মৌজার ওপর মসেহ করার হুকুম
. بيان المسح على الجوربين
واما المسح على الجوربين فهو على ثلاثة اقسام ان كان مجلدين او منعلين جاز المسح باجماع اصحابنا.
واما اذا كان غير منعلين – فان كانا رقيقين بحيث يرىٰ ماتحتهما لايجوز المسح عليهما وان كان ثخينين – قال ابو حنيفةؒ لا يجوز المسح عليهما وقال ابويوسف ومحمد رحمهماالله يجوز – وروى عن ابى حنيفة ؒانه رجع الى قولهما فى آخر عمره .
وقال الشافعى ؒلا يجوز المسح على الجوارب وان كانت منعلة الّا اذا كانت مجلدة الى الكعبين فيجوز .
وما قالا ابو يوسف ومحمد رحمهما الله ارفق بالناس وماقاله ابو حنيفة رحم الله عليهم احوط واقيس.
ولو لبس الخفين ثم لبس فوقهما الجر موقين من الجلد ينظران لبسهما بعد ما احدث ووجب المسح على الخفين فانه لايجوز المسح على الجر موقين بالاجماع .
فاما اذا لبسهما قبل الحدث ثم احدث فانه يجوز المسح على الجر موقين عندنا وعندالشافعىؒ لا يجوز المسح المشروع هو مسح ظاهر الخف دون اسفله وعقبه مرّة واحدة حتى اذا مسح على اسفل الخف او على العقب وجانبيه لايجوز وكذا اذا مسح على الساق .
واما السنة عندنا فان يمسح على ظاهر خهفيه بكلتايديه ويبتدئ به من قِيَلَ الاصابع الى الساق .
والصحيح قولنا لماروى عن المغيرة بن شعبة رضى الله عنه ان النبى ﷺ توضأ ووضع يده اليمنى على خفه الأيمن- ويده اليسرىٰ على خفه الأيسرو ماهما من الاصابع الى اعلاهما مسحة واحدة وكنت انظر الى اصابع رسول الله ﷺ على ظاهر خفيه ثم مقدار المفروض عندنا – مقدار ثلاث اصابع اليد على ظاهر الخف سواء كان ظولا اوعرضًا حتى لومسح بأصبع اوبأصبعين لايجوز .
উভয় জাওরব তথা মৌজার ওপর মসেহ তিন প্রকারের হয়- চামড়া বিশিষ্ট, বা জুতার ন্যায় নিচে ও উভয় পার্শ্বে চামড়া থাকলে হানাফী ইমামদের ঐক্যমতে জায়েয। নিচে চামড়া না থাকলে এবং অতি পাতলা হলে যার নিম্ন পর্যন্ত দেখা যায়; এমন মৌজার ওপর মসেহ বৈধ হবে না। যদি মোটা হয় ইমাম আবু হানিফার মতে এর ওপর মসেহ বৈধ হবে না; সাহেবাইনের মতে বৈধ হবে। ইমাম আবু হানিফা হতে বর্ণিত আছে তিনি শেষ বয়সে সাহেবাইনের মতে ফিরে গিয়েছেন। ইমাম শাফেয়ীর মতে জাওরব মৌজার ওপর মসেহ বৈধ হবে না তবে গোড়ালি পর্যন্ত চামড়া লাগানো থাকলে বৈধ হবে। সাহেবাইনের মত মানুষের জন্যে অধিকতর সহজ ও ইমাম আবু হানিফার মত যুক্তিসংগত ও সহজ। মৌজা পরিধান করে তার ওপর চামড়ার জারমুক পরিধান করলে- তা যদি হাদস হওয়ার পরে পরিধান করে এবং মৌজার ওপর মসেহ করা ওয়াজিব হলে; জারমুকের ওপর মসেহ সর্বজনের ঐক্যমতে বৈধ হবে না। তবে হাদস যুক্ত হওয়ার পূর্বে পরিধান করলে পরে হাদস যুক্ত হলে আমরা হানাফীদের মতে জারমুকের ওপর মসেহ বৈধ হবে শাফেয়ীদের মতে বৈধ হবে না। শরয়ী মসেহ হল- মৌজার ওপর একবার মসেহ করা; নিচেও নয়, পার্শ্বেও নয়। এমনকি কেউ মেওজার নীচে, পিছনে ও উভয় পার্শ্বে মসেহ করলে বৈধ হবে না। অনুরূপ গোড়ালিতে মসেহ করলেও বৈধ হবে না। আমরা হানাফীদের মতে সুন্নাত হচ্ছে মৌজার উপরিভাগ উভয় হাতে মসেহ করা এবং আঙ্গুলের দিক থেকে আরম্ভ করে গোড়ালির দিকে শেষ করবে। আমাদের মতই বিশুদ্ধ কেননা মুগিরা বিন সুবা থেকে বর্ণিত, অবশ্যই নবী করিম (ﷺ) অযু করেছেন এবং ডান হাত ডান পায়ের মৌজার ওপর ও বাম হাত বাম পায়ের মৌজার ওপর রেখে আঙ্গুলের দিক থেকে উপরের দিকে একবার মসেহ করেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আঙ্গুলের প্রতি দৃষ্টি করছি যে তা মৌজার উপরিভাগে ছিল। আমরা হানাফীদের মতে ফরয মসেহ এর পরিমাণ- দৈর্ঘ্যে হউক কিংবা প্রস্থে হউক তিন আঙ্গুল পরিমাণ। যদি এক বা দুই আঙ্গুল দ্বারা মসেহ করে বৈধ হবে না।