সায়্যিদুনা জারির (رضي الله عنه)'র আক্বিদা


অসহায়ের আশ্রয়স্থল

সায়্যিদুনা জারির (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে কারিম (ﷺ)’র কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম যে, আমি ঘোড়াতে স্বাচ্ছন্দে বসতে পারি না। 


فَضَرَبَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِي وَقَالَ: اللهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا


-‘‘রাসূল (ﷺ) আমার সিনার উপর তাঁর হাত মুবারক রেখে দো‘আ করলেন, হে আল্লাহ তাকে ঘোড়ার উপর স্থির রাখ এবং তাকে হাদি-মাহদি কর।’’ ২৬৭

{২৬৭.

ক. ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ৮/২৪ পৃ. হা/৬০৯০, পরিচ্ছেদ: بَابُ التَّبَسُّمِ وَالضَّحِكِ, 

খ. সহীহ মুসলিম, ৪/১৯২৫ পৃ. হা/২৪৭৫, পরিচ্ছেদ: بَابُ مِنْ فَضَائِلِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ, 

গ. ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ১০/৩৯৫ পৃ. হা/৭৬৮৬}


আক্বিদা

সাহাবায়ে কিরামগণ (رضي الله عنه) যখন কোন পেরেশানি বা মুসিবত অনুভব করতেন, তখন প্রিয় নাবী (ﷺ)’র দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করতেন। তিনি তাদের জন্য দোয়া করলে তাদের বিপদ আর মুসিবত দূর হয়ে যেত। কলবের শক্তি মানুষের এমন এক বৈশিষ্ট্য যেটি কুদরাতিভাবে মানুষকে দান করা হয়। কিন্তু আল্লাহ তা তা‘আলা আমাদের নাবী (ﷺ) কে ক্ষমতা দিয়েছেন যে তিনি এ শক্তি তাঁর গোলামদেরকে দান করতেন।

হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) কে স্মরণ শক্তি দান করেছেন। আর হযরত জাবির (رضي الله عنه) কে অন্তরের শক্তি দান করেছেন। নাবী কারিম (ﷺ)’র দান এবং বদন্যতা কীরূপ চমৎকার! হযরত জারির (رضي الله عنه) অন্তরের শক্তি প্রার্থনা করেছেন কিন্তু নাবী কারীম (ﷺ) তাকে তিনটি নি‘মাত দান করেছেন। অন্তরের শক্তি, হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং অন্যকে হিদায়তকারি। হযরত জাবের (رضي الله عنه) বলেন, 


فَمَا وَقَعْتُ عَنْ فَرَسِي بَعْدُ


-‘তারপর থেকে ঘোড়া থেকে পড়েনি।’ ২৬৮

{২৬৮. ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৬৫৫ পৃ. হা/৫৮৯৭, পরিচেছদ:  بَاب فِي المعجزات}


❏ইমামে আহলে সুন্নাত শাহ্ আহমাদ রেজা খাঁন বেরলভী (رحمة الله) এজন্যই বলেছেন:


منگتے  كا  ہاتہ  اٹہے ہى واتا كى دين تهى

دورى قبول وعرض صرف ہاتہ بهر كى ہے


-‘প্রার্থনাকারীর প্রয়োজনে হাত উঠানো হতে

তাঁর দো‘আ (নবিজির) কবুল হওয়ার দূরত্ব শুধু হাত উঠানো মাত্র।’’

Top