দ্বাদশ অধ্যায় 


সালামের সুন্নাত


(১) কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাতের সময় সালাম করা সুন্নাত।



(২) মাকতাবাতুল মাদীনা থেকে প্রকাশিত বাহারে শরীয়তের ১৬ তম খন্ডের ১০২ পৃষ্ঠায় লিখিত অংশের সারমর্ম হচ্ছে : সালাম করার সময় অন্তরে যেন এ নিয়্যত থাকে যে, আমি যাকে সালাম করছি তার সম্পদ ও মান সম্মান সবকিছু আমার হিফাযতে এবং আমি এসব কিছুর কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে হারাম মনে করছি।



(৩) দিনে যতবার সাক্ষাত হয়, এক রুম থেকে অন্য রুমে বারবার আসা যাওয়াতে সেখানে উপস্থিত মুসলমানদেরকে সালাম করা সাওয়াবের কাজ।



(৪) আগে সালাম করা সুন্নাত।



(৫) প্রথমে সালামকারী আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী ও প্রিয়।



(৬) প্রথমে সালাম দানকারী ব্যক্তি অহংকার থেকে মুক্ত। যেমন আমাদের প্রিয় নবী ﷺ ইরশাদ করেন, সর্বপ্রথম সালামকারী অহংকারমুক্ত। 


(শুয়া'বুল ঈমান, খন্ড-৬, পৃ-৪৩৩)



(৭) প্রথমে সালাম প্রদানকারীর উপর ৯০টি রহমত এবংউত্তর প্রদানকারীর উপর ১০টি রহমত অবতীর্ণ হয়। 


(কিমিয়ায়ে সাআদাত)



(৮) (আস্সালামু আলাইকুম) বললে দশটি নেকী অর্জন হয় সাথে (ওয়া-রাহমাতুল্লাহি) বৃদ্ধি করলে ২০টি নেকী অর্জন হয় এবং (ওয়াবারাকাতুহু) বৃদ্ধি করলে ৩০টি নেকী অর্জন হয়। অনেকেই সালামের সাথে জান্নাতুল মকাম এবং দোযখ হারাম ইত্যাদি শব্দ বৃদ্ধি করে এটা ভুল পদ্ধতি বরং অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে (আল্লাহর পানাহ! এটা পর্যন্ত বলে আপনার সন্তান আমার গোলাম।) 


ইমামে আহলে সুন্নাত, ইমাম আহমদ রেযা খাঁন رحمة الله ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ খন্ড-২২, পৃষ্ঠা -৪০৯ তে লিখেন, কমপক্ষে (আস্সালামু আলাইকুম) আর এর চাইতে উত্তম (ওয়া- রাহমাতুল্লাহি) মিলানো, সর্বোত্তম হচ্ছে (ওয়াবারাকাতুহু) শামিল করা এর অতিরিক্ত করা উচিত নয়। সালামকারী যত শব্দ বলেছে উত্তরে ততটুকু অবশ্যই বলুন উত্তম হচ্ছে কিছুটা বৃদ্ধি করা। সালাম প্রদান কারী (আস্সালামু আলাইকুম) বললে উত্তরে সে (ওয়াআলাইকুম আস্সালাম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি) বলবে আর যদি সে (আস্সালামু আলাইকুম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি) বলে তবে উত্তরে সে (ওয়াআলাইকুম আস্সালাম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু) বলবে। আর যদি (ওয়াবারাকাতুহু) পর্যন্ত বলে তবে উত্তর প্রদানকারী ততটুকুই বলবে এর অতিরিক্ত বলবে না। আল্লাহ অধিক জানেন।



(৯) এভাবে উত্তরে(আস্সালামু আলাইকুম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি) বলবে আর যদি সে (ওয়াআলাইকুম আস্সালাম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু) বলে ৩০টি নেকী অর্জন করতে পারবেন।



(১০) সালামের উত্তর সাথে সাথে এতটুকু আওয়াজে উত্তর দেওয়া ওয়াজিব যেন সালাম প্রদানকারী শুনতে পায়।



(১১) সালাম ও সালামের উত্তরের সঠিক উচ্চারণ মুখস্ত করে নিন। (আস্সালামু আলাইকুম) এবার উত্তর পুনরাবৃত্তি করবেন (ওয়াআলাইকুম আস্সালাম ওয়া- রাহমাতুল্লাহি)

Top