হায়রে নারী মায়ের জাত
বর্তমান নারী সমাজ আরেকটি বিষয়ে জঘন্য অনুকরণ শুরু করেছে। আর তা হচ্ছে ছেলেদের পোশাক। নিজেকে বিলিয়ে এরা পরের ধাঁচে নিজেকে গড়ে নিজস্ব সত্তাকেও বিলিয়ে দিচ্ছে। অথচ কোন পুুরুষ মেয়েদের পোশাক পড়ে বাইরে দেখাতে যায় না।শাড়ী ব্লাউজ অথবা সালোয়ার কামিজ পড়ে ঘোরে না। অথচ এ যুগের বুদ্ধিমতী রমনীগণ পুরুষের পোশাক পরে পুরুষ সেজে যে লজ্জাহীনতা ও হীনমন্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই অতি দুঃখজনক। অথচ নারীদের জন্য পুরুষের মত জুতা পরিধান করা এবং পুরুষের বেশ ধারণ করা হারাম। এ ধরনের নারীর উপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অভিশম্পাত করেছেন।
বর্তমানে এরা আবার সস্তা অধিকার আদায়ের জন্য ময়দানে নেমেছে। আন্দোলন করছে, মিছিল করছে। তারা এমনও বক্তব্য দিচ্ছে যে, শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার। এদের যে নেতৃত্ব দিচ্ছে সে হয়ত ঘোষণা দিয়ে ফেলেছে যে, সে নাস্তিক। আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। তার কাজে ভাগ্য কোন ফ্যাক্টর নয়। পরিশ্রমে ভাগ্য গড়া যায়। বিবাহ প্রথার অবমাননা করে বলে বিবাহ দ্বারা মানুষ শৃংখলিত হয়। পুরুষের দাসীতে পরিণত হয়। কি বিচিত্র কথাবার্তা! আন্দোলনকারীরা জানে না যে অধিকার আদায়ের নামে তারা মাঠে নেমেছে সেটা বেহায়াপনা ও যৌন স্বাধীনতা ছাড়া আর কি হতে পারে? ফলস্বরূপ আমাদের চোখে দেখতে হচ্ছে বিচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের ব্যভিচার দৃশ্য। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ মেলামেশার ফলে আমাদের সোনার বাংলাদেশ একদিন পিতৃপরিচয়হীনজারজ সন্তানে ভরে যাবে।
নারীর স্বেচ্ছাচারিতার সামগ্রিক ফলস্বরূপ ধ্বংস হয়ে যাবে একটি দেশ। ধ্বংস করার ব্রত খুঁজছে। নরের সাথে ঝগড়া-ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়েছে। করছে আঘাত। স্বাভাবিকভাবেই সে মর্মপীড়ায় পীড়িত। এ কারণেই তারা অফিস কক্ষের কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করতে পারবে না। এক ফাইলের সই দিবে অন্য ফাইলে। চোখে ভুল ধরা পড়বে না। কেননা পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে কাছে পেতে চায় আর সে স্ত্রী যদি তখন পার্টিতে ক্লাবে চাইনিজ রেস্তোরাঁয় অবস্থান করে তখন একজন পুরুষের সুন্দরতম মানসিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটবেই। কিন্তু একথা বর্তমান যুগের নারীদের বলতে গেলেই তারা নিজের পরাধীনতার কথা তুলবে। বলবে, এই পুরুষটির জন্যই জীবনে সুখ হল না। এহেন মনের পরিস্থিতিতে একজন নর নারীকে ছেড়ে পর নারীর কাছে যেতে চাইবেই। একজন নারীর জন্য তার স্বামী হতে পারে ঘরমুখী অথবা পরমুখী। আর নারী ‘শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার’ শ্লোগান তুলে যাবে অন্য একজন পুরুষের কাছে। বিচিত্র কিছুই না অথচ নিয়মিত যাতায়াত শুরু করতে জুলকিনা চালিয়ে গেলে মিছিলের সহকারিণীরই জানালার শিক ঘরে উঁকিঝুঁকি মারবে। ফিস ফিস করবে। নিশ্চয়ই এটি বেশ বড় সাফল্য! অথচ যে দেহ আমার আমার বলে বেড়াচ্ছো ভেবে দেখেছো কি এর শেষ পরিণতি কি? ইদানীং নারী সহকর্মিনী বাদ দিয়ে সবল সবল পুরুষদের সাথে মাঠে নামছে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে। অথচ এক সময় এমন হবে যে, এ গর্বের তনুখানা কতগুলো ব্যাকটেরিয়া ঝাঝরা করে করে খাবে। কিন্তু এ চিন্তা করার সময়ও তো নেই। এক ঘরে মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা রোদন করছে। অপর দিকে চলছে আধুনিক নৃত্য সংগীত। এরা ধর্মের বিধানকে সাম্প্রদায়িকতায় বিধৌত করে নতুন মানবধর্ম তৈরি করছে। ইসলাম সম্বন্ধে মুখে বিছমিল্লাহ উচ্চারিত হলেও এরা স্বীকার করে না। বিশ্বাস করে না অন্তরে। আর আমল? সে তো আধুনিক ফ্যাশনের নিকট লজ্জিত। এদের মুখে কানে সেই গান যাতে হৃদয়ে প্রেমের গদ্য রচিত হয়। প্রেমিকের তরে উঠে আহাজারী। দেশীয় গান দিয়েও এরা ক্ষান্ত হয় না। উর্দূ হিন্দি অথবা বিচিত্র সুরের ইংরেজি গান। সাথে চলে ডিসকো-নর্তন আর কুর্দন। বিভিন্ন ধরনের তাল সামলাতে না পেরে চলে যায় বিচিত্র আরেক জগতে। সেখানে কেবল রূপ আর বস্ত্রের প্রদর্শনী নয় সাথে চলে শরীর প্রদর্শনী। নারীর শরীরী ঢেউয়ের দোলায় পুরুষের জিভে জল ঝরুক, গন্ধ নিয়ে খাওয়ার স্বাদ মিটাক অথবা নিরুপায় হয়ে হাইজ্যাক, কিডন্যাপ কিংবা ব্যর্থ হয়ে এসিড ছুড়–ক। আধুনিক মডেলের নারীরা যদি তাই না চায় তাহলে রাস্তার পুরুষকে খুশি করতে প্রসাধনী ফার্স্ট ক্লাশ হতে বিউটি পার্লারে ঘন ঘন যাতায়াতই বা হবে কেন? স্বামী বা পিতার নিকট হতে মেয়েরা এই অর্থ আদায় করে থাকে। আর সেই অর্থ দিয়ে অন্য পুরুষকে দেখানোর জন্য নারী হয়ে অন্য নারীকে সৌন্দর্যে টেক্কা দেয়ার জন্য রূপচর্চার প্রতিযোগিতায় এরা অহর্নিশি অর্থ অপব্যয় করে থাকে। কিন্তু এগুলো বড়জোর কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। নতুন করে সাজতে হয় আবার। একজন অবিবাহিতা অথবা বিবাহিতা নারীর কয়েকজন পুরুষ বন্ধু অথবা প্রেমিকা বুকে হাত দিয়ে কেউ কি বলতে পারবে কোন পুরুষ সে নারীর শরীরের কোন অংশে তার হাত অথবা মুখ লাগায়নি। অবৈধভাবে কাউকে ভালোবাসতে গেলে সে নারী এঁটো হয়ে ফিরবেই। নবী করিম বলেছেন- হালাল নয় এমন কোন নারীর সাথে টক্কর খাওয়ার চেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত কর্দমায় জড়িত শূকরের সাথে টক্কর লাগাও অধিক সহনীয়।২৮০
২৮০.তিবরানী, আবু উমামা, সূত্র. জান্নাতি রমণীর গুণাবলী