সায়্যিদুনা হযরত সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আক্বিদা
নামাযে রাসূল (ﷺ)-এর চেহারা মুবারকের দিকে তাকিয়ে থাকাঃ-
❏সায়্যিদুনা সা’দ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত,
كُنْتُ أَرَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، وَعَنْ يَسَارِهِ، حَتَّى أَرَى بَيَاضَ خَدِّهِ
-‘রাসূল (ﷺ) ডানে বামে সালাম ফিরানোর সময় আমি দেখেছি এই পর্যন্ত যে তাঁর চেহারা মুবারকের শুভ্রতা দেখেছি।’ ২৮৭
{২৮৭. সহীহ মুসলিম শরীফ, ১/৪০৯ পৃ. হা/৫৮২, পরিচ্ছেদ: بَابُ السَّلَامِ لِلتَّحْلِيلِ مِنَ الصَّلَاةِ عِنْدَ فَرَاغِهَا وَكَيْفِيَّتِهِ, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯৮ পৃ. হা/৯৪৩, পরিচ্ছেদ: بَاب الدُّعَاء فِي التَّشَهُّد}
আক্বিদা
সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) নামায পড়ার সময় রাসূল (ﷺ)-এর চেহারা মুবারকের দিকে দেখে তাকাতেন। এ জন্যই হযরত সা’দ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, তাঁর (ﷺ)-এর চেহারা মুবারকের শুভ্রতা আমি দেখেছি। নামাযের মধ্যে মুসল্লির দৃষ্টি দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার দিকে, রুকুতে পায়ের দিকে, বসার সময় কোলের দিকে থাকে। কিন্তু সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ)-এর পেছনে নামায পড়তেন, তখন তাঁদের দৃষ্টি রাসূল (ﷺ)-এর দিকে থাকত।
❏কবি বলেন:
انهيں كود مكيہتے رہنا نماز ہے ميرى
“তাঁর (নবিজির) দিকে দেখেটাই আমার নামায।’’
কেননা তাঁদের মতে নামাযের আদব আপন অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু মাহবুবে খোদা (ﷺ)-এর চেহারা মুবারক দেখা এমন ইবাদত যা অন্য কোন ইবাদাতের সমমর্যাদায় হয় না।