অধিকাংশ মহিলা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُرِيتُ النَّارَ فَإِذَا أَكْثَرُ أَهْلِهَا النِّسَاءُ، يَكْفُرْنَ قِيلَ: أَيَكْفُرْنَ بِاللَّهِ؟ قَالَ: " يَكْفُرْنَ العَشِيرَ، وَيَكْفُرْنَ الإِحْسَانَ، لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ، ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ
হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, জাহান্নামে আমি মহিলাদেরকেই বেশি দেখতে পেয়েছি। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, এটা কেন হল হে আল্লাহর নবী ! হুজুর বলেন, অকৃতজ্ঞতার কারণে, জিজ্ঞেস করা হল তাহলে কি আল্লাহর না-শোকরিয়া করার কারণে। তারা সৌজন্যবোধের অকৃতজ্ঞতা এভাবে করে যে, তোমরা জীবনভর তাদের প্রতি এহসান কর অতঃপর কোন কারণে অখুশির কথা তথা অসন্তুষ্টিমূলক কোন কথা হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ বলে দেবে, আমি তার কাছে কখনো ভাল আচরণ পাইনি। ২৬৪
২৬৪.বুখারী খণ্ড. ২, পৃ. ৭৮৩
অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, হুজুর জাহান্নাম পরিদর্শনকালে এতে অধিকাংশ আরামপ্রিয় লোক ও মহিলাকে দেখতে পেয়েছেন। এর কারণ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বর্ণনা করেছেন, অধিকাংশ মহিলারা স্বামীর না শোকরিয়া করে থাকে। স্বামীর সারা জীবনের অনুকম্পা অল্পতেই ভুলে যায়।
মোটকথা, নিমক-হারামী ও অকৃতজ্ঞতা তাদের মধ্যে বেশি। মা ও বোনেরা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। উপরিউক্ত দুটি বিষয় ছেড়ে দিন। আল্লাহ পাক আপনার ভাগ্যে যে ধরনের স্বামীই নির্ধারণ করেছেন তাতেই তুষ্ট থাকুন। স্বামী আপনাকে কষ্ট দিলেও ধৈর্য ধরুন এবং জীবন অতিবাহিত করুন। যাবতীয় আশা আকাক্সক্ষা দুনিয়াতে পূর্ণ হবার নয়। স্বামীর পক্ষ থেকে যা কিছুই পেয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। ভুল করেও কখনো বলবেন না যে, কি পেলাম তোমার কাছ থেকে? ঘরে এসে আমার শান্তি হলো নাইত্যাদি। বরং বলুন, যা কিছুই পেলাম আল্লাহ পাক যা কিছুই দান করেছেন সবই ভালো। হে আল্লাহ! তোমার শোকরিয়া আদায় করছি। স্বামীকে বলুন, আপনি আমাকে যা দিলেন তাতো খুবই উত্তম। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এতে বেচারা স্বামী খুশি হবে এবং জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে না।