সেই মহিলার খবর যে রােযা রাখত এবং গীবত করত


হাদিস ১৯:


أخرج البيهقي، عن أبي البختري قال: كانت امرأة في لسانها ذرابة، فأتت النبي ﷺ، فلما أمست دعاها ألي طعامه، فقالت: أما أني كنت صائمة. قال : ما صمت، فلما كان اليوم الأخر تحفظت بعض التحفظ، فلما امست دعاها إلى طعامه، فقالت أما أني كنت اليوم صائمة. قال : كذبت، فلما كان اليوم الأخر تحفظت، فلم يكن منها شيء، فلما امست دعاها إلى طعامه، فقالت: أما أني كنت صائمة. قال: اليوم صمت. مرسل. 


وأخرج الطيالسي والبيهقي في (الشعب)، وابن أبي الدنيا في ذم الغيبه، عن أنس قال: أمر النبي صلى الله عليه وسلم بصوم يوم، وقال لا يفطرن أحد منكم حتى أذن له، فصام الناس حتى أمسوا فجعل الرجل يحبيء فيقول يا رسول الله إني ظللت صائما فأذن لي فافطر فيأذن له حتى إذا جاء رجل، فقال يا رسول الله : امرأتان من أهلك ظلتا صائمتين، وانهما تستحيان أن تأتياك، فاذن لهما أن تفطرا فاعرض عنه، ثم عاوده فاعرض عنه، فقال: أنهما لم تصوما وكيف صام من ظل يأكل لحوم الناس اذهب فمرهما إن كانتا صائمتين فلتستقيئا، فرجع اليهما فاخبرهما فاستقامتا فقاعت كل واحدة علقة من دم، فرجع إلى النبي صلى الله عليه وسلم فأخبره، فقال : والذي نفسي بيده لو بقيت في بطونهما لأكلتهما النار.


আবুল বুখতারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন,

জনৈকা কঠুভাষিণী মহিলা রাসূলুল্লাহ - (ﷺ) এর কাছে আগমন করে। রাতের বেলায় তিনি তাকে খাওয়ার জন্যে ডাকলেন। সে বললঃ আমি রােযাদার ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তােমার রােযা ছিল না। পরদিন সে তার জিহ্বাহে কিছুটা সংযত করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে খাওয়ার জন্যে ডাকলে সে বললঃ আমি রােযাদার ছিলাম। তিনি আবার বললেনঃ তােমার রােযা ছিল না। পরের দিন সে তার রসনাকে পূর্ণরূপে সংযত রাখল। সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে খাওয়ার জন্যে ডাকলে সে বললঃ অদ্য আমি রােযাদার ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ, আজ তুমি রােযা রেখেছ। 


হাদিস ২০:


হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেনঃ 

একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রােযা রাখার আদেশ দিলেন এবং বললেনঃ আমি অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত কেউ ইফতার করবে না। সকলেই রােযা রাখল। সন্ধ্যা হলে প্রত্যেক ব্যক্তি আসত এবং বলত, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি রােযাদার ছিলাম। আপনি আমাকে ইফতারের অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অনুমতি দিয়ে দিলেন। এরপর এক ব্যক্তি এসে বললঃ আমার পরিবারের দু’জন মহিলা রােযা রেখেছিল। তারা আপনার কাছে আসতে লজ্জাবােধ করে। আপনি তাদেরকে ইফতারের অনুমতি দিন। 

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। লােকটি আবার আরয করল। তিনি আবার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তৃতীয় বারের পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,

তারা রােযা রাখেনি। যারা মানুষের গােশত খায়, তাদের আবার রােযা কিসের? তুমি তাদের কাছে যেয়ে বল, তােমরা রােযা রেখে সকলে বমি করে দাও।

মহিলাদ্বয়কে একথা বলা হলে তারা বমি করল। বমির সাথে জমাট রক্ত বের হল। লােকটি এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ সেই সত্তার কসম, যার কব্জায় আমার প্রাণ, এই জমাট রক্ত পেটে থেকে গেলে অগ্নি তাদেরকে খেয়ে ফেলত। 


হাদিস ২১:


واخرج أحمد وأبو يعلى والبيهقي في (الشعب)، وإبن أبي الدنيا في ذم الغيبة، عن عبيد مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن امرأتين صامتا وأن رجلا قال يا رسول الله : إن ههنا امرأتين صامتا وأنهما كادتا أن تموتا من العطش، قال: ادعهما فجاعتا فجيء بقدح أو عس، فقال لاحداهما قيئي فقاعت قيحا ودما وصديدا ولحما، حتى ملأت نصف القدح، ثم قال للأخر: قيئي فقاعت من قيح ودم وصديد ولحم عبيط وغيره حتى ملأت القدح، فقال: إن هاتين صامتا عما أحل الله لهما وافطرنا على ما حرم الله عليهما جلست إحداهما إلى الأخرى فجعلتا تأكلان لحوم الناس. 

العس: بضم العين وتشديد السين المهملتين القدح العظيم. العبيط: بفتح المهملة وموحدة وتحتا نية وطاء مهملة الطريء. 


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গােলাম ওবায়দ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেনঃ দু’জন মহিলা রােযা রাখল। এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! দু’জন মহিলা রােযা রেখেছে। এখন পিপাসায় তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাদেরকে ডেকে আন। তারা এলে একটি বড় পেয়ালা আনা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজনকে বললেন, এতে বমি কর। 

সে পুঁজ, গােশত ও কিছু রক্ত বমি করল। 

এতে পেয়ালা অর্ধেক ভরে গেল। অতঃপর অপরজনকেও বমি করতে বললেন। সে-ও পুঁজ, গােশত ও রক্ত বমি করল এবং পেয়ালা ভরে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এরা উভয়েই আল্লাহর হালাল করা বস্তু খেয়ে রােযা রেখেছে এবং হারাম করা বস্তু দিয়ে ইফতার করেছে। তারা পাশাপাশি বসে মানুষের গােশত খেয়েছে; অর্থাৎ গীবত করেছে।

Top