ঈমান ও আকীদার বিবরণ
❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী?
✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلماহাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
الْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى دِمَائِهِمْ و أَمْوَالِهِمْ
‘মুমিন ঐ ব্যক্তি, যার থেকে মানুষ জান, মাল ও ইজ্জত-সম্মানের ক্ষেত্রে নিরাপদ হয়ে যায়।’(এরা আমাদের জীবন কেড়ে নিতে পারে না, এটা মুসলমানদের উপর সুধারণা। এই মুসলমান আমাদের মাল নষ্ট করতে পারে না এবং ইজ্জত লুটে নিতে পারে না।) মানুষের এতটুকু আস্থা যখন সৃষ্টি হবে, তখন বুঝা যাবে, সে পরিপূর্ণ মুমিন। নতুবা নামধারী মুসলমান থেকে এসব আশা করা যায় না। বরং এমন মুসলমানের উপর আস্থা না থাকলে মনে করতে হবে, সে নামধারী মুনাফিক মুসলিম।
বরং ইদানিং মুসলমানদের মধ্যে মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাস ইত্যাদি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নামধারী মুসলমানদের একদল এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত। আল্লাহ তা‘আলা সকলকে হেফাযত করুন।
أَمِنَهُ النَّاسُ বাক্যে النَّاسُ তথা মানুষ শব্দটি ব্যাপক। মুসলিম অমুসলিম সকলে এর অন্তর্ভুক্ত। সকলে আস্থাশীল হতে হবে যে, ভাই সে মুমিন। মারামারি করা বা ইজ্জত নষ্ট করা তার কাজ নয়। পুরা নিরাপদ থাকবে যে, এই লোক সৎ। তার থেকে কোনো প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
(খুতুবাতে হাকীমুল ইসলাম : ৩/২৩৪)
খালেস মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষ তো দূরের কথা পশু পাখি পর্যন্ত মুমিন থেকে নিরাপদ থাকবে।
উল্লিখিত হাদীস থেকে জানা যায়, কোনো সৃষ্টিকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের নীতি থেকে অনেক দূরে। مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ ‘প্রকৃত মুমিন হলো, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মানুষ ও সৃষ্টি নিরাপদ থাকে।’ কোনো প্রকার কর্ম দ্বারা অন্যের কষ্ট ও বিরক্তি হবে না।