মৃতের তালকীন
تلقين الميت
عن ابى امامة الباهلى رضى الله عنه قال قال رسول الله ﷺ اذامات احدكم فسويتم عليه التراب فليقف احدكم عند راسه ثم ليقل يافلان ابن فلانة فانه يسمعه ولايجيب ثم ليقل يافلان بن فلانة الثانية : فانه يستوى قاعدا ثم ليقل يافلان بن فلانة الثالثة فانه يقول ارشدنى يرحمك الله ولكن لاتسمعون – فيقول اُذكر ماخرجت عليه من الدنيا شهادة ان لا الٰه الاالله وان محمدا عبده ورسوله وانّك رضيت بالله ربًّا وبالاسلام دينا وبمحمد ﷺ نبيا وبالقرآن امام- فان منكر او نكيرًايتًا خر كل واحدٍ منهما- فيقول انطلق فما يقعدنا عند هذا وقد لقن حجته – ويكون الله حجيجه دونهما- فقال رجل يا رسول الله فان لم يعرف اسم امه؟ قال فلينسبه الٰى حواء (رواه ابن شاهين فى ذكر الموت باسناده طبرانى المغنى لابن قدامة صفـ ৩৮৬ جلد دوم) .
قال ابن القيم فى كتاب الروح فهذا الحديث وان لم يثبت فاتصال العمل به فى سائر الامصار والاعصار من غير انكار كاف للعمل به كما فى الكافى.
وسئل احمد عن تلقين الميت فاستحسنه واحتج عليه بالعمل كما قاله لكنوى.
হযরত আবু উমামা আল বাহেলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমাদের থেকে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাকে সমান করে কবরস্থ করার পর যে কোন এক ব্যক্তি তার মাথার নিকট দাঁড়িয়ে যেন বলে হে অমুকের ছেলে অমুক; কেননা সে শুনতে পারে উত্তর দিতে পারে না। পুনরায় দ্বিতীয়বার বলবে, হে অমুকের পুত্র অমুক; তখন সে সোজা হয়ে বসবে। পুনরায় তৃতীয়বার বলবে, হে অমুকের পুত্র অমুক; কেননা তিনি বলেন, আমাকে দিক নির্দেশনা দিন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দয়া করবেন, যদিও তোমরা শুনতে না পাও। এরপর বলবে, তুমি স্মরণ কর কোন অবস্থায় তুমি দুনিয়া থেকে বের হয়েছ? এ সাক্ষ্যদান করা অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোন উপাস্য নেই, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) তার বান্দা ও রাসূল। তুমি এ মর্মে সন্তুষ্ট যে, আল্লাহ তায়ালা তোমার প্রতিপালক, ইসলাম তোমার ধর্ম, মুহাম্মদ (ﷺ) তোমার নবী ও কোরআন শরীফ তোমার ইমাম। তখন মুনকার ও নাকির ফেরেশতাদ্বয় পিছনে হটে যাবে এবং পরস্পর বলবে, চলে যাই এখানে কি জন্যে বসে থাকব। তার প্রয়োজনীয় বিষয় তাকে তালকীন দেয়া হচ্ছে এবং উভয় ফেরেশতা ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা তাঁর সাক্ষ্য বা দলীল হবে। অত:পর এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে? উত্তরে বললেন, তখন হযরত হাওয়া আলাইহিস সালামের প্রতি সম্বোধন করবে।
হযরত ইবনুল কায়্যূম বলেন, যদিও কিতাবুর রুহুতে এ হাদীসটির প্রমাণ পাওয়া না যায় তবুও প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক দেশে কোন বিরোধ বিহীন এর ওপর আমল চলে আসছে; আমলের জন্যে এতটুকু যথেষ্ট। যেমন আলকাফী কিতাবে বিদ্যমান।
হযরত ইমাম আহমদ (رحمة الله)কে তালকীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ইস্তেহসানের (কিয়াসে খফী) ভিত্তিতে বৈধ। দলীল হিসাবে বিদ্যমান আমল পেশ করেছে। এভাবে হযরত আবদুল হাই লাকনবী (رحمة الله)ও বলেছেন।