাদের মৃত্যু শয্যা থেকে রক্ষা করেছি আর এমন মাসয়ালাসমূহের সংযােজন করেছি। তাদের সম্মুখে চমৎকার মাসয়ালা ব্যক্ত করেছি যে, প্রত্যেক। নীচ থেকে নিচতর লােকও তা না মেনে পারে না। কেনইবা মানবে না, আমার বক্তব্যেতাে এটুকুও ছিলােনা যে, এ শব্দ “আজল’ থেকে শুণ্য, বরং তাতে সর্বোৎকৃষ্ট বিশ্লেষণ দ্বারা ব্যাখ্যা ছিলাে যে, এর দ্বারা তাই উদ্দেশ্য যা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে ও ভবিষ্যতে হবে।
সুতরাং এ বিশ্লেষণ কি খারাপ। ধারণার রাস্তা বন্ধ করে দেয়নি? কিন্তু হিংসা একটি বিষাক্ত কাটা, যার উপর বিদ্ধ হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতএব, ধ্বংসের স্থান থেকে বেঁচে থেকো। আল্লাহর প্রশংসা, জবাব পরিপূর্ণ হয়েছে এবং পরিস্ফুটিত হয়েছে। আর এ খন্ড যখন একটি গ্রন্থাকার ধারণ করলাে, তখন আমি এর নাম ‘আদৌওলাতুল মককীয়া বিল মাদ্দাতিল গায়বিয়াহ’ রাখি। যেন এ নামটিও হয়ে যায়, আবার মাকসুদ, রচনা ও আবজাদ হিসাবনুযায়ী রচনাকালের সনের পরিচয়ও হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ!