চতুর্থ নজর
ওহাবীদের ধুর্তামীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারী, ইলমে গায়ব সম্পর্কে তাদের ও আমাদের পার্থক্যঃ
কি আল্লাহ তায়ালার লাঞ্ছিত ওহাবীরা যখন সহায়হীন ও নিরাশ হয়, তখন নিজেদের মুক্তির জন্য পথ খুঁজে; কিন্তু পলায়নের স্থান কোথায়? তখন তারা বলে, হাঁ, আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (ﷺ) কে কোন কোন সময় আংশিক গায়বের জ্ঞান মুজিজাস্বরূপ প্রদান করেছেন কিন্তু তিনি ততটুকু জানেন, যতটুকু তাঁকে
শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এটা তােমরাওতাে স্বীকার করাে। অতএব, মতবিরােধ উঠে গেছে এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা নিজেদের কথার মাধ্যমে মুখদের - ধােকা দিতে চায় এবং অলসদের শিকারে ফেলতে চায়। কিন্তু যারা তাদের।
প্রত্যক্ষ করেছে, তাদের গালী শ্রবণ করেছে তাদের নিকট স্পষ্ট যে, “সকল বৌয়ের মধ্যে সব চেয়ে নিকৃষ্ট বৌ হলাে, সেই যে উঁকি মেরে দেখে এবং লুকিয়ে পড়ে”। দিল্লীর ওহাবীরা কি বলেনি, মুহাম্মদ (ﷺ) কিছু জানেন না, এমন কি নিজের শেষ পরিণতির অবস্থাও? অতএব, এ হীন ও লাঞ্ছিতদের ত্যাগ করুন, তাদের ন্যায় তুচ্ছ লােকদের ধােকায় পড়বেন না।
তাদের দিল্লীর পেশাওয়া “তাকবিয়াতুল ঈমানে’ কি বলেনি যে, “যে কেউ কোন নবীর জন্য গায়েবের জ্ঞান রাখেন বলে দাবী করেন, যদিও এক বৃক্ষের পাতার সংখ্যা বরাবরও হােক তাহলে নিঃসন্দেহে, তারা আল্লাহর সাথে শিরক করেছে; চাই এটা স্বীকার করুক যে, তিনি সত্ত্বাগতভাবে জানেন কিংবা আল্লাহর জানানাের দ্বারা, উভয় দিক দিয়ে, শিরক প্রমাণিত হয়”?
তাদের বড় গাঙ্গুহী কি ‘বরাহীনে কাতেয়াতে বলেনি যে, নবী করীম (ﷺ) -এর তার দেওয়ালের পেছনের অবস্থাও জানেন না”?
আর রাসুলে করীম (ﷺ) উপর অপবাদ দিয়ে তা খােদ তারই বাণী বলেছে এবং পূর্ণ নির্লজ্জতার সাথে এ হাদীসের রেওয়ায়েত আবদুল হক্ মােহাদ্দেছ দেহলভীর (رحمه الله تعالي) দিকে সম্পর্কিত করেছে। অথচ শেখ (رحمه الله تعالي) তা সন্দেহপূর্ণভাবেই উল্লেখ করেছেন এবং এর উত্তর দিয়েছেন যে, এ হাদীস প্রমাণিত (১) নয় এবং এর রেওয়ায়েত (বর্ণনা পরম্পরা) বিশুদ্ধ নয়।
(১) এভাবে ইমাম ইবনে হাজর আসক্বালানী (رضى الله تعالي عنه) বলেছেন যে, এর কোন ভিত্তি নেই। আর ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (رحمه الله تعالي) আফালুল কুরাতে উল্লেখ করেছেন, এর কোন সনদ জানা নেই। গ্রন্থকার রচিত 'হুসসামুল হারামাঈন’ থেকে সংকলিত ।
যেমন তিনি মাদারেজুন্নবুয়তে' বিশ্লেষণ করেছেন। সুতরাং কোথায় এ উক্তি আর কোথায় সে বাণী, যে সম্পর্কে কুরআন করীম সাক্ষী এবং যাতে নবীয়ে করীমের (ﷺ) বিশুদ্ধ হাদীসসমূহ প্রমাণ স্থির করছে? বরং পূর্ববর্তী সকল গ্রন্থাবলী এ বর্ণনা দ্বারা পরিপূর্ণ যে, রাসুলে করীম (ﷺ) সম্মুখ ও পিছনের জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত এবং অতীত ও ভবিষ্যতের সকল জ্ঞান সম্পর্কে পূর্ণভাবে জ্ঞাত এবং প্রত্যেক কিছুর জ্ঞান তাঁর জন্য স্পষ্ট ও প্রকাশিত হয়ে গেছে; এবং তিনি সব কিছুর জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।