৫- بَابُ مَا جَاءَ فِي الرِّبَا فِي الْأَشْيَاءِ السِّتَّةِ بِالْفَضْلِ
٣٣٠- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْـخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ، قَالَ: الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ مِثْلًا بِمِثْلٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَزْنًا بِوَزْنٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلًا بِمِثْلٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالشَّعِيْرُ بِالشَّعِيْرِ مِثْلًا بِمِثْلٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالْـمِلْحُ بِالْـمِلْحِ مِثْلًا بِمِثْلٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا. وَفِيْ رِوَايَةٍ: الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَزْنًا بِوَزْنٍ يَدًا بِيَدٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالْـحِنْطَةُ بِالْـحِنْطَةِ كَيْلًا بِكَيْلٍ يَدًا بِيَدٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا، وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ، وَالْـمِلْحُ بِالْـمِلْحِ كَيْلًا بِكَيْلٍ، وَالْفَضْلُ رِبًا.
বাব নং ১৭০. ৫. ছয়টি বস্তুর মধ্যে বেশী নেওয়া সুদ
৩৩০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতিয়্যা থেকে, তিনি আবু সাঈদ খুদুরী (رضي الله عنه) থেকে, তিনি নবী করমি (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, স্বর্ণের পরিবর্তে স্বর্ণ সমান সমান হলে জায়েয, অতিরিক্ত হলে সুদ, রূপার পরিবর্তে রূপা সমান সমান হলে জায়েয, অতিরিক্ত হলে সুদ। খেজুরের পরিবর্তে খেজুর ওযনে সমান সমান হলে জায়েয, অতিরিক্ত হলে সুদ। যবের পরিবর্তে যব সমান সমান হলে জায়েয, অতিরিক্ত হলে সুদ।
অন্য বর্ণনায় আছে, স্বর্ণের পরিবর্তে স্বর্ণ ওযনে সমান ও নগদে হলে জায়েয, অতিরিক্ত হলে সুদ। গমের পরিবর্তে গম ওযনে ও নগদে অতিরিক্ত হলে সুদ, খেজুরের পরিবর্তে খেজুর ওযনে সমান এবং লবণের পরিবর্তে লবণ ওযনে সমান হলে জায়েয এর অতিরিক্ত হলে সুদ।
(শরহে মাআনিউল আসার, ৪/৪/৫০৭৩)
ব্যাখ্যাঃ- রিবা শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো সাধারণ বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত।
❏শরীয়তের পরিভাষায় সুদ বলা হয়:
زيادة ياخذها المقرضُ من المستقرض مقابل الاجل
ঋণদাতা ঋণ গ্রহীতা থেকে সময়ের বিনিময়ে অতিরিক্ত গ্রহণ করাকে সুদ বলা হয়।
(আল্লামা সাবুনী, রাওয়ায়েউল বয়ান)
সুদ মূলত ‘দু’ প্রকারঃ-
এক النسيئة : নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য কারো থেকে অতিরিক্ত পরিশোধের শর্তে ঋণ নেয়াকে নাসিয়্যাহ বলা হয়। বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের লেন-দেন এ প্রকারের সুদ।
দুই. الفضل: কোন বস্তুকে অনুরূপ বস্তুর বিনিময়ে একপক্ষ কিছু অতিরিক্ত করার সাথে ক্রয়-বিক্রয় করা। যেমন এক কেজি গম, দুই কেজি গমের বিনিময়ে বিক্রি করা। এ প্রকারের সুদের শরয়ী বিধান হলো- (جنس) জিনিস যদি এক হয়, তাহলে কম-বেশী ও বাকী উভয় ভাবে বিক্রি নিষেধ। আর যদি জিনিস ভিন্ন হয় তাহলে কম বেশী করে বিক্রি করা যাবে; কিন্তু বাকীতে বিক্রি নিষেধ।
❏কেননা রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন-
الذهب بالذهب والفضة بالفضة والبر بالبر والشعير بالشعير والتمر بالتمر والملح بالملح مثلا بمثل يدا بيد فمن زادا واستزاد فقد اربى الاخذ والمعطى فيه سواء-
“স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রূপা রূপার বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে, এবং লবণ লবণের বিনিময়ে বিক্রি করা হলে সমান সমান ও নগদ হতে হবে। যদি কেউ কম বেশী নেয় তবে সে সুদের লেন-দেন করল। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা ও দাতা উভয়ের অপরাধ সমান।” ১৯৪
➥ ইমাম মুসলিম (رحمة الله), (২৬১ হি), মুসলিম শরীফ, সূত্র: মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠাঃ ২৪৪
❏হযরত উবাদা ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকেও বর্ণিত আছে যে, উপরোক্ত ছয়টি বস্তু সমান সমান ও নগদ হলে বিক্রি করা জায়েয। যদি এসব বস্তুর মধ্যে জিনসের পরিবর্তন হয় তখন নগদ মূল্যে যেভাবে ইচ্ছে বেচা-কেনা করতে পারবে।
এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, সুদ হারাম হওয়ার বিধান উপরোক্ত ছয়টি বস্তুর সাথে নির্দিষ্ট নয়। বরং এই ছয় প্রকার বস্তুর ন্যায় আরো যত বস্তু রয়েছে সবগুলোর মধ্যে এই বিধান সমভাবে প্রযোজ্য হবে যদি উভয়ের মধ্যে জিনিস (جنس) ও পরিমাণ (قدر) বিদ্যমান থাকে। কোন বস্তুতে উক্ত বৈশিষ্ট দু’টির কোন একটি বিদ্যমান না থাকলে লেন দেনে কম বেশী হলেও তা সুদ হবে না।