রাসুলে পাক(ﷺ)-এর মর্যাদায় গাঙ্গুহীর আক্রোশঃ



যুগের অদ্ভুত ব্যক্তি উল্লিখিত গাঙ্গুহী সাহেব রাসুলে পাক (ﷺ)-এর জ্ঞানের ফজিলত অর্জিত হওয়াকে আক্ৰায়েদের বিষয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন যেন বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস সমূহ খন্ডন করতে পারেন। যেমন পূর্বে গত হয়েছে। আর যখন রাসুলে পাক (ﷺ) এর জ্ঞানের অস্বীকার এসেছে, তখন তা ফজিলতের - বিষয় আখ্যা দিয়েছেন যেখানে দুর্বল হাদীসও গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়। এমন কি তাতে পরিত্যাক্ত রেওয়ায়েত থেকেও সনদ গ্রহণ করেছেন। যে সম্পর্কে ইমামগণ সুস্পষ্ট মতামত পেশ করেছেন যে, এগুলাে ভিত্তিহীন। যেমন এ রেওয়ায়েত-“এ দেওয়ালের পেছনের অবস্থাও আমার জানা নেই। সুতরাং প্রার্থনা, হে মুসলমানগণ! এদের উদ্দেশ্যে অন্যরূপ। তাদের অন্তর রাসুলে পাক (ﷺ)-এর ‘মর্যাদায় কঠোর ও ক্রোধান্বিত। সুতরাং তা প্রমাণের জন্য বুখারী-মুসলিমের . হাদীসও স্বীকার করেন। কিন্তু এর খন্ডনের জন্য ভিত্তিহীন, বানােয়াট, পরিত্যক্ত ও মিথ্যার আশ্রয় নিতে কসুর করেনা। ইসলাম কি এমন হতে পারে? কখনই 

শপথ! এ গৃহের (কাবা শরীফ) অধিপতির এবং এটা আপনাদের স্মরণ রাখা উচিত যে, এ গ্রন্থ খলীল আহমদ আম্বেটবীর লিখিত, যিনি এ বছর হজ্জে এসেছেন। তার উস্তাদ রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী এর উপর অভিমত দিয়েছেন এবং এর প্রত্যেকটি অক্ষর বিশুদ্ধ বলে রায় প্রদান করেছেন।


রশীদ আহমদ ও খলীল আহমদ সম্পর্কে ওলামায়ে মক্কার কুফরী ফতােয়া প্রদানঃ 


আর আমাদের সরদার হারমাইন শরীফাইনের ওলামা কেরাম তা খন্ডন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের সম্মান বৃদ্ধি করুক, তাদের তাওফীক দান করুন, যেন দ্বীনের পরিব্যাপ্তিকে রক্ষা করেন, পথভ্রষ্টদের শাস্তি প্রদান করেন। 

হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সালিহ ইবনে মরহুম ছিদ্দীক কামাল হানফী, 

সেসময়ে তিনি হানাফী মুফতীর দায়িত্বে ছিলেন, তাকদীসুল ওয়াকীল আন 

তাওহীনির রাশীদ ওয়াল খলিল’ গ্রন্থের অভিমতে যা তিনি এ দু’টির খন্ডন ও তাদের শাস্তি সম্পর্কে রচনা করেছেন তাতে বরাহীনে কাতেয়ার’ গ্রন্থকার, তার সহযােগী এবং অভিমত প্রদানকারী সবার ব্যাপারে সে হুকুম, যা জিন্দিকদের। (মুনাফিকদের) বলে মন্তব্য করেছেন। ' 

আমাদের সরদার শেখুল ওলামা মাওলানা মুহাম্মদ সাঈদ সাবলীল মুফতীয়ে। শাফেয়ী মক্কী বলেছেন-বরাহীনে কাতিয়ার গ্রন্থকার ও তার সহযােগীরা শয়তানের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ এবং পথভ্রষ্ট ও জিন্দিক; যদিও নিশ্চিত কাফির। 

তদানীন্তন মালেকী মাযহাবের মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ আবিদ ইবনে মরহুম শেখ হােসাইনী ‘বরাহীনে কৃাতেয়ার’ খন্ডনকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে ফিতনা সৃষ্টিকারী ও ভ্রান্ত বলেছেন। হাম্বলী মাযহাবের মুফতী মাওলানা খালফ ইবনে ইব্রাহীম বলেছেন, ‘বরাহীনে কৃাতেয়ার’ গ্রন্থকার ও তার সহযােগীদের খন্ডনকারীদের জবাব বিশুদ্ধ 

ও সত্য, যাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর মদীনা শরীফের হানাফী মাযহাবের মুফতী মাওলানা ওসমান ইবনে। আবদুস সালাম দাগিসতানী বলেন, বরাহীনে কৃাতিয়ার খন্ডনে লিখিত কিতাবটি আমি পাঠ করেছি। তারা জনশূন্য সন্দেহপূর্ণ ময়দানে পানির ধােকা দেখছে এবং স্বীয় কটুক্তিসমূহ আবিষ্কারকদের মুখতার উপর দলীল কায়েম করছে। আমার প্রাণের শপথ বারাহীনে কাতেয়ার’ গ্রন্থকার ভ্রষ্টতার কুন্ডে ঘুরাফেরা করছে। সেব্যক্তি আল্লাহ ও ফিরিস্তা আজরাইল-এর পক্ষ থেকে শাস্তির উপযােগী।  সৈয়দ জলীল মুহাম্মদ আলী ইবনে সৈয়দ জাহির বিতরী হানাফী মাদানী বলেছেন, ‘খন্ডনকারী ‘বারাহীনে কাতেয়া-র গ্রন্থকার ও তার ভ্রষ্ট সহযােগীদের থেকে যা বর্ণনা করেছেন তা সুস্পষ্ট কুফর ও বিধর্মীদের স্বভাব।

Top