বিবাহের সংজ্ঞা


বিবাহ শব্দের আরবি প্রতিশব্দ হলো নিকাহ। নিকাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো মিলানো, একত্র করা ও সঙ্গম করা। রূপকভাবে এ শব্দটি বৈবাহিক বন্ধন অর্থেও ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ বলেন, নিকাহ শব্দটি মিলন ও বৈবাহিক বন্ধন উভয় অর্থেই সমানভাবে ব্যবহৃত হয়। যার দ্বারা স্বামী তার স্ত্রীর সাথে মিলনের অধিকার লাভ করে।৬৫

৬৫.আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী র (৮৫২ হি.), খণ্ড,৩


মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষা ও বংশবৃদ্ধির জন্য নারী-পুরুষের যৌনমিলন অপরিহার্য। এই যৌন জীবনকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও বংশধারার সঠিকত্বের জন্য বৈবাহিক প্রথা অপরিহার্য। হযরত আদম (عليه السلام) ও হযরত হাওয়া (عليه السلام) হলেন আদি মানব দম্পতি। তখন থেকে অদ্যবধি এই বিবাহ প্রথা চলে আসছে। যুগ, জামানা, জাতি, বর্ণভেদে বিবাহের বিভিন্ন প্রথা ও পদ্ধতি চালু ছিল এবং বর্তমানেও চালু আছে। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে জাহেলী যুগে আরব সমাজে বিবাহের নামে বহু কুপ্রথা ও অপসংস্কৃতি চালু ছিল। ইসলাম সকল কুসংস্কার ও অশ্লীলতার অবসান ঘটিয়ে পূত-পবিত্র ও সুশৃঙ্খল বিবাহ রীতি প্রবর্তন করে।


মানুষ যেহেতু পশু নয়, তাই উচ্ছৃঙ্খলভাবে যত্রতত্র যৌনক্ষুধা নিবারণের অনুমতি দেয়া হয়নি তাকে, বরং নিয়ম-নীতির আলোকে সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে সম্মানজনক পন্থায় কাম-চাহিদা পূরণ ও তা ফলপ্রদ করার পূণ্যময় রীতি প্রণয়ন করেছে শরীয়ত।

Top