৭- كِتَابُ الْـحَجِّ

১- بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّعْجِيْلِ فِي الْـحَجِّ

٢٢٠- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «مَنْ أَرَادَ الْـحَجَّ، فَلْيَتَعَجَّلْ».



৭. হজ্জ অধ্যায়


বাব নং ৯৯. ১.  তাড়াতাড়ি হজ্জ করা


২২০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতিয়্যা থেকে, তিনি আবু সাঈদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজ্জ পালনের ইচ্ছা করে, সে যেন তাড়াতাড়ি হজ্জ আদায় করে। 

(ইবনে মাজাহ, ২/৯৬২/২৮৮৩)


ব্যাখ্যা: হজ্জ তাড়াতাড়ি আদায়ের ব্যাপারে বায়হাকী শরীফে এই অতিরিক্ত বাক্য রয়েছে- فان احدكم لا يدرى ما يعرض له من مرض او حاجة “তোমাদের মধ্যে কেউ জানে না যে, তার কি রোগ হয়ে যেতে পারে কিংবা কি প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।”  ১৭৫

➥ বায়হাকী, খন্ড ৪, পৃষ্ঠাঃ  ৩৪০, হাদীস নং ৮৪৭৭, বৈরুত


সুতরাং হজ্জ ফরয হলে এবং হজ্জের ইচ্ছা করলে যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উত্তম। তাই ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) হজ্জ ফরয হওয়ার সাথে সাথে হজ্জ আদায় করার পক্ষে মত দিয়েছেন।


❏ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) এবং অন্যান্য আরো অনেক ফোকাহায়ে কিরামের মতে হজ্জ তাৎক্ষণিক ফরয। পক্ষান্তরে ইমাম মুহাম্মদ ও ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে বিলম্ব সহকারে ফরয। তবে যেন ফওত না হয়। ইমাম আহমদ (رحمة الله) থেকে উভয় মত পাওয়া যায়। তবে প্রথম বছর আদায় না করে পরের বছর আদায় করলে সর্বসম্মতিক্রমে আদায়ই হবে। আর অনাদায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সর্বসম্মতিক্রমে গুনাহগার হবে। ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله)’র মতে বিলম্বের কারণে গুনাহগার হবে। পক্ষান্তরে ইমাম মুহাম্মদ (رحمة الله)’র মতে বিলম্বের কারণে গুনাহগার হবেনা। 

(শরহে বেকায়া)


হজ্জ শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত। এটি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী নবম হিজরী সনে ফরয হয়েছে। দশম হিজরী সনে নবী করিম (ﷺ)  হজ্জ করেন যা বিদায় হজ্জ নামে খ্যাত। হজ্জ প্রত্যেক সামর্থবান প্রাপ্ত বয়স ও সুস্থ মুসলমান নর-নারীর উপর জীবনে একবার ফরয। ইসলামে এর গুরুত্ব ও ফযীলত অপরিসীম।

Top