সায়্যিদাতুনা উম্মু জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার আক্বিদা
মূর্খ ও উম্মাদ শিশুর আরোগ্য লাভঃ-
হযরত উম্মু জুনদুব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে জামরায়ে আক্ববার এর নিকটে দেখলাম যে, তিনি কংকর নিক্ষেপ করছেন, সাহাবাগণ (رضي الله عنه)ও কংকর নিক্ষেপ করছে। হঠাৎ দেখলাম এক মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে আসলেন, যে বাচ্চাটি মূর্খ এবং উম্মাদ ছিল। মহিলাটি আরয করলেন, হে রাসূল (ﷺ)!
إِن ابْني هَذَا بِهِ بلَاء لَا يتَكَلَّم
-‘‘আমার সন্তান বড় কষ্টের মধ্যে আছে, সে কথা বলতে পারে না।’’ তার কথা শুনে রাসূল (ﷺ) বললেন, এক পাত্র পানি নাও। মহিলাটি পাথরের একটি পাত্রে পানি নিয়ে আসলেন, রাসূল (ﷺ) উক্ত পাত্রে কুলি করে দু‘আ করলেন এবং চলে যেতে বললেন। আরো বললেন, পানিগুলো বাচ্চাটিকে পান করাবে এবং তা হতে গোসল করাবে। মহিলাটি চলে যাচ্ছে, আমি তার পিছু নিলাম, তাকে বললাম এ পানি থেকে আমাকে একটু তাবারক দিন। তিনি পানি দিলেন। পানি থেকে আমার পুত্র আব্দুল্লাহকে পান করালাম। ফলে সে ভালোভাবে জীবনযাপন করছে। অতঃপর মহিলাটির সাক্ষাৎ পেলাম, তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল,
بَرَأَ وَعَقَلَ عَقْلًا لَيْسَ كَعُقُوْلِ النَّاسِ
-‘‘আমার সন্তান পূর্ণ সুস্থ হয়েছে, এমন হল যে, তার মত ভাল ছেলে আর নেই এবং সে সবার চাইতে বিবেকবান।’’ ৩২৮
{৩২৮. ইবনে মাজাহ, আস-সুনান, ২/১১৬৮ পৃ. হা/৩৫৩৩, পরিচ্ছেদ: بَابُ النُّشْرَةِ, নাশরাহ অধ্যায়; ইমাম সুয়ূতি, খাসায়েসুল কোবরা, ২/৬৪পৃ. দারুল কিতাব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন; ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ২৫/১৬০ পৃ. হা/৩৮৭, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, হুজ্জাতুল্লাহ আলাল আলামীন, পৃ. ৪২৮, ইমাম আসেম, আহাদ ওয়াল মাছানী, ৬/৮০ পৃ, হা/৩২৯৩, ইমাম ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, ৫/৪৮পৃ. হা/২৩৫৮৪, ইমাম আবু নুয়াইম ইসবাহানী, দালায়েলুন নবুয়ত, ৪৬৪ পৃ. হা/৩৯৩
আক্বিদা
সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) কোন মুসিবত এবং পেরেশানি পেলে, নাবী (ﷺ)-এর দরবারে আসতেন, তা সমাধানের জন্য আরয করতেন, নাবী (ﷺ)-এর উসিলায় তাদের সমস্যা সমাধান হত।
❏কবি বলেন:
بے يارو مدو گار جسے كوئ نہ چہے
ايسوں كا تمہيں يارو مددگار بنايا
-‘‘অসহায় ও সাহায্য বঞ্চিত যাদের কেউ দৃষ্টিপাত করে না
মহান রব আপনাকে তাদের সহায়ক ও সাহায্যকারী বানিয়েছেন।’’
وَصَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلٰى حَبِيْبِه مُحَمَّدٍ وَاَلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ