বিষয় নং-৪: যে মুসলমানকে কষ্ট দিল সে যেন আমাকে কষ্ট দিল:
বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্র পত্রিকায় অনেক বাতেলপন্থীরা উক্ত হাদিসটির ব্যাপারে দ্বঈফ বলেছেন, আবার কেউ একে জাল বানোয়াট বলেও চালিয়ে দিতে চান। ইমাম তাবরানী (رحمة الله)সহ অনেকে সংকলন করেন-
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمِصْرِيُّ قَالَ: نا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ قَالَ: نا مُوسَى بْنُ خَلَفٍ الْعَمِّيُّ قَالَ: نا الْقَاسِمُ الْعِجْلِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قال رسول الله ﷺ مَنْ آذَى مُسْلِمًا فَقَدْ آذَانِي، وَمَنْ آذَانِي فَقَدْ آذَى اللَّهَ
-‘‘হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে মুসলমানকে কষ্ট দিল সে যেন আমাকেই কষ্ট দিল, আর যে আমাকে কষ্ট দিবে সে যেন আল্লাহকেই কষ্ট দিল।’’ ১৬
➥১৬. তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৪/৬০ পৃঃ হা/৩৬০৭, ও মু‘জামুস সগীর, ১/২৮৪ পৃঃ হা/৪৬৮, মু‘জামুল কাবীর, ৩/৪২ পৃঃ হা/২৬২৭, বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ৪/৪১৬ পৃঃ হা/২৭৪১, হায়সামী, মাযমাউয যাওয়াউদ, ২/১৭৯ পৃঃ হাদিস, ৩০৯২, তিনি বলেন, উক্ত সনদে ‘কাসেম বিন মুতায়িব’ কিছুটা ভুল করতেন, তার কারনে আমি বলবো সনদটি দ্বঈফ হবেনা বরং ‘হাসান’ হবে, ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তী : জামেউস সগীর : ২/৫৪৭ পৃঃ হা/৮২৬৯, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ৩/১৩৫পৃঃ হা/১১১৮৩, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১৬/১০পৃঃ হাদিস, ৪৩৭০৩, আযলূনী, কাশফুল খাফা, ২/২৬০ পৃঃ হা/২৩৪৯, ইবনে ইরাকী, তাখরীজে ইহইয়াউল উলূম, ১/৪২৮ পৃঃ আলবানী, দ্বঈফু জামেউস সগীর, ১/৭৬৭ পৃঃ হা/৫৩১৬
ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) উক্ত হাদিসটিকে ‘হাসান’ পর্যায়ের হাদিস বলে উল্লেখ করেছেন। ১৭
➥১৭. ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তী : জামেউস সগীর : ২/৫৪৭ হা/৮২৬৯
যেখানে একজন মুজাদ্দেদ, হাফিযুল হাদিস ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী (رحمة الله) ‘হাসান’ বা গ্রহণযোগ্য বলেছেন সেখানে আহলে হাদিস আলবানীর স্বীয় “রিয়াদুন নাযির” গ্রন্থের ১০১ নং হাদিসের আলোচনায় একে দ্বঈফ বলার কোন মূল্য নেই। আলবানী রাবী ‘মূসা ইবনে খালফ’ নামক রাবীকে যঈফ বলে চালিয়ে দিয়েছেন, এটা তার পুরাই চালাকি।
ইমাম যাহাবী আরও উল্লেখ করেন-
وقال ابن معين أيضا: ليس به بأس.
-‘‘ইমাম ইবনে মাঈন (رحمة الله) বলেন, তার হাদিস গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা নেই।’’(যাহাবী, মিযানুল ই‘তিদাল, ৪/২০৩ পৃ. ক্রমিক. ৮৮৫৮) তিনি আরও উল্লেখ করেন-
قال أبو حاتم: صالح الحديث. وقال أبو داود: ليس به بأس.
-‘‘ইমাম আবু হাতেম (رحمة الله) বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সৎ ব্যক্তি, ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) বলেন, তার হাদিস গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা নেই।’’ (যাহাবী, মিযানুল ই‘তিদাল, ৪/২০৩ পৃ. ক্রমিক. ৮৮৫৮)
আমার মতে এ সনদটি ‘হাসান’ নয় বরং সহীহই, কেননা উক্ত রাবীকে অধিকাংশ মুহাদ্দিসই সিকাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন।