৮. স্বামীর রাগ দমন করা


পুরুষ মানুষ সাধারণত ঘরের বাইরে সারাদিন বিভিন্ন কারণে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে স্ত্রী সন্তানের কাছে ঘরে আসে একটু শান্তি লাভের উদ্দেশ্যে। এ সময় বুদ্ধিমতি স্ত্রী হাসিমুখে ও রূপ-গুণ দিয়ে স্বামীকে সান্তনা দিয়ে শান্ত করতে সক্ষম হয়। আবার অনেক বোকা স্ত্রীদের দেখা যায় যে, স্বামী ঘরে আসা মাত্র বিভিন্ন সমস্যা ও অপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে স্বামীকে আরো উত্তেজিত করে তোলে। এটা মোটেও উচিত নয়। বরং এ সময় তার উচিত স্বামীর হাত থেকে বাজারের থলে নিয়ে নেওয়া, গরম থেকে আসলে তাড়াতাড়ি পাখা চালু করে বাতাসের ব্যবস্থা করা, স্বামী গোসল করলে তার কাপড় ও গামছা খুঁজে নিয়ে তার সামনে পেশ করা এবং সময় মতো স্বামীর সেবা-যত্ন করা তাহলে কোন বিবেক সম্পন্ন স্বামী তার স্ত্রীর উপর রাগ করে থাকতে পারেন না। এদিকে ইঙ্গিত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতী নারী সম্পর্কে বলব না? উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয় বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, স্বামীর প্রতি আসক্ত অধিক সন্তান জন্মদানকারিনী স্ত্রী। যখন স্বামী রাগান্বিত হয় কিংবা স্ত্রীকে ভাল-মন্দ কিছু বলে বা স্বামী অসন্তুষ্ট হয়ে যায় তখন এই মহিলা (স্বামীকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে) বলে, আমার হাত আপনার হাতে আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট না হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ঘুমাবো না। ১২২

১২২.আত তারগীব, খণ্ড. ৩, পৃ. ৩৭

 

এ ধরনের পূণ্যবতী স্ত্রীদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন- মু’মিনের জন্য খোদাভীতির মতো নিয়ামতের পর এমন কোন কল্যাণ কামিতা নেই যা পূণ্যবতী ও পরহেযগার স্ত্রীর চেয়ে বড়।


إِنْ أَمْرَهَا أَطَاعَتْهُ وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سرته وَإِن أقسم عَلَيْهِ أَبَرَّتْهُ وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَاله

যদি স্বামী কোনো কথা বলে তা পূরণ করে, যদি স্বামী তার দিকে তাকায় স্বামীকে খুশী করে, স্বামী যদি কোনো বিষয়ে শপথ করে তাহলে, স্ত্রী তা পূরণ করে, স্বামী যদি কখনো বাইরে যায় তবে নিজের জান ও স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে সজাগ থাকে। ১২৩

১২৩.ইবনে মাজাহ, পৃ. ১৩২, মিশকাত, পৃ. ২৬৮

Top