কিবলা সামনে-পিছনে রাখার পরিচ্ছেদ
باب استقبال القبلة واستدبارها
يكره استقبال القبلة بالفرج فى الخلاء لانه عليه السلام نهى عن ذلك والاستدبار يكره فى رواية لما فيه من ترك التعظيم – ولايكره فى رواية لان المستدبر فرجه غير مواز للقبلة وما ينحط منه ينحط الى الارض بخلاف المستقبل لان فرجه مواز لها وما ينحط منه ينحط اليها – وتكره المجامعة فوق المسجد والبول والتخلى لان سطح المسجد له حكم المسجد – حتى يصح الاقتداء منه بمن تحته – ولايبطل الاعتكاف بالصعود اليه ولايحل للجنب الوقوف عليه .
ولابأس بالبول فوق بيت فيه مسجد والمرادما اعدلصلوٰة فى البيت لانه لم يأخذحكم المسجد وان ندَّ بنا اليه – ويكره ان يغلق باب المسجد لانه يشبه المنع من الصلوة .
وقيل . لابأس به اذا خيف على متاع المسجد فى غير اوان الصلوٰة ولابأس بان ينقش المسجد بالجص والساج وماء الذهب .
وقوله لابأس يشير الى انه لايؤجر عليه لكنه لايأثم به – وقيل هو قربة وهذا اذا فعل من مالا نفسه – اما المتولى فيفعل من مال الوقف مايرجع الى احكام البناء دون مايرجع الى النقش حتى لوفعل يضمن . والله اعلم باصواب
টয়লেটে কিবলামুখী পায়খানা ও প্রস্রাব করা মাকরূহ। কেননা নবী করিম (ﷺ) ইহা বারণ করেছেন। কিবলা পিছনে রাখলে এক রেওয়ায়ত মোতাবেক মাকরূহ; কেননা এতে কিবলার অসম্মান হয়। অন্য রেওয়ায়ত মোতাবেক মাকরূহ নয় কেননা পিছনে রাখলে লজ্জাস্থান কিবলা বরাবর হয় না এবং যা নির্গত হচ্ছে তা জমিনে পতিত হচ্ছে কিবলামুখী হওয়ার বিপরীত। কেননা এতে লজ্জাস্থান কিবলার মোকাবিলা হচ্ছে এবং নির্গত ময়লা কিবলার দিকে পতিত হয়। মসজিদের উপরে সহবাস করা, প্রস্রাব ও পায়খানা করা মাকরূহ। কেননা ইহা মসজিদের হুকুমে। তাইত সেখান হতে নিম্নে ইমামের পিছনে ইকতেদা করা জায়েয। ইতেকাফকারী ছাদের উপরে উঠলে ইতেকাফ ভঙ্গ হয় না এবং অপবিত্র ব্যক্তি সেখানে আরোহণ করা নিষেধ।
সে ঘরের ওপর প্রস্রাব করতে কোন সমস্যা নেই যে ঘরে মসজিদ আছে অর্থাৎ যে ঘরের ভিতর একটি স্থান নামাযের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন যদিও ঘরের সে স্থানের বরাবর হয় কেননা ইহা মসজিদের হুকুমে নয়। মসজিদকে তালাবদ্ধ করে রাখা মাকরূহ; কেননা ইহা নামায হতে বারণ করার সাদৃশ্য হয়। কেউ কেউ বলেন, নামাযের সময় ব্যতীত অন্য সময় তালাবদ্ধ করে রাখলে কোন অসুবিধা নেই যদি মসজিদের সরঞ্জামাদির ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে। চুনা, স্বর্ণের পানি কাপড় দ্বারা মসজিদ সজ্জিত করলে কোন অসুবিধা নেই। লিখকের বাণী- “কোন অসুবিধা নেই” দ্বারা এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করতেছে যে, এতে কোন সাওয়াব (বিনিময়) পাওয়া যাবে না ও গুনাহগারও হবে না। কেউ কেউ বলেন, ইহার দ্বারা নৈকট্য লাভ হয়; যদি ইহা নিজস্ব মাল দ্বারা করা হয় যদি মসজিদের পরিচালক মসজিদ তৈয়ার করার জন্য ওয়াকফর মাল থেকে ইহা করে, যাহা নির্মাণ কার্যাবলীর অন্তর্ভূক্ত সাজ-সজ্জার অন্তর্ভূক্ত নয়; বরং এরকম করলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। - আল্লাহ তায়ালা প্রকৃত তথ্য জ্ঞাত।