স্বামীর হক আদায়ের পরিমাণ
স্বামীর কতটুকু হক আদায় করলে স্ত্রী জান্নাতের পথ লাভ করতে পারবে, তা সত্যিই একটি ভাবনার বিষয়। হাদীসে এ প্রসঙ্গে এসেছে-
عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه قال اتى رجل بابنته الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ان ابنتى هذه ابت ان تتزوج فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم اطيعى اباك فقالت والذى بعثك بالحق لا اتزوج حتى تخبرنى ما حق الزوج على زوجته ؟ قال حق الزوج على زوجته لو كانت به قرحة فلحستها او انتشر منخراه صديدا اودما ثم ابتلعته ماادت حقه قالت والذى بعثك بالحق لا اتزوح ابدا فقال النبى صلى الله عليه وسلم لاتنكحو هن الاباذنهن
“হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’র নিকট এক ব্যক্তি নিজের কন্যাকে নিয়ে হাজির হলেন এবং বললেন যে, এ আমার কন্যা। সে বিবাহ করতে অস্বীকার করছে। নবী করীম কন্যাটিকে বললেন, তুমি তোমার পিতার অনুগত হও। মেয়েটি বলল ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! আমি ঐ পর্যন্ত বিবাহ করব না যতক্ষণ পর্যন্ত আমার জানা না হবে যে, স্ত্রীর উপর স্বামীর হক কী? জবাবে নবী করিম বললেন, “স্বামীর হক হলো, যদি স্বামীর কোন স্থানে জখম হয় তবে স্ত্রী তা চুষে নেয় অথবা স্বামীর নাক থেকে পুঁজ রক্ত প্রবাহিত হয় আর স্ত্রী যদি তা পান করে তবুও স্বামীর হক আদায় হবে না।” (এসব দ্বারা স্বামীর খেদমত ও ভালোবাসার প্রতি গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে পান করা উদ্দেশ্য নয়। কারণ পুঁজ ও রক্ত নাপাক)। এতদশ্রবণে সে বলল, “ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যাসহ প্রেরণ করেছেন! আমি বিবাহ করব না।” (কারণ, আমার দ্বারা এমন হক আদায় করা সম্ভব হবে না)। এ কথার পর নবী করীম বললেন, মহিলাদের অনুমতি ব্যতীত তাদেরকে বিবাহ করো না। ২৮৬
২৮৬.তারগীব, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৫
এই হাদীসের বর্ণনার দ্বারা বোঝা যায় যে, কোনো স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর হক পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়। স্ত্রী যেন কখনো এমনটি মনে না করে যে, আমি তো অমুখ খেদমত করে দিয়েছি। এতে হক আদায় হয়ে গিয়েছে। মূলত কোনোভাবেই স্বামীর হক আদায় হবে না। তাই তার খেদমত করতেই থাকবে।
হাদীসের অংশ ‘মহিলাদের অনুমতি ব্যতীত তাদেরকে বিবাহ করো না’ দ্বারা এ কথাও প্রকাশ হয়ে গেল যে, কোনো কারণবশত যদি মহিলারা বিবাহে অমনোযোগী হয়, তবে বিবাহ না করাটা মহিলাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ সময় তার প্রতি বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়।