নবীজির দৈহিক শক্তিঃ
প্রিয় নবী (ﷺ) দৈহিক শক্তি এবং পেশীবলের দিক দিয়ে এতো শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় ছিলেন যে, বিশ্বখ্যাত কোন কুস্তিগীরও তাঁর সামনে টিকতে পারতো না। এ প্রসঙ্গে দুই একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে।
হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, “তিনি বলেন- আমরা যখন পরিখা খনন করছিলাম, সেখান থেকে খুব শক্ত একখানা পাথর বের হলো। সবাই নবী পাক (ﷺ) এর নিকট এলেন। আবেদন জানালেন, একটি বড় ও কঠিন পাথর পাওয়া গেছে। তিনি বললেন, আচ্ছা আমি পরিখায় নামছি। তারপর তিনি দাঁড়ালেন। তখন তাঁর পেটে পাথর বাঁধা ছিলো। আমরাও তিন দিন ধরে কিছু পানাহার করিনি। তিনি একটি কোদাল নিয়ে পাথরটির উপর আঘাত করলেন। সাথে সাথে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল।” (সহীহ বুখারী)
নবীজির দৈহিক শক্তি এবং বীরত্বের ব্যাপারে আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়। আরব ভূ-খন্ডে আবুল আসয়াদ জাহমী নামে এক নামকরা পালোয়ান ও কুস্তিগীর ছিলো। ওখানকার সকল বীর তাকে ভয় পেতো। তার শক্তি কেমন ছিলো তা একটি ঘটনা থেকে অনুমান করা যায়। সে একটি গরুর চামড়ার উপর দাঁড়িয়ে যেতো। অন্যসব বীরদের হুকুম দিতো, তার পায়ের নিচ থেকে চামড়াটি টেনে নিতে। দশজন পালোয়ান মিলে চামড়া টানতো। তাদের টানাটানিতে গরুর চামড়া ছিড়ে যেতো। এদিকে পালোয়ানদের হাতে ধরে থাকা চামড়া ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে তারা অনেক দূরে গিয়ে পড়তো। তবু আবুল আসয়াদের পায়ের নিচে চামড়ার যে অংশটি থাকতো, তা যথাযথই থেকে যেতো। তাকে তারা একটি দন্ডও নাড়াতে পারতো না।
সেই আবুল আসয়াদ জামহী নবী পাককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললো, আমাকে যদি হারাতে পারেন, তাহলে আমি আপনার উপর ঈমান আনবো।
নবী পাক (ﷺ) তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। তার সাথে মোকাবেলা করার জন্য ময়দানে চলে এলেন। প্রথম বারেই তিনি তাকে মাটিতে লুটিয়ে দিলেন। সে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েও তার দেওয়া ওয়াদায় বিশ্বাসঘাতকতা করলো। এবং ঈমানের পরম দৌলত থেকে মাহরুম থেকে গেল। (মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যা)
কত সুন্দর তুমি হে রাসুল
হয়নি দেখা এই দু চোখে,
দেখেছে যে চোখ তোমায়
যাবেনা সে চোখ দোযখে।