জুমার বর্ণনা
فان فعلن وقعت الامام وسطهن وبقيامها وسطهن لاتزول الكرهة، وان تقدمت عليهن اما مهن لم تفسد صلاتهن، هكذا فى الجوهره اليزه ،
وصلاتهن فرادى افضل هكذا فى الخلاصه ، جلد اوّل، صفحة ৮৫، باب الامامة فقد والله ورسوله اعلم .
মাসআলাঃ জুমাবার সূর্য্য স্থীরের সময় নফল নামায আদায় করা জায়েয, তবে অন্য কোন দিনে নয়।
মাসআলাঃ খুতবা ও ইক্বামতের মাঝে ফাসিলা (ব্যবধান বা বিরতি বা দেরী) করা মাকরূহ।
মাসআলাঃ শহরবাসীদের জুমার নামায না পেলে তখন ঐ সময় আযান ও জামাত ব্যতীত যোহরের নামায পড়বেন।
মাসআলাঃ যে সমস্ত লোকদের উপর জুমার নামায ফরয নয় তারা যোহরের নামাযের জন্য এতটুকু বিলম্ব করবে যাতে জুমার নামায থেকে লোকেরা অবসর হয়ে যায়।
মাসআলাঃ যে ব্যক্তি জুমার নামাযে শামিল হয় চাই সিজদায়ে সাহুতে এসে শরীক হোক সে জুমার নামাযের নিয়ত করে দ্বিতীয়বার পড়বে।
মাসআলাঃ খুতবার মধ্যে ওয়াজ-নসীহতকে ফকীহগণ (র.) খেলাফে সুন্নাত বলেছেন, যদি উক্ত খেলাফে সুন্নাতকে বিদআত বলা হয় তখন বুঝতে হবে বিদআতে হাসানা তথা মুস্তাহাব।
মাসআলাঃ জুমার খুতবা শুনা ওয়াজিব, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ছাওয়াব লাভের মাধ্যম। ইহা স্বত্ত্বেও ইহা না শুনলেও নামায আদায় হয়ে যাবে।
মাসআলাঃ খুতবা ব্যতীত জুমার নামায আদায় করলে জুমা আদায় হবে না। খুতবা জুমার শর্ত সমূহের অন্তর্ভূক্ত। উহা ব্যতীত জুমা আদায় হবে না। ৮৮
➥৮৮. মারাকিউল ফালাহ, আলমগীরী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৭৫।
মাসআলাঃ খুতবার সময়ে তাশাহুদের ন্যায় বসা প্রায় কিতাবে উত্তম লেখা আছে, কিন্তু রিওয়ায়াত এর দৃষ্টি উক্ত পদ্ধতি ব্যতীত স্বাভাবজাত পদ্ধতিতে বসাও নিষিদ্ধ নয়।
মাসআলাঃ মাখুর ব্যক্তির উপর জুমা ফরয নয়। শামী গ্রন্থে উল্লেখ আছে- ঘটনাক্রমে জুমা পেয়ে গেলেও মাখুর ব্যক্তির উপর জুমা ফরয হবেনা। খানিয়া, কেননা মৌলিক ভাবে জুমার দিকে রওয়ানা দিতে অক্ষম। ৮৯
➥৮৯. ফতোয়া শামী, ২য় খণ্ড, ১৫৪পৃষ্ঠা।
প্রশ্নঃ খুতবার আযান খতীবের সামনে দেয়ার বিধানঃ ইমামের ডানে বামে আযান দেয়া জায়েয কিনা? এ আযান কি ইমামের সামনে সামনে দিতে হবে?
উত্তরঃ আযান ই’লান (ঘোষণা বা সম্প্রচার) হওয়ার দৃষ্টিতে ইমামের ডানে বামে দিতে পারবে। কিন্তু খুতবার পূর্বের আযানের বিধান সম্পর্কে ফুকহায়ে কিরামগণ বর্ণনা করেছেন যে, মসজিদের ভিতরে খতীবের সামনে দিতে হবে। শামী গ্রন্থে উল্লেখ আছে দ্বিতীয় আযান তার সামনে দিতে হবে অর্থাৎ যখন খতীব মিম্বারের উপর বসবেন তখন তার সামনে আযান দিবেন। ৯০
➥৯০. ফতোয়া শামী, ২য় খণ্ড, ১৬১ পৃষ্ঠা
প্রশ্নঃ যদি কোন খতীব দুই খুতবার স্থলে এক খুতবা দেন তাহলে খুতবা আদায় হয়ে যাবে কিনা? এমতাবস্থায় নামাযের হুকুম কি?
উত্তরঃ একটি খুতবা পাঠ করলে যদিওবা খুতবার শর্ত পূর্ণ হয়ে যায় তবুও দুইটি খুতবা পাঠ করা সুন্নাত। এজন্য একটি খুতবা পাঠ করা খেলাফে সুন্নাত। আর যেহেতু নামাযের উপর কোন প্রভাব পড়েনা।
মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আত্তামারতাশী বলেন- দুইটি খুতবা দেয়া সুন্নাত, উভয় খুতবার মধ্যখানে বসবে। ৯১
➥৯১. হিদায়া, ১ম খণ্ড, ১৪৮পৃষ্ঠা।
এবং দুইটি খুতবা দিবে উভয় খুতবার মধ্যখানে বসার মাধ্যমে বিরতি দিবে, ধারাবাহিকভাবে এরূপ প্রচলিত রয়েছে।
মাসআলাঃ খুতবা শুনার জন্য বসার পদ্ধতি কিরূপ হওয়া উচিত, প্রায় কিতাবে তাশাহুদের ন্যায় পদ্ধতি গ্রহণ করাকে উত্তম লেখা হয়েছে।
মাসআলাঃ রিওয়ায়াতের দৃষ্টিতে উক্ত পদ্ধতি ব্যতীত স্বভাবিগত পদ্ধতিতে বসাও জায়েয আছে, নিষেধ নয়। ৯২
➥৯২. হক্কানিয়া ৩য় খণ্ড, ৩৮৫ পৃষ্ঠা।
আল্লাহ্ তায়ালাই অধিক জ্ঞাত।
মাসআলাঃ জুমার প্রথম আযানের পর ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নাই। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন-
إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ .
অর্থ: মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেঁচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। ৯৩
➥৯৩. সূরা আল্-জুমুআহ, আয়াত-৯।
প্রশ্নঃ যদি কোন কারণবশতঃ কোন মুসলমানের জুমার নামায অনাদায়ী তথা ফাওত হয়ে যায় এমতাবস্থায় জুমার ফজিলত ও সাওয়াব পাওয়ার কোন সূরত আছে কিনা?
উত্তরঃ উল্লেখ্য যে, যদি কোন ব্যক্তির কারণবশতঃ পবিত্র জুমার নামায অনাদায়ী তথা ফাওত হয়ে যায় এমতাবস্থায় জুমার নামাযের পরিবর্তে যোহরের নামায আদায় করতে হবে এবং কিছু দিনার বা দেরহাম তথা বাংলার টাকা কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) টাকা সদকা করে দিলে আল্লাহর রহমতে জুমার ফজিলত ও সাওয়াব ঐ ব্যক্তি পাবেন। ৯৪
➥৯৪. মোজাহেরে হক ও ফতোয়ায়ে সত্তারীয়া ইত্যাদি।