7 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْوُضُوْءِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا
49 – حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْ حَنِيْفَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ : أَنَّهُ تَوَضَّأَ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا، وَمَضْمَضَ ثَلَاثًا، وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، وَذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا، وَمَسَحَ رَأْسَهُ، وَغَسَلَ قَدَمَيْهِ، وَقَالَ: هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ .
বাব নং ২২. ৭. উযূর মধ্যে প্রত্যেক অঙ্গ তিন তিনবার ধৌত করা প্রসঙ্গে
৪৯. অনুবাদ: হাম্মাদ আবু হানিফা থেকে, তিনি খালেদ ইবনে আলকামা থেকে, তিনি আবদে খায়র থেকে, তিনি হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি উযূ করার সময় উভয় হাত তিনবার ধৌত করেন। অতঃপর তিনবার কুলি করেন, তিনবার নাকে পানি দেন, তিনবার মুখমণ্ডল ধৌত করেন। তিনবার (কনুই পর্যন্ত) উভয় হাত ধৌত করেন এবং মাথা মাসেহ করেন আর উভয় পা (তিনবার) ধৌত করেন। এরপর তিনি (হযরত আলী (رضي الله عنه)) বলেন, এটাই হল রাসূল (ﷺ) এর উযূ করার পদ্ধতি।
ব্যাখ্যা: উযূতে প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কমপক্ষে একবার ধৌত করা ফরয। আর তিনবার ধৌত করা মুস্তাহাব। উযূতে তিনটি অঙ্গ ধৌত করতে হয়, একটি অঙ্গ মাসেহ করতে হয়। অঙ্গের নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত অবশ্যই পানি পৌঁছতে হবে অন্যথা উযূ শুদ্ধ হবে না।
আমাদের দেশের অনেক মুসলি তাড়াহুড়া করে উযূ করতে গিয়ে অনেক সময় পায়ের গোড়ালির দিকে শুকনো থেকে যায়। ফলে তাদের উযূ হবে না এবং ঐ উযূ দিয়ে যেসব ইবাদত করবে তাও কবুল হবেনা। সুতরাং তার সব পরিশ্রম বিফলে যাবে।
50 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ : أَنَّهُ دَعَا بِمَاءٍ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا، وَتَمَضْمَضَ ثَلَاثًا، وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، وَذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا، وَمَسَحَ رَأْسَهُ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ قَدَمَيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ .
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ: «أَنَّهُ دَعَا بِمَاءٍ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا، وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، وَذِارَعَيْهِ ثَلَاثًا، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ مَرَّةً، وَغَسَلَ قَدَمَيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ كَامِلًا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّهُ دَعَا بِمَاءٍ، فَأَتَىٰ بِإِنَاءٍ فِيْهِ مَاءٌ وَطِسْتٍ، قَالَ عَبْدُ خَيْرٍ: وَنَحْنُ نَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَأَخَذَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى الْإِنَاءَ، فَأَكْفَأَ عَلَىٰ يَدِهِ الْيُسْرَىٰ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَىٰ فِي الْإِنَاءِ، فَمَلَأَ يَدَهُ وَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، فَعَلَ هَذَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ إِلَى الْـمَرَافِقِ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَخَذَ الْـمَاءَ بِيَدِهِ، ثُمَّ مَسَحَ بِهَا رَأْسَهُ مَرَّةً وَاحِدَةً، ثُمَّ غَسَلَ قَدَمَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا، ثُمَّ غَرَفَ بِكَفِّهِ، فَشَرَبَ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَىٰ طَهُوْرِ رَسُوْلِ اللهِ ، فَهَذَا طَهُوْرِهِ.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّهُ دَعَا بِمَاءٍ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا، وَمَضْمَضَ ثَلَاثًا، وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، وَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ أَخَذَ مَاءً فِيْ كَفِّهِ، فَصَبَّهُ عَلَىٰ صَلْعَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَىٰ طَهُوْرِ رَسُوْلِ اللهِ ، فَلْيَنْظُرْ إِلَىٰ هَذَا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ، عَنْ عَلِيٍّ: أَنَّهُ تَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا، وَقَالَ: هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ .
قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ بْنِ يَعْقُوْبَ يَعْنِيْ بِهِ: مَنْ رَوَىٰ عَنْ أَبِيْ حَنِيْفَةَ فِيْ هَذَا الْـحَدِيْثِ، عَنْ خَالِدٍ: أَنَّ النَّبِيِّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثَلَاثًا، أَنَّهُ وَضَعَ يَدَهُ عَلَىٰ يَافُوْخِهِ، ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ إِلَىٰ مُؤَخِّرِ رَأْسَهُ، ثُمَّ إِلَىٰ مُقَدَّمِ رَأْسِهِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَإِنَّمَا ذَلِكَ إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً، لِأَنَّهُ لَـمْ تُبَايِنْ يَدُهُ، وَلَا أَخَذَ الْـمَاءَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَهُوَ كَمَنْ جَعَلَ الْـمَاءَ فِيْ كَفِّهِ، ثُمَّ مَدَّ إِلَىٰ كُوْعِهِ، أَلَا تَرَى انَّهُ بَيِّنٌ فِي الْأَحَادِيْثِ الَّتِيْ رَوَىٰ عَنْهُ، وَهُمُ الْـجَارُوْدُ بْنُ زَيْدٍ، وَخَارِجَةُ بْنُ مُصْعَبٍ، وَأَسَدُ بْنُ عُمَرَ، أَنَّ الْـمَسْحَ كَانَ مَرَّةً وَاحِدَةً، وَبَيَّنَ أَنَّ مَعْنَاهُ مَا ذَكَرْنَا.
قَالَ: وَقَدْ رَوَىٰ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ، كَثِيْرَةٍ عَلَىٰ هَذَا اللَّفْظِ: أَنَّ النَّبِيَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثَلَاثًا، مِنْهُمْ: عُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُوْدٍ، وَغَيْرُهُمْ .
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِيَ مِنْ أَوْجُهٍ غَرِيْبَةٍ، عَنْ عُثْمَانَ: تِكْرَارَ الْـمَسْحِ إِلَّا أَنَّهُ مَعَ خِلَافِ الْـحِفَاظِ لَيْسَ بِحُجَّةٍ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ، فَهَلْ كَانَ مَعْنَاهُ إِلَّا عَلَىٰ مَا ذَكَرْنَا، فَمَنْ جَعَلَ أَبَا حَنِيْفَةَ غَالِطًا فِيْ رِوَايَةِ الْـمَسْحِ ثَلَاثًا، فَقَدْ وَهِمَ، وَكَانَ هُوَ بِالْغَلَطِ أَوْلَىٰ وَأَخْلَقَ، وَقَدْ غَلِطَ شُعْبَةُ فِيْ هَذَا الْـحَدِيْثِ غَلَطًا فَاحِشًا عِنْدَ الْـجَمِيْعِ، وَهُوَ رِوَايَةُ هَذَا الْـحَدِيْثِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ عُرْفُطَةَ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ، فَصَحَّفَ الْاِسْمَيْنِ فِيْ إِسْنَادِهِ، فَقَالَ: بَدَلَ خَالِدٍ مَالِكٌ، وَبَدَلَ عَلْمَقَةَ عُرْفُطَةَ، وَلَوْ كَانَ هَذَا الْغَلَطُ مِنْ أَبِيْ حَنِيْفَةَ لَنَسَبُوْهُ إِلَى الْـجَهَالَةِ وَقِلَّةِ الْـمَعْرِفَةِ، وَلَأَخْرَجُوْهُ مِنَ الدِّيْنِ، وَهَذَا مِنْ قِلَّةِ الْوَرَعِ وَاتِّبَاعِ الْـهَوَىٰ.
৫০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা খালেদ থেকে, তিনি আবদে খায়ের থেকে, তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, একদা হযরত আলী (رضي الله عنه) পানি চাইলেন এবং পানি দ্বারা তিনি তিনবার হাত ধৌত করেন। তিনবার কুলি করেন, তিনবার নাকে পানি দিলেন। তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করেন, তিনবার কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করেন। তিনবার মাথা মাসেহ করেন এবং তিনবার পা ধৌত করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এটাই হল রাসূল (ﷺ) এর উযূ করার পদ্ধতি।
অন্য এক রেওয়ায়েত খালেদ থেকে, তিনি আবদে খায়ের থেকে, তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি পানি নিয়ে তিনবার হাত ধৌত করেন, তিনবার নাকে পানি দেন, তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করেন। তিনবার কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করেন, একবার মাথা মাসেহ করেন এবং তিনবার পা ধৌত করেন। এরপর তিনি বলেন, এটাই হলো রাসূল (ﷺ) এর পূর্ণাঙ্গ উযূ। অর্থাৎ এতে ফরয, সুন্নত ও মুস্তাহাব সবই রয়েছে।
অপর এক বর্ণনায় আছে, হযরত আলী (رضي الله عنه) পানি চাইলে তাঁর নিকট পানির একটি পাত্র ও থালা আনা হল। আবদে খায়ের বলেন, আমি তাঁকে দেখলাম যে, তিনি ডান হাতে পাত্র ধরে বাম হাতে পানি ঢালেন। অতঃপর তিনবার হাত ধৌত করেন। এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত ধৌত করেন ও কুলি করেন এবং তিনবার নাকে পানি দেন। এরপর তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করেন এবং এক অঞ্জলি পানি নিয়ে মাথা একবার মাসেহ করেন। অতঃপর দু’পা তিনবার ধৌত করেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে পান করেন। এরপর বলেন, যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) ’র উযু দেখতে চায় সে যেন দেখে যে এটাই হলো রাসূল (ﷺ) ’র উযূ করার পদ্ধতি।
অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, তিনি পানি চেয়ে নিলেন। অতঃপর দু’হাত তিনবার ধৌত করেন। তিনবার কুলি করেন, তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করেন। এরপর কনুই পর্যন্ত দু’হাত ধৌত করেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে মাথায় দিলেন এবং বললেন, যে রাসূল (ﷺ) ’র উযূ দেখতে চায় তবে দেখুক, তা এরূপই ছিল।
আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াকুব যিনি আবু হানিফা থেকে, তিনি হযরত খালিদ (رحمة الله) থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এভাবে তিনবার মাথা মাসেহ করেন যে, স্বীয় হাত মোবারক কপালের উপর রেখে ধীরে ধীরে তা মাথার পিছনের দিকে নিয়ে যান। এরপর পুনরায় তা কপালের দিকে নিয়ে আসেন। এভাবে তিনি তিনবার করে মাসেহ করেন। এতে হাত মোবারক মাথা মোবারক থেকে পৃথক হয়নি এবং তিনবার পানি পরিবর্তন করা হয়নি। তোমরা ঐসব হাদিসসমূহ দেখনা যা জারুদ ইবনে যায়েদ, খারিজাহ ইবনে মিসআর এবং আসাদ ইবনে ওমর হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মাসেহ ছিল একবার যা উপরে বর্ণনা করা হল, আর এটাই সঠিক।
তিনি বলেন, ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) বলেন, সাহাবায়ে কেরামের বিরাট একদল থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) তিন বার মাথা মাসেহ করেছেন। এঁদের মধ্যে হযরত ওসমান (رضي الله عنه), হযরত আলী (رضي الله عنه), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) ও আরো অনেকেই ছিলেন।
ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) বলেন, মাথা মাসেহ সম্পর্কিত হাদীস হযরত ওসমান (رضي الله عنه) থেকে দুর্বল পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। অধিকাংশ হুফ্ফাযে হাদিসগণের রেওয়ায়েতের বিরোধী এবং জ্ঞানী পণ্ডিত ব্যক্তিদের নিকট তা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
এখন তিনবার মাসেহ করার রেওয়ায়েতে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র দিকে ভুলের যে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তা মূলত শু’বা (رحمة الله)’র বর্ণিত। ঐ হাদিসের সনদে সকল মুহাদ্দিসগণের নিকট ভুল রয়েছে। আর তা হল, এই হাদিস মালিক ইবনে উরফুতা থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি, আবদে খায়ের থেকে এবং তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে। কিন্তু বর্ণনার সময় পিতা,পুত্রের নামের মধ্যে ভুলে পরিবর্তন হয়ে গেছে। খালিদের স্থলে মালিক এবং আলকামার স্থলে উরফুতা লিপিবদ্ধ হয়েছে। যদি ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) থেকে এই ভুল প্রকাশ হতো, তাহলে বিরোধিদল বলতেন, তিনি ইলমে হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞ। ইলমে দ্বীনের ব্যাপারে তাঁর প্রতি বিরূপ মন্তব্য করা হতো। কিন্তু এসমস্ত বিরূপ মন্তব্য তাকওয়ার স্বল্পতা এবং মনের আবেগের বশবর্তী ও অনুসরণের কারণেই হতে পারে।
৫১ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ حُمْرَانَ مَوْلَىٰ عُثْمَانَ: أَنَّ عُثْمَانَ تَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا، وَقَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَتَوَضَّأُ.
৫১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতা থেকে, তিনি হযরত ওসমান (رضي الله عنه)’র গোলাম হুমরান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি (ওসমান রা.) উযূর মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তিনবার করে ধৌত করেছেন এবং বলেছেন আমি এভাবেই রাসূল (ﷺ) কে উযূ করতে দেখেছি। (বুখারী, ২৭/১৬১)
ব্যাখ্যা: মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله)’র ভাষ্য মতে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইসহাক, সুফিয়ান সওরী সহ জমহুর ওলামাগণের মতে উযূতে মাথা মাসেহ একবার, শুধু ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله)’র মতে মাসেহ তিনবার। শাফেয়ী মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে হাজর (رحمة الله) ফতহুল বারী গ্রন্থে লিখেছেন
,انه لم يروفى طريق من الصحيحين ذكر عدد المسح وعليه اكثر العلماء الاشافعى هو القائل بالتثليث
“বুখারী ও মুসলিম শরীফের কোন বর্ণনায় একবারের অধিক মাসেহ করার কথা উল্লেখ নেই। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) ব্যতীত অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামগণ এ মাযহাবের উপরই বিশ্বাসী।”
➥ ইবনে হাজর আসকলানী (رحمة الله) (৮৫২ হি) ফতহুল বারী, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ২৬০