বিষয় নং-০৪: আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবী তুল্য।
❏ প্রচলিত তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের মুখে উক্ত জাল হাদিসটি অধিকাংশ সময় বলতে শুনা যায়। তারা তাবলীগ করার ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে উক্ত জাল হাদিসের আশ্রয় নেন। অপরদিকে তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস মেওয়াতি সাহেব তার মালফুযাতে ইলিয়াছ গ্রন্থের ৫০ নং মালফুযাতে (উর্দু) নিজেকেই নবীর মত আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন বলে দাবী করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে আমার ওস্তাদ আল্লামা মুফতি আলী আকবর (মা.জি.আ.) কৃত “প্রচলিত তাবলীগ জামাতের স্বরূপ উন্মোচন” গ্রন্থটি দেখতে পারেন। উক্ত হাদিসটি হল :
عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
-‘‘আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবীদের ন্যায়।’
❏ উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে আল্লামা আজলূনী (رحمة الله) বলেন-
قال السيوطي في الدرر: لا أصل له، وقال في المقاصد: قال شيخنا -يعني ابن حجر-: لا أصل له، وقبله الدميري والزركشي .وزاد بعضهم: ولا يعرف في كتاب معتبر
-‘‘ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) তার ‘আদ-দুররুল মুনতাসিরাহ’ গ্রন্থে বলেন উক্ত হাদিসটির কোন ভিত্তি নেই। ‘মাকাসিদুল হাসানা’ প্রণেতা ইমাম সাখাভী (رحمة الله) বলেন, আমার শায়খ অর্থাৎ-আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন, উক্ত রেওয়ায়েতটির কোন ভিত্তি নেই, তার উক্ত মতামত ইমাম দামেরী ও আল্লামা মুহাদ্দিস যারকশী (رحمة الله) গ্রহণ করেছেন এবং তাদের কেউ কিছুটা শব্দ বৃদ্ধি করে বলেন, উক্ত হাদিসটি কোন গ্রহণযোগ্য মজবুত কিতাবে আছে বলে জানা নেই।’’ ২৬
➥{ইমাম আজলূনী : কাশফুল খাফা : ২/৬০ পৃ. : হা/১৭৪২}
❏ উক্ত হাদিস সম্পর্কে আল্লামা যারকশী বলেন ‘হাদিসটির ভিত্তি আছে বলে আমি পরিচিত নই।’ ২৭
➥{যারকশী, আত্-তাযকিরাহ ফি আহাসিুল মুশতাহিরাহ, ১/১৬৬ পৃ.}
❏ ইমাম সুয়ূতি বলেন হাদিসটির কোন ভিত্তি নেই।২৮
➥{ইমাম সুয়ূতি, আদ্দরুল মুনতাসিরাহ, ১/১৪৮ পৃ.হাদিস, ২৯৪, }
❏ আল্লামা ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله) তাঁর ‘ফতোয়ায়ে হাদীসিয়্যাহ’ গ্রন্থের ২০৪ পৃষ্ঠায় বলেন হাদিসটির কোন ভিত্তি নেই। শুধু তাই নয় উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে আলবানী বলেন ‘ভিত্তিহীন’। ২৯
➥{আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসুদ্-দ্বঈফা, ১/৪৮১ পৃষ্ঠা, হাদিস.৪৬৬}
❏ সে আরও লিখেছে-
لا إصل له باتفاق العلماء
-‘‘সমস্ত হক্কানী ওলামায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন যে, এটির কোন ভিত্তি নেই।’’
❏ শুধু তাই নয় আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী তার ‘ফাওয়াইদুল মওদ্বুআত’ গ্রন্থের ২৮৬ পৃষ্ঠায় বলেন-‘‘ইবনে হাজার আসকালানী ও যারকশী হাদিসটির ভিত্তি নেই বলে উলেখ করেছেন।’’
❏ হাদিসটি বিখ্যাত তাফসীরকারক আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) তাঁর তাফসীরে রুহুল বয়ানের অনেক স্থানে বিনা সনদে বর্ণনা করেছেন। তাই অনেকে উক্ত কিতাবের উপর নির্ভর করে হাদিসটি প্রচার করেন। ৩০
➥{আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ১/২৪৮ পৃ. সূরা বাক্বারা, আয়াত.১৪৩, ও ১/২৪৯ পৃ. সূরা বাক্বারা, ও ৩/২৫৫ পৃ. সূরা আ‘রাফ, আয়াত.১৫৬, ও ৪/৬০ পৃ. সূরা ইউনূস, ৬৪, ও ৪/৩৭৬ পৃ. সূরা রা‘দ, আয়াত.৩১, ও ৫/৩৭৫ পৃ. সূরা ত্বহা.আয়াত.১৯, ও ৫/৪৬৬ পৃ. সূরা আম্বিয়া, আয়াত.২৪, ও ৯/২১১পৃ. সূরা নজম, আয়াত.২}
তাদের এ উক্ত প্রচার ও ধারণা ভুল, কেননা অসংখ্য আলেমগণ ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন হাদিসটি জাল। আর আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী তো বলেননি যে হাদিসটি সহীহ, ‘হাসান’, দ্বঈফ; তাই কিভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিব সনদটি গ্রহণযোগ্য!
কোনো কোনো আলেম এটিকে রাসুল (ﷺ)-এর হাদিস হিসেবেও উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সনদ উল্লেখ করেননি; সে সমস্ত আলেমদের অভিমত আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। যেমন-
❏ হিজরী ১১শ শতাব্দির অন্যতম মুজাদ্দিদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) ওফাত ১০১৪ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,
وَأَمَّا حَدِيثُ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
-“আর হাদিস শরীফে আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৬০৮৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)
❏ ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (رحمة الله) ওফাত ৬০৬ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ
-“আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(তাফছিরে কাবীর, ১৭তম খণ্ড, ২৬৭ পৃ:)।
❏ আল্লামা আবুল হাফছ সিরাজুদ্দিন উমর হাম্বলী দামেস্কী (رحمة الله) ওফাত ৭৭৫ হিজরী বলেন-
الإشارة إليه بقوله عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام ُ: عُلَمَاءُ أمَّتِي كأنْبِيَاءِ بَنِي إسْرائِيْلَ
-“আর এদিকেই রাসুল (ﷺ) এর বানী ঈশারা করেছেন যে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, ১৮তম খণ্ড, ৩৮২ পৃ:)
❏ আল্লামা নাজিমুদ্দিন হুছাইন ইবনে মুহাম্মদ নিছাপুরী (رحمة الله) ওফাত ৮৫০ হিজরী বলেন-
قال صلى الله عليه وسلم علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل
-“আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(তাফছিরে নিছাপুরী, ১ম খণ্ড, ৩৩০ পৃ:)।
❏ আল্লামা ইব্রাহিম ইবনে উমর ইবনে হুছাইন বাক্বাঈ (رحمة الله) ওফাত ৮৮৫ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন-
كما روي في بعض الآثار علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل
-“যেমনটি কোন কোন আছারে বর্ণিত আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(নাজমুদ দুরার, ১৫তম খণ্ড, ৩৬৬ পৃ:)
❏ আল্লামা শামছুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ শাফেয়ী (رحمة الله) ওফাত ৯৭৭ হিজরী বলেন,
كما روي في بعض الآثار: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل
-“যেমনটি কোন কোন আছারে বর্ণিত আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(তাফছিরে সিরাজুম মুনীর, ৩য় খণ্ড, ২৫৩ পৃ:)।
❏ আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী বরুছয়ী হানাফী (رحمة الله) ওফাত ১১২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে বলেন,
كما قال عليه السلام علماء أمتي كانبياء بنى إسرائيل
-“যেমনটি আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৩য় খণ্ড, ২৫৫ পৃ:)।
❏ আল্লামা আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মাহদী (رحمة الله) ওফাত ১২২৪ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,
قال عليه السّلام: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل
-“আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(বাহরুল মুদিদ ফি তাফছিরে কুরআনিল মাজিদ, ৫ম খণ্ড, ৩৫ পৃ:)
❏ আল্লামা তক্বীউদ্দিন মুকরিজী (رحمة الله) ওফাত ৮৪৫ হিজরী এভাবে উল্লেখ করেছেন,
وقد جاء في الحديث: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل.
-“হাদিস শরীফে এসেছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”
(ইমতাউল আসমা, ৪র্থ খণ্ড, ২০৮ পৃ:)।
এই হাদিসটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করে যে, ইহা মওজু ভিত্তিহীন এই সেই ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই হাদিসটি ‘রেওয়াত বিল মাআনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা সাপেক্ষ গ্রহণযোগ্য হাদিস। যেমন-
❏ আল্লামা ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মদ আজলুনী (رحمة الله) ওফাত ১১৬২ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,
الأخذ بمعناه التفتازاني، وفتح الدين الشهيد، وأبو بكر الموصلي، والسيوطي في الخصائص، وله شواهد
-“আল্লামা তাফতাজানী (رحمة الله), ইমাম ফাতহুদ্দিন শহীদ (رحمة الله), ইমাম আবু বকর মুছেলী (رحمة الله) ও ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) তাঁর ‘খাসায়েসে’ এই হাদিসের মাআনা গ্রহণ করেছেন এবং হাদিসের ‘মাআনার’ শাওয়াহিদ উল্লেখ করেছেন।”
(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খণ্ড, ৬০ পৃ:)
❏ লা-মাজহাবী মুহাম্মদ ইবনে ছালেহ ইবনে মুহাম্মদ উছাইমিন (মৃত্যু ১৪২১ হিজরী) তদীয় গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেন,
ولهذا جاء في حديث لكنه ضعيف: عُلَمَاءُ أُمَّتِيْ كَأَنْبِيَاءِ بَنِيْ إِسْرَائِيْل معناه صحيح
-“এ কারণেই হাদিসে এসেছে কিন্তু ইহা দুর্বল: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত (সম্মানীয়), এর মাআনা বা অর্থ বিশুদ্ধ।”
(শরহে আরবাইনা নববিয়া, ১ম খণ্ড, ৪৫ পৃ:)।
তাই এই হাদিস ‘রেওয়াত বিল মাআনা’ হিসেবে হাদিস। কারণ আইম্মায়ে কেরাম ইহার মাআনাকে হাদিস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হল, হাশরের দিন আখেরী নবীর উম্মতের মর্যাদার আসন দেখে অন্য নবীগণ ও শহিদগণ ঈর্ষা করবে, যার এবারত এরূপঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ، وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى....
-“হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসুলে পাক (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে এমন লোক রয়েছে যারা নবী কিংবা শহীদ নয়, কিন্তু মাকাম দেখে নবীগণ ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।”
(সুনানে আবী দাউদ শরিফ, হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে, হাদিস নং ৩৫২৭; তাফসিরে মাযহারী, ৪র্থ খণ্ড, ৩৪৭ পৃ: সূরা ইউনূসের ৬২ নং আয়াতের তাফসির; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ২৯৯০ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী: হিলইয়াতুল আউলিয়া, ১ম খণ্ড, ৫ পৃ:; তাফসিরে দূররুল মানসুর)
এই হাদিস সকল ইমামের দৃষ্টিতে সহীহ্। বলুন এই হাদিস দ্বারা কি আখেরী নবী (ﷺ) এর উম্মতের মর্যাদা ঐরূপ প্রমাণিত হয় না? আপনারা সকলেই জানেন, অন্য নবীগণ আমাদের নবীর উম্মত হওয়ার জন্য আকাঙ্খা করতেন। এর মাঝে হযরত ঈসা (আ.)-ই শেষ যুগে আমাদের নবীর উম্মত হবেন। তাহলে বলুন! আমাদের নবীর আলেম উম্মত বনী ইসরাইলের মত হবে কিনা? যদিও তাঁরা নবী নয়। এই নবীর উম্মতের মর্যাদা মহান আল্লাহ নবীদের সমান দিবেন তার আরো প্রমাণিত হয় এই হাদিস দ্বারা, যেমন:-
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ كَانَ نَبِيٌّ بَعْدِي لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ.
-“হযরত উকবা ইবনে আমের (رضي الله عنه) বলেন, রাসুলে পাক (ﷺ) বলেছেন: আমার পরে যদি কেউ নবী হতেন তাহলে খাত্তাবের পুত্র উমর (رضي الله عنه)’ই হতেন।” ৩১
➥{ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল: ফাদ্বাইলুস সাহাবা, হাদিস নং ৫১৯; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৪০৫; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৬৮৬; ইমাম তাবারানী: মু’জামুল কবীর, হাদিস নং ৪৭৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৪৪৯৫; ইমাম বায়হাক্বী: মাদখাল, হাদিস নং ৬৫; মেসকাত শরীফ, ৫৫৮ পৃ: হাদিস নং ৬০৪৭; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খণ্ড)।}
❏ ইমাম হাকেম নিছাপুরী ও ইমাম যাহাবী (رحمة الله) হাদিসটিকে সহীহ্ বলেছেন এবং ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) ও আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। হযরত উমর (رضي الله عنه) যদিও নবী নয় এবং আর কোন নবী হবেও না, কিন্তু তরিকতের ভাষায় ‘কামালতে নবুয়ত’ তাঁর মাঝে রয়েছে। সুতরাং এই নবীর অনেক উম্মতের মর্যাদা বনী ইসরাইলের নবীদের মত, নবী নয়, এখানে তুলনা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ কথা হলো, এ হাদিসটিকে অনেক মুহাদ্দিস মমার্থ সঠিক বলেছেন উপরের দলিলের ভিত্তিতে।