কুররাতুল উয়ুন লিমানিল মুমিনুনাল মুখলিছুন

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী 

(رحمة الله) 


প্রকাশনায়ঃ আন্জুমানে কাদেরীয়া চিশতীয়া বাংলাদেশ

গ্রন্থস্বত্ব: লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রকাশকাল: জুলাই- ২০১২ ঈসায়ী

অনুবাদ: এম. এম. মহিউদ্দীন

টেক্সট রেডীঃ মাসুম বিল্লাহ সানি


হাদীয়া: ১২০ [একশত বিশ টাকা]  মাত্র।




ভূমিকাঃ নামায ইবাদতের প্রকার




الصّلوٰة من قسم العبادات


بسم الله الرحمٰن الرحيم


الحمدلله ربّ العٰلمين والصلوٰة والسلام على سيدنا محمد ﷺ الجامع لعلم الاوّلين والاٰخرين وعلٰى اٰله واصحابه وائمة المجتهدين- والحمدلله الذى زيَّن الانسان بالعلم والشرف والكرم والفضل وجعل قسمة ونصيبا وقرارا لنا العلم وخصّ لبنى اٰدم التفقّه فى الدين قال عليه الصّلٰوة والسّلام، من يّرد الله به خيرًا يفقهه فى الدّين .


امّا بعد التسمية والحمد لة والتصلية قال الله سبحانه وتعالٰى وما خلقت الجنّ والانس الّاليعبدون وايضًا وقال لقد كرّمنا بنى اٰدم- لقد خلقنا الانسان فى احسن تقويم .


واعلموا انّ العبد مبتلًى بين ان يطيع الله تعالٰى وبين ان يعصيَه- قال الامام الكبيى المجتهد ابوبكر محمد بن احمد بن ابو سهل المعروف بشمس الائمة السرخسى رحمة الله عليه العلم علمان علم التوحيد والصفات فهوالاصل . وعلم الفقه والشرع.


واما الانسان يتعلق (اى خطاب عامّ لكلّ من يطلب الاستفادة . الانسان حرّا كان او عبدًا ولهذا عبّر عن شرف نوع الانسان فاوحىٰ الٰى عبدهِ ما اوحىٰ فيكون اخص النبى ورثه العلماء والحمدلله هذه الرسالة الشريفة المختصرة لجامع المسائل الضرورية المستجمعة للاحكام الفقهية المستنبطة من الاحاديث والآيات القرآنية ومن الكتب المعتبرة كالهداية والكافى بمذهب الحنفى وخلاصه كيدانى وغيرها .


المسمى به قرّة العيون لمن المؤمنون المخلصون بالمشروع وغير المشروع فعلا وتركًا (التكلف الا وامروالنواهى اى تجاوز عن صفات المخلوقين) فلا بدّ من بيان معانيها واحكامها ليسهل على الطالب وضبطها .


فنقول وبالله التوفيق . المشروع اربعة انواع وغير المشروع نوعان – محرّم ومكروه يتلوهما المفسد للعمل المشروع فيه .


المشروع اربعة – فرض وواجب وسنّة ومستحبّ ويليها جواز الطرفين (اي المباح)


পরম করুণাময়, দয়াময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে। পূর্ণাঙ্গ রহমত, শান্তি আমাদের রাহবর, পূর্বাপর সকল জ্ঞানের উৎস হযরত মুহাম্মদ (ﷺ), তাঁর পরিবার ও বংশধর, সাহাবায়ে কেরাম ও মুজতাহিদ ইমামদের ওপর বর্ষিত হউক। সমস্ত প্রশংসা সে খোদার জন্যে যিনি মানবজাতিকে জ্ঞান মর্যাদা, মেহেরবানি ও বদাণ্য দ্বারা সুশোভিত করেছেন ও আমাদের ভাদ্যে জ্ঞান ও শান্তি দান করেছেন এবং মানবজাতিকে ধর্মীয় বিবেক দিয়ে বিশেষত্ব করেছেন। নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা যাকে ভালবাসেন তাঁকে ধর্মীয় বিবেক প্রদান করেন। 


▪তাসমিয়া, হাম্দ ও সালাতের পর, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার বাণী- “আমি মনাব-দানবকে একমাত্র আমার পরিচয় লাভের জন্যে সৃষ্টি করেছি।” 


▪অন্য বাণী- “আমি মানবজাতিকে সম্মাণিত করেছি।” 


▪আরো একটি বাণী- “আমি মানবজাতির গঠনকে অতি সুশোভিত করেছি।”


মনে রাখ যে, বান্দা আল্লাহর বাধ্য ও অবাধ্য হিসাবে দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। বড় ইমাম, মুজতাহিদ, শামসুল আযিম্মা আস্সরহসি নামে প্রসিদ্ধ হযরত আবু বকর মুহাম্মদ বিন আহমদ বিন আবু সাহল বলেন, জ্ঞান দু’ধরণের- আল্লাহ তায়ালার সত্তাগত ও গুণগত জ্ঞান; ইহাই প্রকৃত জ্ঞান। অন্যটি ফিকাহ ও শরীয়তের জ্ঞান।


মানবজাতি উভয় জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত। প্রত্যেক লোক যারা উপকৃত হতে চায় (তাদের প্রতি ব্যাপকভাবে সম্বোধনটি আরোপিত হয়েছে) মানব স্বাধীন হউক কিংবা অধীন হউক। 


▪এ জন্যে মানবজাতির শরাফত বর্ণায় আল্লাহ তায়ালা বলেন,

 فاوحىٰ الٰى عبدهِ ما اوحىٰ 

তিনি তাঁর বান্দার প্রতি ঐশী বাণী প্রেরণ করেছেন।


সুতরাং ইহা হলেন নবী করিম (ﷺ) এর বিশেষত্ব এবং তাঁর উত্তরাধিকারী হলেন ওলামায়ে কেরামগণ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, এ সংক্ষিপ্ত পুস্তকটি জরুরী বিধানাবলীর যা কোরআন-হাদীস ও গ্রহণযোগ্য কিতাবাদি যেমন- হেদায়া, হানাফী মাজহাবের আলকাফী, হুলাছাতু কিদানি প্রমুখ হতে সংকলিত; যাহা পালনীয় ও বর্জনীয় বিধানাবলী সম্বলিত (সকল সৎ কর্মের আদেশে আদিষ্ট ও অপকর্মের নিষেধাজ্ঞায় নিষিদ্ধ) ‘‘র্কুরতুল উয়ুন লিমানিল মুমিনুনাল মুখলিছুন” নামে নামকরণ করা হয়েছে। অতএব এ সকল বিধানাবলীর অর্থসহ বর্ণনা করা আবশ্যক যাতে অনুসন্ধানীরা সহজে আয়ত্ত করতে পারে।


অত:পর আল্লাহ তায়ালার তাওফীকে বলছি শরীয়তের আদিষ্ট বিধানাবলী চার প্রকার ও নিষিদ্ধ বিধানাবলী দু’প্রকার- হারাম ও মাকরূহ, উভয়কে আদিষ্ট কর্মের ভঙ্গকারী বলা হয়। আদিষ্ট বিষয়াদি চারটি- ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব এর সাথে সংযুক্ত হয় উভয় দিক বৈধ তথা মুবাহ।


উপস্থাপন: অভিপ্রায় উপাসনার মাধ্যম বা উপকরণ


البدا(اى الوسيلة للعبادة المقصودة)


قوله تعالٰى, يا ايها الذين اٰمنوا اذا قمتم الٰى الصلوٰة فاغسلوا وجوهكم وايديكم الى المرافق وامسحوا برؤسكم وارجلكم الى الكعبين .


يسبغ الوضؤ وهو ان يتوضّأكما امره الله سبحانه وتعالى عملا .


وقول النبى صلى الله عليه وسلم لاتقبل صلوة بغير طهور.


فالامر القطعى (اى الفرض) اربعة بنصّ القراٰن الكريم (১) غسل الوجه (২) واليدين الى المرفقين (৩) ومسح الرأس (৪) وغسل الرِّجلين .


আল্লাহ তায়ালার বাণী- হে ঈমানদারগণ! তোমরা নামায আদায় করার ইচ্ছা করলে তোমাদের মুখমন্ডল, কনুইসহ হাত ধৌত কর, শির মর্দন কর ও গোড়ালিসহ পা ধৌত কর। পরিপূর্ণ করে অযু করার অর্থ হল- আল্লাহ সুবহানাহু, তায়ালার নির্দেশ মোতাবেক অযুর বাস্তব রূপ দেয়া। নবী করিম (ﷺ) এর বাণী- পবিত্রতা বিহীন নামায অগ্রহণযোগ্য। অতএব অকাট্য হুকুম তথা ফরয চারটি যাহা কোরআনের দলীল দ্বারা প্রমাণিত। 

১) মুখমন্ডল ধৌত করা 

২) উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা 

৩) শির মর্দন করা 

৪) উভয় পা ধৌত করা।

Top