নারীর বিশেষ মর্যাদা


ইসলামী নর-নারী উভয়ের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে বরং কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর মর্যাদা সমুন্নত করা হয়েছে। কারণ তারা হলেন মা-বোন। তারা সন্তানের গর্ভধারিনী, দুধপানকারী এবং শিশুকালে লালন-পালনকারিনী। মহানবী (ﷺ)বিভিন্ন সময় নারীদের ফযিলত বর্ণনা করে তাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। হাদিস শরীফে বর্নিত আছে-

يا معشر النسوان أما إن خياركن يدخلن الجنة قبل خيار الرجال فليغسلن ويطببن في دفعن إلى أزواجهن على براذين ( براذين : البرذون : الدابة . الحمر والصفر معهن الولد انك أنهن اللؤلؤ المنثور 

হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, হে মহিলাদের দল! স্মরণ রেখো, তোমাদের মধ্যে যে পূণ্যবতী, সে সৎপুরুষদের পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর তাকে গোসল করিয়ে, সুগন্ধি লাগিয়ে স্বামীর নিকট সোপর্দ করা হবে। লাল ও হলুদ রঙের সৌন্দর্যপূর্ণ সাওয়ারীরর ওপর এবং তার সাথে তার বাচ্চা থাকবে- যেন ছড়ানো মুক্তা। ৪৮

৪৮.আলাউদ্দিন আলী ইবনে হুসসামউদ্দিন র. (৯৭৫ হি.), কানযুল উম্মাল, খণ্ড.১৬, পৃ; ১৭১

 

عن ام سلمة قلت يارسول الله انساء الدنيا افضل ام الحور العين قال نساء الدنيا افضل من الحور العين كفضل الظهارة على البطانة قلت يارسول الله وبم ذا ؟ قال لصلا تهن وصيامهن وعبادتهن الله عزوجل-  

হযরত উম্মে সালমাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসূল! দুনিয়ার মহিলারা শ্রেষ্ঠ নাকি জান্নাতের ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ উত্তম? উত্তরে তিনি বললেন, জান্নাতী ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ থেকে দুনিয়ার নারীজাতি শ্রেষ্ঠ। শ্রেষ্ঠত্বের দিক দিয়ে তারা এমন যেমন আভ্যন্তরীণ থেকে প্রকাশমান উত্তম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এর কারণ কী? তিনি বললেন- তাদের নামায, রোযা ও ইবাদতের কারণে। ৪৯

৪৯.ইমাম তাবরানী র. (৩৬০ হি.) সূত্র. আশারাতুন নিসা, পৃ. ৫৪০

 

হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন যার একটি কন্যা বা বোন আছে, সে তাকে জীবন্ত প্রোথিত করেনি এবং তাকে তুচ্ছও মনে করেনি আর তার উপর পুত্র সন্তানকে প্রাধান্যও দেয়নি, তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ৫০

৫০.আবু দাউদ, সূত্র. মিশকাত, পৃ; ৪২৩

Top