পর্দাহীনতা ধর্ষণের প্রকোপ বৃদ্ধি করে


পর্দাহীনতা ধর্ষণের প্রকোপ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি ঘটায়। ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা জানা সহজ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী এ বিষয়ে অভিযোগ করে না। ফলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, বাস্তবে তা অনেক বেশি ঘটে।


ব্রিটিশ পুলিশের মতে, ১৯৮৪ সালে এক বছরে বৃটেনে বিশ হাজারের অধিক নিগ্রহ এবং পনের শত ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। এর মতে, বৃটেনে প্রতিবছর অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড হয়ে থাকে। আর প্রকৃত সংখ্যা তার চাইতেও বেশি। ১৯৯৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজারে।


উক্ত সংস্থার মতে,” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচাইতে ভয়াবহ। এখানে বিশ্বের সর্বাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে। সে সংখ্যা জার্মানীর সংখ্যার চাইতে চারগুণ, বৃটেনের চাইতে ১৮ গুণ আর জাপানের চাইতে প্রায় ২০ গুণ বেশি।


সবচেয়ে উদ্বেগজনক এবং বাস্তবতা এই যে, ৭৫% ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে থাকে পূর্ব পরিচিতের দ্বারা। আর ১৬% নিকট আত্মীয় বা বন্ধুর দ্বারা।


নামক সংস্থার মতে, ৩৮% ক্ষেত্রে পুরুষ তাঁর অফিসিয়াল ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে নারীকে ধর্ষণ করে থাকে। আর ৮৮% মহিলা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকেন। এ হলো তথাকথিত উন্নত ও নারী-স্বাধীনতার দাবিদার দেশগুলোর অবস্থা।


পর্দাহীনতা বিবাহ-বিচ্ছেদ বাড়ায়


পর্দাহীনতা বিবাহ-বিচ্ছেদ বাড়িয়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে বিবাহপূর্ব সহবাস এবং -এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণকারী বৃটেনের নারীদের প্রায় অর্ধেক প্রাক-বিবাহ সহবাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এর পক্ষে তাঁদের যুক্তি ছিল যে, এর ফলে নর-নারী একে অপরকে ভালোভাবে জানতে পারে এবং এর পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তা স্থায়িত্ব লাভ করে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত।


ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ডেই সর্বাধিক বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে থাকে। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যে যেখানে এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। ১৯৯৪ সলে তার সংখ্যা দাঁড়ায় এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা ছিল সাত লক্ষ আট হাজার আর ১৯৯০ সালে তা দাঁড়ায় এগারো লক্ষ পঁচাত্তর হাজারে। পক্ষান্তরে, বিবাহের হারে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবর্তন হয়নি।

Top