ওহাবীরা মুশরিকদের চেয়েও বােকাঃ 



বাকী রইলাে, তাদের কথা-‘তিনি জাননে না, কিন্তু যা আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন’ এটা হলাে সত্যকথা কিন্তু তা দ্বারা তারা বাতিল ইচ্ছা করেছে। অনুরূপ, তাদের বক্তব্য-- কতেক গায়ব ও কোন কোন সময় সম্পর্কে। এটা আমাদের দাবী নয় যে, নবীয়ে করীম  (ﷺ)  আল্লাহ তায়ালার সকল জ্ঞানকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছেন। 


না এটা মাখলুকের (সৃষ্টির) জন্য অসম্ভব যেমন আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি। অতিসত্তর আমি আপনাদের নিকট বর্ণনা করবাে যে, আল্লাহ তায়ালা নবীয়ে করীম  (ﷺ) কে শিক্ষা দেন পবিত্র কুরআনে করীমের মাধ্যমেই, আর কুরআন | 


ক্রমান্বয়ে কম কম অবতীর্ণ করেছেন,প্রত্যেক সময় অবতীর্ণ করেননি। তাহলে সময় ও জ্ঞানসমূহ উভয়েই আংশিক হওয়াই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ওহাবীরা এ (আংশিক) দ্বারা ক্ষুদ্র, নগণ্য ও অবজ্ঞাই বুঝেছে যে, রাসুলে পাক  (ﷺ)  কে তাদের ন্যায় অসভ্য, পাপীদের সাথে কিয়াস করে বসেছে। যেমন তা মুশরিকদের প্রাচীন অভ্যাস যে, যখন তাদের নিকট রাসুলগণ আগমন করতাে তখন তারা। বলতাে, “এরাতাে আমাদের মত মানুষই”। 


বরং ওহাবীরা ঐ মুশরিকদের থেকেও অতিরিক্ত বােকা ও পথভ্রষ্ট। একারণে যে, মুশরিক, যারা রাসুলদেরকে নিজেদের মত বলতাে, তা এ বক্তব্যের ভিত্তিতে যে, রহমান (দয়াময়) আল্লাহ্ । কোন কিছু অবতরণ করেননি। সুতরাং যখন তারা কিতাব অবতরণ ও রিসালত পাওয়াকে অস্বীকার করছে, তখন বশরিয়ত ব্যতীত কিছুই রইলােনা যা তাদের ধারণায় নগণ্য ছিলাে। কিন্তু এরাতাে রিসালতের দাবীদার, তবুও রাসুলদের। তাদের মর্যাদায় নিয়ে আসছে। আল্লাহর পবিত্রতা, যিনি অন্তর ও চক্ষুসমূহ পরিবর্তন করে দেন। আসলে তাদের এ রােগ এ কারণে সৃষ্টি হয়েছে যে, যা । অতিবাহিত হয়েছে আর যা সংঘটিত হবে সব কিছুর জ্ঞান হুজুর সৈয়দে আলম  (ﷺ)  জানেন। -এর অর্থ আমরা যা বর্ণনা করে এসেছি, তা তাদের কাছে অনেকই মনে হয়। তাদের ভ্রষ্ট আকলের অনুমানে রাসুলুল্লাহ  (ﷺ) -এর জন্য তা বিশুদ্ধ হওয়া বুঝে আসে না। যেমনিভাবে অন্যান্য আম্বিয়া ও আওলিয়ায়ে কিরাম সম্পর্কে। আর এটা তাদের জন্য অনেক বড় ও কঠিন কর্ম । 

তারা আল্লাহর মর্যাদা ও পরিচয় যথাযথভাবে লাভ করেনি, তাঁর হুকুম ও শক্তির প্রশস্ততা জানেনি এবং রাসুলদের তাদের উর্বর মস্তিষ্ক দ্বারাই পরিমাপ করেছে। সুতরাং যে কথার জ্ঞান। তাদের ধারণায় আসেনি, তা অস্বীকার করে বসেছে। 

Top