১১- بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ عَائِشَةَ الصِّدِّيْقَةَ

٣٧٩- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : إِنَّهُ لَيُهَوِّنُ عَلَيَّ الْـمَوْتَ أَنِّيْ رَأَيْتُكِ زَوْجَتِيْ فِي الْـجَنَّةِ .

وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنِّيْ رَأَيْتُكِ زَوْجَتِيْ فِي الْـجَنَّةِ ، ثُمَّ الْتَفَتَ، وَقَالَ: هُوِّنَ عَلَيَّ الْـمَوْتُ، لِأَنِّيْ رَأَيْتُ عَائِشَةَ فِي الْـجَنَّةِ .


বাব নং ১৯৩. ১১. হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র ফযীলত


৩৭৯.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম নখঈ থেকে, তিনি আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আমি জান্নাতে তোমাকে (আয়েশা) আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি। ফলে মৃত্যু আমার উপর সহজ হয়ে গেল।


অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূল (ﷺ)(সাঃ) আয়েশা (رضي الله عنه) কে বললেন, আমি তোমাকে জান্নাতে আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি। এরপর দৃষ্টিপাত করে বললেন, আমার উপর মৃত্যু সহজ হয়ে গিয়েছে। কেননা আমি আয়েশাকে জান্নাতে দেখেছি। 

(আল মু’জামুল কবীর, ২৩/৩৯/৯৮)


ব্যাখ্যা: হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه)কে রাসূল (ﷺ)  অত্যন্ত ভালবাসতেন। তাঁকে ব্যতীত তিনি শান্তি পেতেন না। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে বেহেস্তে আয়েশা (رضي الله عنه)’র সদৃশ্য দেখিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আর এ ভালবাসা প্রকাশ পূর্বক নবী করমি (ﷺ)  বলেছেন বেহেস্তে তাঁকে প্রত্যক্ষ করায় আমার কাছে মৃত্যু সহজ মনে হয়েছে।


٣٨٠- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ: لَقَدْ كُنَّ لِيْ خِلَالٌ سَبْعٌ لَـمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ : كُنْتُ أَحَبَّهُنَّ إِلَيْهِ أبًا، وَأَحَبَّهُنَّ إِلَيْهِ نَفْسًا، وَتَزَوَّجَنِيْ بِكْرًا، وَمَا تَزَوَّجَنِيْ حَتَّى اتَاهُ جِبْرِيْلُ بِصُوْرَتِيْ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ جِبْرِيْلَ، وَمَا رَآهُ أَحَدٌ مِنَ النِّسَاءِ غَيْرِيْ، وَكَانَ يَأْتِيْهِ جِبْرِيْلُ وَأَنَا مَعَهُ فِيْ شِعَارِهِ، وَلَقَدْ نَزَلَ فِيَّ عُذْرٌ كَادَ أَنْ يَهْلِكَ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَلَقَدْ قُبِضَ رَسُوْلُ اللهِ  فِيْ بَيْتِيْ وَلَيْلَتِيْ وَيَوْمِيْ، وَبَيْنَ سَحْرِيْ وَنَحْرِيْ.


৩৮০.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা শা’বী থেকে, তিনি আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার মধ্যে এমন সাতটি বৈশিষ্ট্য আছে যা নবী করমি (ﷺ) ’র অন্য কোন বিবির মধ্যে নেই। আমার পিতা রাসূল (ﷺ) ’র নিকট সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন এবং আমিও তাঁর কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় ছিলাম। 

দুই. আমিই তাঁর কুমারী স্ত্রী ছিলাম। 

তিন. হযরত জিব্রাঈল (আ) আমার আকৃতি তাঁর নিকট নিয়ে আসায় তিনি আমাকে বিয়ে করেছেন। 

চার. আমি জিব্রাঈল (আ)কে দেখেছি। আমি ছাড়া কোন স্ত্রী জিব্রাঈল (আ) কে দেখেননি। 

পাঁচ. আমি রাসূল (ﷺ) ’র সাথে একই চাদরের নীচে থাকা অবস্থায় জিব্রাঈল (আ) এসেছেন। 

ছয়. আমার (পবিত্রতার) ব্যাপারে কুরআন নাযিল হয়েছে। না হয় একদল লোক ধ্বংস হয়ে যেতো। 

সাত. রাসূল (ﷺ) কে আমার ঘরেই জান কবজ করা হয়েছে, আমার পালার দিনে-রাতে আর আমার বক্ষ ও গলার মধ্যবর্তী স্থানে মাথা মোবারক রেখে। 

(মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বা, ১২/১২৯/৩২৯৪৪)


٣٨١- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَوْنِ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ: فِيَّ سَبْعُ خِصَالٍ لَيْسَتْ فِيْ وَاحِدَةٍ مِنْ أَزْوَاجِ رَسُوْلِ اللهِ : تَزَوَّجَنِيْ وَأَنَا بِكْرٌ، وَلَـمْ يَتَزَوَّجْ أَحَدًا مِنْ نِسَائِهِ بِكْرًا غَيْرِيْ، وَنَزَلَ جِبْرِيْلُ بِصُوْرَتِيْ، قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِيْ، وَلَـمْ يَنْزِلْ بِصَورَةِ وَاحِدَةٍ مِنْ نِسَائِهِ غَيْرِيْ، وَأَرَانِيْ جِبْرِيْلَ، وَلَـمْ يُرِهِ أَحَدًا مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِيْ، وَكُنْتُ مِنْ أَحَبِّهِنَّ إِلَيْهِ نَفْسًا وَأَبًا، وَنَزَلَتْ فِيَّ آيَاتٌ مِنَ الْقُرْآنِ، كَادَ أَنْ يَهْلِكَ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَمَاتَ فِيْ لَيْلَتِيْ وَيَوْمِيْ، وَتُوُفِّيَ بَيْنَ سَحْرِيْ وَنَحْرِيْ.

وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّهَا قَالَتْ: إِنَّ فِيَّ سَبْعَ خِصَالٍ مَا هُنَّ فِيْ وَاحِدَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ: تَزَوَّجَنِيْ بِكْرًا وَلَـمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرِيْ، وَأَتَاهُ جِبْرِيْلُ بِصُوْرَتِيْ، قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِيْ، وَلَـمْ يَأْتِهِ جِبْرِيْلُ بِصُوْرَةِ أَحَدٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِيْ، وَكَنْتُ أَحَبِّهِنَّ إِلَيْهِ نَفْسًا وَأَبًا، وَأُنْزِلَ فِيَّ عُذْرٌ، كَادَ يَهْلِكَ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَمَاتَ فِيْ يَوْمِيْ وَلَيْلَتِيْ، وَبَيْنَ سَحْرِيْ وَنَحْرِيْ، وَأَرَانِيْ جِبْرِيْلَ، وَلَـمْ يُرِهِ أَحَدًا مِنْ أَزْوَاجِهِ غَيْرِيْ.


৩৮১.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আউন থেকে, তিনি আমের শা’বী থেকে, তিনি আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার মধ্যে এমন সাতটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নবী করমি (ﷺ) ’র অন্য কোন স্ত্রীদের মধ্যে নেই। 

১. তিনি আমাকে কুমারী অবস্থায় বিয়ে করেছেন। তিনি আমি ব্যতীত কাউকে কুমারী অবস্থায় বিবাহ করেননি। 

২. আমার বিবাহের পূর্বে হযরত জিব্রাঈল (আ) আমার আকৃতি রাসূল (ﷺ) ’র নিকট পেশ করেছেন। আমি ব্যতিত জিব্রাঈল (আ) আর কারো আকৃতি নিয়ে অবতীর্ণ হননি। 

৩. আমি জিব্রাঈল (আ) কে দেখেছি। তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে আমি ব্যতীত আর কেউ জিব্রাঈল (আ) কে দেখেন নি। 

৪. আমি এবং আমার পিতা রাসূল (ﷺ) ’র নিকট অধিক প্রিয় ছিলাম। 

৫. আমার পবিত্রতা ঘোষণা করে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে, না হলে একদল লোক ধ্বংস হয়ে যেতো। 

৬. আমার পালার দিন রাতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। 

৭. আর আমার বুক ও গলার মধ্যবর্তী স্থানে তাঁর রূহ কবজ করা হয়।


অন্য এক বর্ণনায় আছে, হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, আমার মধ্যে এমন সাতটি বৈশিষ্ট্য আছে, যা নবী করমি (ﷺ) ’র অন্য কোন স্ত্রীদের মধ্যে ছিলনা। 

১. তিনি আমাকে কুমারী অবস্থায় বিয়ে করেছেন। তিনি আমি ব্যতীত কাউকে কুমারী অবস্থায় বিবাহ করেননি। 

২. আমার বিবাহের পূর্বে হযরত জিব্রাঈল (আ) আমার আকৃতি রাসূল (ﷺ) ’র নিকট পেশ করেছেন। আমি ব্যতিত জিব্রাঈল (আ) আর কারো আকৃতি নিয়ে অবতীর্ণ হননি। 

৩. আমি নিজেই এবং আমার পিতা তাঁর নিকট খুবই প্রিয় ছিলাম। 

৪. আমার জন্য পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে (এ বিষয়ে) একদল লোক ধ্বংস হয়ে যেতো। 

৫. তিনি আমার পালার দিন রাতে ইন্তেকাল করেছেন। 

৬. আমার বক্ষ ও গলার মধ্যবর্তী স্থানে মাথা মোবারক রেখে। 

৭. আমি জিব্রাঈল (আ) কে দেখেছি, আমি ব্যতীত তার অন্য কোন স্ত্রী জিব্রাঈল (আ) কে দেখেন নি। 

(প্রাগুক্ত)


ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদিসের সাতটি বিষয়ে হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরো অনেক হাদিস বিদ্যমান। এগুলোর দ্বারা অন্যান্য বিবিগণের মধ্যে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। তবে হযরত খাদীজা, আয়েশা ও ফাতিমা (رضي الله عنه)’র মধ্যে কে অধিক উত্তম? প্রত্যেকের ফযীলতের উপর হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এগুলোর দৃষ্টিকোণে তাঁদের মধ্যে একজনের উত্তম হওয়ার বিষয়টি মীমাংসা করা খুবই কঠিন ব্যাপার। আল্লাহমা তকী উদ্দিন সুবকী (رضي الله عنه) ফযীলতের ক্রমধারা বর্ণনা করে বলেন, প্রথম হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه), অতঃপর হযরত খাদীজা (رضي الله عنه) অতঃপর হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র স্থান। 


হযরত খাদীজা (رضي الله عنه) বয়সের পরিপক্কতা, অভিজ্ঞতা, রাসূল (ﷺ) ’র জন্য আত্মত্যাগ, ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামী হওয়া, তাঁর দুঃখে-কষ্টে সান্ত্বনা প্রদান, আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান, রাসূল (ﷺ) ’র প্রায় সকল সন্তান তাঁর থেকে জন্ম লাভ করা, হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه)’র সম্মানিত মা হওয়া এবং তাঁর সাথে দীর্ঘ দিন দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা ইত্যাদি কারণে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) ইলম, ইজতিহাদ, ফকীহ, এমনকি তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আহকামে শরীয়তের এক চতুর্থাংশ তাঁর থেকে বর্ণিত, মুহাদ্দিস, কুমারী ও উপরে বর্ণিত গুণাবলীর দ্বারা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। অপর দিকে রাসূল (ﷺ) ’র একমাত্র কন্যা, তার কলিজার টুকরা, তাঁর সাথে স্বভাব-চরিত্রে সাদৃশ্য থাকা এবং জান্নাতে মহিলাদের সর্দার হওয়া ইত্যাদি কারণে হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه)’র শ্র্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা একেক জনকে একেক বৈশিষ্ট্য দিয়ে বিশেষিত করেছেন।


٣٨٢- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ مَسْرُوْقٍ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا حَدَّثَ عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي الصِّدِّيْقَةُ بِنْتُ الصِّدِّيْقِ، الْـمُبَرَّأَةُ، حَبِيْبَةُ رَسُوْلِ اللهِ  .


৩৮২.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইব্রাহীম থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি মাসরূক থেকে বর্ণনা করেন, যখন তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন সিদ্দীকা, যিনি সিদ্দীকের কন্যা, যিনি পবিত্র এবং রাসূল (ﷺ) ’র প্রিয়। 

(আল মু’জামুল কবীর, ২৩/১৮১/২৮৯)


ব্যাখ্যা: ইফক বা অপবাদের ঘটনায় হযরত সিদ্দীকা (رضي الله عنه)’র সত্যবাদিতা ও সততা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই তাঁর নামের সাথে সিদ্দীকা উপাধি লাভ করেছেন। যেহেতু তাঁর পবিত্রতা আসমানী সাক্ষ্য ও কুরআনের সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত, এজন্য তাঁকে مبرات উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রাসূল (ﷺ)  ’র অতি প্রিয় ছিল বলে তাঁকে حبيبة الرسول উপাধি দ্বারা ভূষিত করা হয়েছে।


٣٨٣- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَىٰ عَائِشَةَ لِيَعُوْدَهَا فِيْ مَرَضِهَا، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ: إِنِّيْ أَجِدُ غَمًّا وَكَرْبًا، فَانْصَرِفْ، فَقَالَ لِلرَّسُوْلِ: مَا أَنَا بِالَّذِيْ يَنْصَرِفُ حَتَّى ادْخُلَ، فَرَجَعَ الرَّسُوْلُ، فَأَخْبَرَهَا بِذَلِكَ، فَأَذِنَتْ لَهُ، فَقَالَتْ: إِنِّيْ أَجِدُ غَمًّا وَكَرْبًا، وَأَنَا مُشْفِقَةٌ مِمَّا أَخَافُ أَنْ أُهْجَمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَـهَا ابْنُ عَبَّاسٍ : أَبْشِرِيْ، فَوَاللهِ، سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ، يَقُوْلُ: عَائِشَةُ فِي الْـجَنَّةِ ، وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ  أَكْرَمَ عَلَى اللهِ أَنْ يُزَوِّجَهُ حَمْرَةً مِنْ حُمَرِ جَهَنَّمَ، فَقَالَتْ: فَرَّجْتَ فَرَّجَ اللهُ تَعَالَىٰ عَنْكَ .


৩৮৩.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়শাম থেকে, তিনি ইকরামা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র অসুস্থ অবস্থায় তাঁর সেবা করার জন্য তাঁর নিকট যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি ইবনে আব্বাসের নিকট সংবাদ পাঠান যে, আমি ব্যাথা-বেদনায় কষ্টে আছি, এখন চলে যান। অতঃপর তিনি রাসূল (ﷺ)  কে বললেন, আমি তাঁকে না দেখে ফিরে যাবনা। এরপর রাসূল (ﷺ)  ফিরে এলে তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র নিকট পুনরায় আবেদন জানালেন। তখন তিনি তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। এরপর বললেন, আমি দুঃখ-বেদনায় পতিত হয়েছি এবং মৃত্যু যন্ত্রণাকে ভয় করছি। তখন ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) তাঁকে বললেন, সুসংবাদ নিন, খোদার কসম, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, আয়েশা জান্নাতে থাকবে। রাসূল (ﷺ) ’র মর্যাদা আল্লাহর কাছে জাহান্নামের অগ্নি স্ফুলিঙ্গের সাথে তাঁর বিবাহ হওয়ার চেয়ে অনেক বেশী। (অর্থাৎ তাঁর সাথে কোন জাহান্নামী মেয়ের বিবাহ হতে পারেনা) তখন আয়েশা (رضي الله عنه) বললেন, তুমি আমার দুঃখ দুরীভূত করে দিয়েছ, আল্লাহ তায়ালা তোমরা দুঃখ দুরীভূত করে দেবেন।

Top