৪১ - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْاِثْنَيْنِ جَمَاعَةٌ

১৩১ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ  صَلَّىٰ بِرَجُلٍ فَصَلَّىٰ خَلْفَهُ، وَامْرَأَةٌ خَلْفَ ذَلِكَ، صَلَّىٰ بِهِمْ جَمَاعَةً.


বাব নং ৫৬. ৪১. দু’জনের জামা‘আত


১৩১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাইসাম থেকে, তিনি ইকরামা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ)  তাঁর পিছনে একজন এবং ঐ একজনের পিছনে এক মহিলাকে নিয়ে জামাতে নামায আদায় করেন।

ব্যাখ্যা: হাদিসে এই পুরুষ ও মহিলা কে ছিলেন তা স্পষ্ট করা হয়নি। সম্ভবত হযরত আনাস (رضي الله عنه) ও তাঁর মা উম্মে সুলায়ম (رضي الله عنه) হতে পারে। রাসূল (ﷺ) ’র পিছনে ছিলেন হযরত আনাস (رضي الله عنه) এবং তাঁর পিছনে হযরত উম্মে সুলায়ম (رضي الله عنه) ছিলেন। অথবা এই ঘটনা হযরত আলী (رضي الله عنه) ও হযরত খদীজা (رضي الله عنه) সম্পর্কেও হতে পারে। রাসূল (ﷺ) ’র পিছনে হযরত আলী (رضي الله عنه) এবং তাঁর পিছনে হযরত খদীজা (رضي الله عنه) ছিলেন। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) এর দ্বারা দলীল পেশ করেন যে, নামাযে পুরুষ ও মহিলা বরাবর দাঁড়ালে পুরুষের নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। যদি এই আশংকা না হতো, তা হলে মহিলাদেরকে পুরুষদের সাথে দাঁড়াবার অনুমতি দেওয়া হতো। কেননা কাতারে একা দাঁড়ানো ঠিক নয়। এটা ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে মাকরূহ এবং ইমাম আহমদ (رحمة الله)’র মতে ফাসেদ। কিন্তু যখন দু’টি মন্দ একত্রিত হয়, তখন সাধারণত অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র মন্দকে গ্রহণ করা হয়। এখানে পুরুষ ও মহিলা বরাবর দাঁড়ানো মন্দ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দূষনীয় হলো একা দাঁড়ানো। তাই এটা গ্রহণ করতে হয়েছে।

Top