ছায়াবিহীন দেহ মুবারকঃ
হুজুর পাক (ﷺ) এর দেহ মুবারকের কোন ছায়া ছিলো না। সূর্যের আলোতেও না চাঁদের কিরণেও না। নবীজির দেহ মুবারকের ছায়া না থাকা প্রমাণ করে যে তিনি নূরের তৈরি। কেননা নূরের কোন ছায়া হয় না।
যুরকানী শরীফে উল্লেখ আছে-
لَمْ يَكُنْ لَّهُ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظِلٌّ فِي شَمْسٍ وَّلَا قَمَرٍ لِاَنَّه كَانَ نُوْرًا
অর্থাৎ- “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম (ﷺ) এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না। কেননা, তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর।”
নবীজির দেহ মুবারকের বর্ণ ছিলো উজ্জ্বল ও দ্যুতিময়। আবু তালেব নবী করীম (ﷺ) এর প্রশংসায় বলেন- “তাঁর চেহারা মুবারকের শুভ্রতার কাছে বর্ষণকারী শুভ্র মেঘমালাও ভিক্ষা তালাশ করে।”
নবীজির পবিত্র দেহ মুবারক থেকে এমন সুঘ্রাণ বের হতো যে পৃথিবীর কোন সুগন্ধি তার সমতুল্য হতে পারতো না। হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, “যতো প্রকারের সৌরভ আছে চাই তা মেশক হোক বা আম্বর, আমি তার ঘ্রাণ গ্রহণ করেছি। কিন্তু নবী করীম (ﷺ) এর পবিত্রতম দেহের সৌরভের সমতুল্য কিছুই হতে পারে না।”