মসেহ বাতিল হওয়ার বর্ণনা


بيان ما يبطل المسح


اذا سقطت الجبائر بعد مامسح عليها فلا يخلو – اِمّا ان تسقط عن برء اولا عن برء ولا يخلو اما سقطت فى حالة الصلوٰة اوخارج الصلوٰة اما اذا سقطت لا عن برء فان كان فى الصلوٰة يمضى عليها – وان كان خارج الصلوٰة فانه يضع الجبائر عليها ولايعيد المسح وهو قائم وان زال الممسوح الضرر- اما اذا سقطت عن برء فان كان خارج الصلوٰة ان لم يحدث بعدالمسح يغسل موضع الجبائر لاغير وبطل المسح لانه صارقادرا على الاصل فيبطل حكم البدل فيجب عليه غسله – اما غسل سائر الاعضاء فقائم ولم يوجد ما يرفعه وهو الحدث – وان كان فى الصلوٰة يستقبل – لانه قدر على الاصل قبل حصول المقصود بالبدل. واذا برأت الجراحة لايجب عليه اعادة عندنا وعند الشافعىؒ يجب الاعادة .


والصحيح مذهبنا – لما روينا من حديث على رضى الله عنه ان النبى ﷺ لم يأمره باعادة الصلوٰة بعد البرء مع وقوع الحاجة .


ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ করার পর ব্যান্ডেজ খোলে যাওয়া কয়েক ধরণের হয়- ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার কারণে খোলে যায় বা না শুকিয়ে খোলে যায়। ইহা নামাযেও হতে পারে বা নামাযের বাহিরেও হতে পারে। না শুকিয়ে নামাযে খোলে গেলে সে অবস্থায় নামায শেষ করা হবে। নামাযের বাহিরে খুলে গেলে ব্যান্ডেজ বেঁধে নিতে হবে মসেহ পুনরায় করতে হবে না। উহা স্বীয় অবস্থায় বহাল থাকবে যদিও মসেহ করলে ক্ষতি সাধিত না হয়। তবে শুকিয়ে যাওয়ার পর নামাযের বাহিরে খোলে যায় এবং মসেহ করার পর হাদস না হয় তাহলে বান্ডেজের স্থান ধৌত করবে অন্য স্থান নয় এতে মসেহ বাতিল হয়ে যাবে; কেননা সে এখন আসলের ওপর সক্ষম হয়েছে। তাই বদলের হুকুম বাতিল হয়ে যাবে। অতএব তার ওপর ধৌত করা ওয়াজিব হবে। তবে সর্বাঙ্গ ধৌত করতে হবে না কেননা সর্বাঙ্গ ধৌত করার কারণ তথা হাদস পাওয়া যায়নি। নামায পড়া অবস্থায় খোলে গেলে নামায নতুন করে পড়তে হবে কেননা সে আমলের ওপর সক্ষম হয়েছে বদল দ্বারা মাকছুদ হাসিল করার পূর্বে। ক্ষতস্থান শুকিয়ে গেলে তা পুনরায় আদায় করা আমাদের মতে ওয়াজিব নয় শাফেয়ীর মতে ওয়াজিব। আমাদের মাজহাবই শুদ্ধ; কেননা হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যাতে নবী করিম (ﷺ) ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রয়োজন বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও নামায পুনরায় আদায় করার হুকুম দেননি।

Top