ঊনবিংশ অধ্যায়
মজলিস ত্যাগ করার সময়
একত্রিত হওয়ার পর ভূল-ত্রুটি মিটিয়ে দেয়ার জন্য পাঠ করুনঃ-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! সমস্ত অসম্পূর্নতা থেকে আপনি বহু দূরে (আপনি পবিত্র) এবং আমি আপনার প্রশংসা করছি। আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি ছাড়া আর কোন ইবাদতযোগ্য ইলাহ নেই। আমি আপনার ক্ষমা প্রার্থণা করছি এবং আপনার নিকটই প্রত্যাবর্তন করি।’
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - الْمَعْنَى - أَنَّ عَبْدَةَ بْنَ سُلَيْمَانَ، أَخْبَرَهُمْ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى . قَالَ " كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ فِي الْمَجْلِسِ " .
আবূ বারযাহ আল-আসলামী رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন “সুবাহানকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা”। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ ﷻ'র রাসুল! এখন আপনি যে বাক্য পাঠ করলেন তা তো ইতোপূর্বে আপনি পাঠ করেননি? তিনি বললেন, মাজলিসে যা কিছু (ভুলক্রটি) হয়ে থাকে একথাগুলো তার কাফফারাহ গণ্য হবে।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৫৯)
একজন মুসলিম দিনে-রাতে বহু মজলিসে একত্রিত হয়, যেমন-
* খাওয়ার সময় যখন অন্যদের সাথে আপনি কথা বলেন,
* যখন আপনি আপনার প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দেখেন তখন নিশ্চয়ই কথা বলেন,
* যখন কাজে, স্কুলে, পড়ার স্থানে আপনার সহযোগী-সহপাঠীদের সাথে থাকেন,
* যখন আপনি বাচ্চা এবং স্ত্রীদের সাথে কথা বলেন একত্রিত হয়ে,
* যখন আপনি ভ্রমণে থাকেন,
* পাবলিক লেকচার অথবা নিজস্ব পড়াশুনা ইত্যাদি সময়ে।
লক্ষ্য করুন কতবার আপনি দিন-রাতে এই দু‘আ উল্লেখ করতে পারেন এবং আল্লাহ ﷻ'র সাথে আপনার সম্পর্ক রাখতে পারেন।
এই সুন্নাত বাস্তবায়নের উপকারিতা হচ্ছে- ঐ বৈঠকে কথা বলার ক্ষেত্রে যে ভুল-ত্রুটি হয়েছে এবং গুনাহ হয়েছে তা মিটেয়ে দেয়া হবে।
ইবনুল ক্বাইয়্যেম বলেন মুসলিমগণ যে মজলিসে একত্রিত হয়ে তা দু‘ধরনের-
* সামাজিক মজলিস যা সময় পাস করার জন্য হয়ে থাকে। উপকারিতা সীমাবদ্ধ এবং ...এটি হৃদয়কে দূষিত করে এবং সময় নষ্ট করে।
* ঐ মজলিস যা সফলতার জন্য সাহায্য এবং সত্যের উপদেশ দানের জন্য হয়ে থাকে। এটি হচ্ছে বিশাল অমূল্যধন এবং সবচেয়ে উপকারী।