রাসূল (ﷺ)-এর ইখতিয়ারঃ

উম্মুল মু’মিনীন সায়্যিদাতুনা আয়িশা (رضي الله عنه) বলেন, একরাতে ইশার নামাযের পূর্বে এতো দেরী করলেন যে, রাতের অর্ধেক অতিক্রান্ত হয়েছে, এদিকে মুসল্লিরা মসজিদে শুয়ে পড়লেন। অতঃপর রাসূল  তাশরীফ এনে বললেন-


إِنَّهُ لَوَقْتُهَا لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي


-‘‘আমার উম্মাতের কষ্ট হবে এটা যদি আমি অনুভব করতাম তবে ইশার নামাযের ওয়াক্ত এই সময়ে হত।’’ ৩১২

{৩১২. সহীহ মুসলিম শরীফ, ১/৪৪২ পৃ. হা/৬৩৮, সুনানে দারেমী, ২/৭৭৬ পৃ. হা/১২৫০, সুনানে নাসাঈ, ১/২৬৭ পৃ. হা/৫৩৬}


আক্বিদা

হুযূর (ﷺ) মুখতার। আল্লাহ তা‘আলা তাকে শা‘রেঈ বানিয়ে প্রেরণ করেছেন। রাসূল (ﷺ)-এর মর্যাদা হল শরিয়ত নির্ধারণ করা, যেটা চান ফরয করেন আর যেটা চান হারাম করেন।


❏দেওবন্দী এবং গায়রে মুকাল্লেদদের ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও তার কিতাব  الصَّارِمُ المُسْلُوْل عَلٰى شَاتِمْ الرَّسُوْلِ এর ৪১ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট ভাষায় লিখেন-


وَقَدْ أَقَامَهُ اَللهُ مَقَامَ نَفْسِهِ فِي أَمْرِهِ وَنَهْيِهِ وَإِخْبَارِهِ وَبَيَانِهِ


-“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলে পাক (ﷺ) কে আদেশ, নিষেধ, আখবার ও বায়ানের ক্ষেত্রে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে প্রেরণ করেন।”


শায়খুল মুহাদ্দিসীন আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভি (رحمة الله) বলেন, আহকাম রাসূল (ﷺ)-এর উপর সোপর্দ, যা চান আদেশ দেন, যা চান নিষেধ করেন, যাকে যে হুকুমের সাথে চান নির্দিষ্ট করেন। ৩১৩

{৩১৩. শায়খ আব্দুল হাক মুহাদ্দিসে দেহলভী, আশয়াতুল লুম‘আত, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৩, ল²ৌ হতে প্রকাশিত।}

Top