'আলাইহিস সালাম', 'কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু' বলা কি শিয়াদের চিহ্ন?

<p> আলাইহিস সালাম ব্যবহার করার পক্ষে অনেক দলিলাদি দেখা যায়।</p><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhsg4waBJQ70mni5XVhNHS_1-Ev8PIvnD9EtmdZ8Blu4PTJN3lVkYLhRy7FlwSrYt-inbbILEUPDeisUGKUwNd8SATlaOg1LQ5pb-BLEpRHPsbAv7afLwKbLtBmI-9cdKJ0KvM5V63Pu0jl-bbq_EDzisSv4k0l1n3J3RWbrDUXW9LVbmrBvJDxw-YqrA/s1104/5fd90ded3345e49838afc7a3cf41cc15.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1104" data-original-width="736" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhsg4waBJQ70mni5XVhNHS_1-Ev8PIvnD9EtmdZ8Blu4PTJN3lVkYLhRy7FlwSrYt-inbbILEUPDeisUGKUwNd8SATlaOg1LQ5pb-BLEpRHPsbAv7afLwKbLtBmI-9cdKJ0KvM5V63Pu0jl-bbq_EDzisSv4k0l1n3J3RWbrDUXW9LVbmrBvJDxw-YqrA/s320-rw/5fd90ded3345e49838afc7a3cf41cc15.jpg" width="213" /></a></div><br /><p><br /></p><p>নবীজি ﷺ এঁর নামের পর সালাত  সালাম প্রেরণের নির্দেশ আমরা কোরানুল করিম হতে পাই।⁽*⁾ এবং অন্যান্য আম্বিয়া عليهم السلام অনেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী  সম্মানিত ব্যক্তির নামের পর আমরা আলাইহিসসালাম ব্যবহার করে থাকি।</p><p>★তফসিরে কবিরের সূচিপত্রেই,সুরা ক্বাফ-হা-ইয়া-আইন-সোয়াদ এর ক্ষেত্রে সূরাতুল মারিয়াম আলাইহাসসালাম লেখা আছে।</p><p>★হযরত খিযর নবি/ওলি এর ব্যাপারে মতানৈক্য থাকলেও,কেউ ওলি ভেবে উনার নামের পর রহিমাহুল্লাহ বলেন না,বরং আলাইহিসসালামই বলেন।</p><p>★ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম এর ব্যবহার সর্বজনবিদিত। </p><p><br /></p><p>কিন্তু কিছু কিছু কূপমন্ডুককে দেখা যায় তারা,নবী পরিবারের সদস্যদের শেষে আলাইহিসসালাম বলতে/লিখতে কাউকে দেখলেই তাদেরকে “রাফেযী” বা “শিয়া” বানিয়ে দেয়ার কাজটা অনায়াসে করে ফেলেন। যদিও কারো কথায় কারো ঈমান ও আক্বিদা/বিশ্বাসমালায় কিছু আসে যায় না।কেননা,মুহাব্বত,ঈমান আর আক্বিদার সত্যায়ন স্বয়ং মোস্তফা ﷺ করে থাকেন।</p><p><br /></p><p>এরশাদ হচ্ছে—</p><p>سَلَامٌ عَلَىٰ إِلْ يَاسِينَ</p><p>অর্থঃ (আল্লাহর পক্ষ হতে) শান্তি বর্ষিত হোক ইলয়াসীন এর উপর।(সাফফাত-১৩০)</p><p><br /></p><p>রইসুল মুফাসসিরীন সৈয়্যদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণনা করেন, এই আয়াতের প্রথম তাফসির হল—</p><p><br /></p><p>سلام- منا سعادة وسلامة -على آل ياسين- على آل محمد عليه الصلاة والسلا</p><p><br /></p><p>অর্থাৎঃ (রব্বে করীমের তরফ হতে) সা'আদাত বা নিরাপত্তা এবং সালামাত বা শান্তি বর্ষিত হৌক আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) বা নবিজির (ﷺ) পরিবার-পরিজনের এর উপর।</p><p>{★তানবীরুল মিক্ববাস ফি তাফসিরে ইবনে আব্বাস,সুরা সাফফাত এর তাফসির,আল্লামা মজিদুদ্দীন ফিরোজাবাদী. </p><p>★আব্দুল্লা ইবনে মাসউদ রাঃ এর কেরাত অনুযায়ী,এটা সালামুন আলা আ-লে-ইয়াসীন।মানে নবীজির আ-ল বা পরিজনের উপর আল্লাহর সালামতি(সর্বদা বিরাজমান)।</p><p>(i)তাফসিরে আল কুরআন আল আজিম, হাফেজ এমাদুদ্দীন ইবনে কাসির।</p><p>(i)জামেউল বায়ান আন-তাবিলে আল-কুরআন,ঊনবিংশতিতম খন্ড,৬২২পৃষ্ঠা,ইমাম জারীর আত তাবারি</p><p>★আল্লামা মাওয়ারদী, 'আলে-ইয়াসীন' উল্লেখ করেছেন,তাফসিরে মাওয়ারদী,পঞ্চম খন্ড,৬৫পৃষ্ঠা</p><p>★তাফসিরে কুরত্বুবী,অষ্টাদশ খন্ড,৯০পৃষ্ঠা।</p><p>★তাফসিরে আবি হাতেম,হাদীস নং-১৮২৫৪</p><p>★তফসিরে কবির,ষষ্ঠবিংশতিতম খন্ড,১৬২পৃষ্ঠায়,এই আয়াতের দ্বিতীয় তাফসীর। </p><p>★আল্লামা মুহিউসসুন্নাহ বাগাবী এই আয়াতের প্রথম তাফসিরেই বলেন,ইলয়াসীন দ্বারা,আলে মুহাম্মাদ ই উদ্দেশ্য।তাফসিরে বাগাবী।}</p><p><br /></p><p>এই আয়াতের তাফসিরের ব্যাপার ইলিয়াস عليه السلام বা ইদরীস عليه السلام এর উপর সালাম,নাকি আলে ইয়াসিন ﷺ বা ইয়াসিনের ﷺ পরিবার বা নবীপাক ﷺ এর পরিবার এর উপর সালাম সে ব্যাপারে উভয় রকম মতামত বিদ্যমান। তবে পরিশেষে, আলে ইয়াসিন (ﷺ) এর জন্য এটা গ্রহনযোগ্য হবে।যেমন ইমাম তাবারী উল্লেখ করেন,সালামুন আলা আ-লে ইয়াসিন এটা মদীনার অনেক ক্বারী/তেলাওয়াতকারী উচ্চারণ করে থাকেন।</p><p>[★তাফসিরে তাবারী,ঊনবিংশতিতম খন্ড,৬২০পৃষ্ঠা</p><p>★এটা ক্বারী হযরত নাফি('য়) এবং ইবনে আমের আলাইহিমুর রহমাদ্বয়েরও ক্বেরাত।</p><p>(i)আল সাব'আত,৫৪৯পৃষ্ঠা,ইবনে মুজাহিদ রাঃ</p><p>(ii)তফসিরে জালালাইন বাংলা,টীকা অংশ।</p><p> (iii)তফসিরে কবির,ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী।]</p><p><br /></p><p>এই আয়াতের তাফসিরের শেষভাগে,ক্বালবীর সূত্রে,একই মত প্রকাশ করেছেন,আহলে হাদিস স্কলার কাযী শওক্বানী,উনার তফসিরে ফতহুল ক্বদীর গ্রন্থে। আর স্পষ্ট করে ইমাম সূয়ুতী বলেন, উচ্চারণ/ক্বেরাত যদি “আ-লে ইয়াসীন” হয় (যেমনটা তথ্যসূত্র-3 এ বলা),তখন এটা দ্বারা উদ্দেশ্য আলে মুহাম্মাদ।</p><p>[আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন,৫ম খন্ড,সম্মিলিত খন্ড ১৯৮১পৃষ্ঠা।]</p><p><br /></p><p>অর্থাৎ,নবী পরিবারকে স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল আলা'মিন  সালাম দিয়ে উনাদেরকে রহমতে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।</p><p><br /></p><p>➤বুখারী শরীফে উল্লেখ আছে ,সৈয়্যদুনা আবি হুরায়রা রাঃ বর্ণনা করেন,</p><p><br /></p><p> قَالَ أَتَى جِبْرِيْلُ النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذِهِ خَدِيْجَةُ قَدْ أَتَتْ مَعَهَا إِنَاءٌ فِيْهِ إِدَامٌ أَوْ طَعَامٌ أَوْ شَرَابٌ فَإِذَا هِيَ أَتَتْكَ فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلَامَ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّيْ   .....</p><p><br /></p><p>মানে,”জিব্রাঈল عليه السلام নবী ﷺ এঁর নিকট হাযির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ﷺ ! ঐ যে খাদীজাহ رضي الله عنه একটি পাত্র হাতে নিয়ে আসছেন। ঐ পাত্রে তরকারী, অথবা খাদ্যদ্রব্য অথবা পানীয় ছিল। যখন তিনি পৌঁছে যাবেন তখন তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে এবং আমার পক্ষ থেকেও সালাম জানাবেন।“</p><p><br /></p><p>এখানে স্পষ্ট দেখা যায়,আল্লাহর পক্ষ থেকে সালামের পবিত্র পয়গামখানি এবং নিজের সালাম দিচ্ছেন রুহুল কুদ্দুস আলাইহিসসালাম এভাবে — عَلَيْهَا السَّلَامَ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّيْ — (আলাইহাস সালাম মির-রব্বিহী ওয়া মিন্নী)।</p><p>[৬৩নম্বর অধ্যায়,বাব-উ-মানাক্বিবিল আনসার, بَابُ تَزْوِيْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيْجَةَ وَفَضْلِهَا رَضِيَ اللهُ عَنْهَا,#৩৮২০(ইন্টারন্যাশনাল)</p><p>]</p><p><br /></p><p>➤আবার মুমিনদের আম্মাজান আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহু নিজেই বর্ণনা করেন,</p><p><br /></p><p>قَالَ أَبُوْ سَلَمَةَ إِنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا يَا عَائِشَ هَذَا جِبْرِيْلُ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ فَقُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ تَرَى مَا لَا أَرَى تُرِيْدُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم</p><p><br /></p><p>মানে,”তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে ‘আয়েশা! জিবরাঈল عَلَيْهِ السَّلَامُ তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি উত্তরে বললাম,❝ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আপনি (ﷺ) যা দেখতে পান আমি তা দেখতে পাই না।❞</p><p>মুমিনদের মাতাকে স্বয়ং রুহুল কুদ্দুস  সালাম দিয়েছেন।এই হাদিসটা আরো কয়েক স্থানে বর্ণিত আছে।</p><p>[আবি সালামাহ রাঃ এর সূত্রে আরো বর্ণনা এসেছে—(i)বুখারী শরিফ ,আদব অধ্যায়(৭৮) #৬২০২ এবং অনুমতি প্রার্থনা অধ্যায়(৭৯),#৬২৪৯</p><p>(ii)মুসলিম শরিফ, ফাযায়েলুস সাহাবা অধ্যায়,2447</p><p>(5997 int)</p><p>(iii)আল-মুজতাবা(নাসায়ী শরিফ), জুহরী হয়ে উরওয়ার বর্ণনা ,স্ত্রী লোকের সাথে ব্যবহার অধ্যায়,(كتاب عشرة النساء),# ৩৯৫৩,৩৯৫৪.</p><p>(iv)সুনানু আবি দাউদ, কিতাবুল আদব(৪৩), #৫২৩২</p><p>(v)জামে তিরমিযী,কিতাবুল মানাকিব(৪৯),#3882,3881</p><p>(int)</p><p>(vi)সুনানু ইবনে মাজাহ,কিতাবুল আদাব(৩৩),#৩৬৯৬]</p><p><br /></p><p>আমরা এ হাদিসগুলোকে এখানে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছি কেননা,ইমাম বুখারী,মুসলিম এবং তিরমীযী এগুলোকে সরাসরি ফাযায়েলের অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন।আর আক্বায়েদে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম'আর ওলামারা আলাইহিসসালাম এর ব্যবহার কেবল উচ্চ মর্যাদা বা ফজিলত বুঝাতে ব্যবহার করে থাকেন।রাফেযীদের মতো একে কেবলমাত্র দ্বাদশ ইমামের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেননা।</p><p><br /></p><p>⬛ ইমাম বুখারী আলাইহিররাহমা উনার আল-জামি তে অনেক স্থানে আহলে বায়েতের নামের পর আলাইহিস/আলাইহাসসালাম ব্যবহার করেছেন।</p><p>যেমনঃ সৈয়্যদায়ে কায়েনাত ফাতেমাতুযযাহারা كرم الله تبارك وتعالى وجهها الكريم - এর ফজিলত বুখারী শরিফে একই অধ্যায়ে দুইবার দুই শিরোনামে আলোচিত হয়েছে।</p><p><br /></p><p>দ্বাদশ পরিচ্ছদের নাম এরূপ-</p><p><br /></p><p>بَابُ مَنَاقِبُ قَرَابَةِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ وَمَنْقَبَةِ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ بِنْتِ النَّبِيِّ ﷺ</p><p><br /></p><p>বা,রসুলুল্লাহ এর নিকটাত্মীয়দের পরিচ্ছদ এবং ফাতেমা আলাইহাসসালাম বিনতে নবী(ﷺ) এর জীবনাদর্শের পরিচ্ছদ।</p><p><br /></p><p>আর এর প্রথম হাদিসটা বর্ণনা করছেন আম্মাজান আয়েশা আলাইহাসসালাম,</p><p>....  عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ</p><p><br /></p><p>মানে, আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে,ফাতেমা আলাইহাসসালাম..……</p><p><br /></p><p>⬛ আবার একই অধ্যায়ে ঊনবিংশতিতম পরিচ্ছদে  উল্লেখ আছে একই শব্দগুলো,</p><p><br /></p><p> باب مَنَاقِبُ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ</p><p><br /></p><p> </p><p>⬛একই অধ্যায়ে,দ্বাবিশতিতম পরিচ্ছদে আছে,</p><p><br /></p><p>......  عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أُتِيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ</p><p><br /></p><p>মানে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদের সামনে হুসাইন আলাইহিসসালাম -এর মাথা (মোবারক) আনা হল...........</p><p><br /></p><p>⬛ ইমাম বুখারি রহঃ ইমাম সাজ্জাদ আল যাইনুল আবিদীন আলী ইবনে হুসাইন এর নামের পর আলাইহিসসালাম ব্যবহার করেছেন। বিবাহ অধ্যায়ের মধ্যে উল্লেখ আছে,</p><p>لِقَوْلِهِ تَعَالَى: مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ</p><p>وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ يَعْنِي مَثْنَى أَوْ ثُلاَثَ أَوْ رُبَاعَ</p><p>মানে, আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘তোমরা বিয়ে কর দু’জন, তিনজন অথবা চারজন।’’ (সূরা নিসা-২)</p><p>আলী ইবনু হুসায়ন আলাইহিসসালাম (এ আয়াতের তাফসিরে) বলেনঃ আয়াতটির অর্থ হচ্ছে দু’জন অথবা তিনজন অথবা চারজন।</p><p>বুখারী,কিতাবুন নিকাহ, باب لاَ يَتَزَوَّجُ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعٍ, #৫০৯৮ এর আগের অংশ।</p><p><br /></p><p>শুধু তাই নয়,সৈয়্যদুনা সিদ্দিকে আকবর এবং সৈয়্যদুনা ফারুকে আযম এর নামের পর ইমাম দারাকুতনী রহঃ আলাইহিসসালাম ব্যবহার করেছেন।</p><p>ফাদ্বায়িলুসসাহাবাতি ওয়া-মানাক্বিবাহুম,ইমাম হাফেজ আবুল হাসান আলী ইবনে উমর দারাকুতনী রাঃ(৩৭৫ হিজরী)।</p><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjSoc3Uu95guu5HuBIGumn-bCnDH1cqKa6fgK8yGnTtdetrYrL5umDSP7xak02YWsXrLHgYsgERAORa1bcHOXUXgklGMMLS_wjkzpFRjVuIdfUXh90jW0Lyw-CDW9tHL_3VoB-G72IYUw6-zEdRFa5OnipuE70Qa-YU0KpAt5OR3cmGmUk9yDctztElOw/s960/FB_IMG_1651254456335.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="683" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjSoc3Uu95guu5HuBIGumn-bCnDH1cqKa6fgK8yGnTtdetrYrL5umDSP7xak02YWsXrLHgYsgERAORa1bcHOXUXgklGMMLS_wjkzpFRjVuIdfUXh90jW0Lyw-CDW9tHL_3VoB-G72IYUw6-zEdRFa5OnipuE70Qa-YU0KpAt5OR3cmGmUk9yDctztElOw/s320-rw/FB_IMG_1651254456335.jpg" width="228" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQM9EbpvZ8skTBbCqeBAzZsAS9iD7z0n8WfBhGluOJBrLyHObD0G_OaZvzgkJ2NNtxBJjGWorlgH5x5IDlnl7IIn0_xyI67MYLJLze1hgyVvUNayCvtiLf6Z4_IJoWAUyXPFHSmHKJkh0Lh-HXyAYdVFPdZLNwuCogH8FdcbBWHoH8Qmbwrpf2WGW7DA/s960/FB_IMG_1651254459458.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="608" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQM9EbpvZ8skTBbCqeBAzZsAS9iD7z0n8WfBhGluOJBrLyHObD0G_OaZvzgkJ2NNtxBJjGWorlgH5x5IDlnl7IIn0_xyI67MYLJLze1hgyVvUNayCvtiLf6Z4_IJoWAUyXPFHSmHKJkh0Lh-HXyAYdVFPdZLNwuCogH8FdcbBWHoH8Qmbwrpf2WGW7DA/s320-rw/FB_IMG_1651254459458.jpg" width="203" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFPo8XxRrzc6yP7EYkZT5oECwLBEnn2Pd8VYKb3QnK2-TlsIkSY3KnlMHjR66idouoH7D18NaGDg-qveP-e0_0UBs1Bn2AUavEAyh7nZ1uCy77NlawFsg4lN-4r-cji1DujPpmnYCEeJDQ0ymxkxpj3owha7YjWr38zqPQBx6ndIBoigAln-AJaTzAiA/s960/FB_IMG_1651254462068.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="626" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFPo8XxRrzc6yP7EYkZT5oECwLBEnn2Pd8VYKb3QnK2-TlsIkSY3KnlMHjR66idouoH7D18NaGDg-qveP-e0_0UBs1Bn2AUavEAyh7nZ1uCy77NlawFsg4lN-4r-cji1DujPpmnYCEeJDQ0ymxkxpj3owha7YjWr38zqPQBx6ndIBoigAln-AJaTzAiA/s320-rw/FB_IMG_1651254462068.jpg" width="209" /></a></div><br /><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJWikUyeNTAGozCugK9QhaCe_eLkhsOHtT72iyIjhuM2z2YLXcljIpyQ1LpdUqZ34mKIkMaY5LXuJ2rwsfuPCMGoo6yzLbrUQ8APoH2xXKbdxlAZqvdCVYU_NuK3rW0DXHDqhq6trMzWLEEjS-3W0LABHZqttiKlapD5R4AlAfv2JfjUoh8MGpFrSZNg/s960/FB_IMG_1651254465058.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="603" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJWikUyeNTAGozCugK9QhaCe_eLkhsOHtT72iyIjhuM2z2YLXcljIpyQ1LpdUqZ34mKIkMaY5LXuJ2rwsfuPCMGoo6yzLbrUQ8APoH2xXKbdxlAZqvdCVYU_NuK3rW0DXHDqhq6trMzWLEEjS-3W0LABHZqttiKlapD5R4AlAfv2JfjUoh8MGpFrSZNg/s320-rw/FB_IMG_1651254465058.jpg" width="201" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEieKXosXp9NEaE7ug8_dxor1gMdxu5_R7lJhVmjNxwQKZ9SYaBEStgANgYPr04Sorp8eA72K8F4uatT-ycLSgUZwqR1hftf8ZCNCzc3n7tUu0P8Tcyt_Zh4w3tu-WlpZT4onJXEITkOSKLUMvWiKFw9O3Ahc3G4WG2vQfXSIkcH_Qhus_iv9sMAFq69Rw/s960/FB_IMG_1651254467760.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="609" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEieKXosXp9NEaE7ug8_dxor1gMdxu5_R7lJhVmjNxwQKZ9SYaBEStgANgYPr04Sorp8eA72K8F4uatT-ycLSgUZwqR1hftf8ZCNCzc3n7tUu0P8Tcyt_Zh4w3tu-WlpZT4onJXEITkOSKLUMvWiKFw9O3Ahc3G4WG2vQfXSIkcH_Qhus_iv9sMAFq69Rw/s320-rw/FB_IMG_1651254467760.jpg" width="203" /></a></div><br /><p><br /></p><p>তাই আহলুসসুন্নাহ ওয়াল জাম'আ উম্মুল মু'মিনিনদের নামের পর যেমন আলাইহাসসালাম ব্যবহার করে থাকেন,তেমনি আহলে বায়েতে আতহারের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন আবার খুলাফায়ে রাশেদুনের বেলায় ব্যবহার করতেও তাতে আপত্তি করেন না।ওয়াল্লাহু আ'লাম।</p><p><br /></p><p><b><u><span style="color: red; font-size: medium;">শায়খ আবদুল আযিয মুহাদ্দিসে আযম দেহলভি রাহ. এর ফতোয়া:</span></u></b></p><p><b><u><span style="color: red; font-size: medium;"><br /></span></u></b></p><p>ত্রয়োদশ শতাব্দির মুজাদ্দিদ শায়খুল ইসলামি ওয়াল মুসলিমিন সনদুল মুহাদ্দিসিন ওয়া মুহাক্কিকীন ইমাম আবদুল আযিয মুহাদ্দিসে আযমে দেহলভি নাওয়ারাল্লহু মারকাদাহ এর ফতোয়ার পুরান প্রিন্ট,যেটা আই থিঙ্ক মুফতি সাব চোখেও দেখেন নাই,সেই ১৩শ হিজরির শুরুর দিকের ছাপা,তার সূচিতেই একটা অধ্যায়ের নামকরণ করা হয়েছে ❝আলি,ফাতেমা,হাসান ও হোসাইন এর নামের পর আলাইহিস সালাম লেখার বৈধ হবার প্রসংগে আলোচনা'!❞</p><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpl0CIlDx6bXcNJC-XuISrhvvAOLaVeGr3nGtu6HQ-3A5bY4ZZ7PY0bLqjSqLyT_2tBekSxiaPW8Yqo90cVt5F_PDKPo_QRPzYSUvxQ0022OotscOdQhjaBt2kRnoxjbs9UYLl5EjZWaXwy6xmfJN3eSiFA_gRWJOEZtiJog_LzJvE6bVQBprygmEcUg/s1080/FB_IMG_1651256179357.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpl0CIlDx6bXcNJC-XuISrhvvAOLaVeGr3nGtu6HQ-3A5bY4ZZ7PY0bLqjSqLyT_2tBekSxiaPW8Yqo90cVt5F_PDKPo_QRPzYSUvxQ0022OotscOdQhjaBt2kRnoxjbs9UYLl5EjZWaXwy6xmfJN3eSiFA_gRWJOEZtiJog_LzJvE6bVQBprygmEcUg/s320-rw/FB_IMG_1651256179357.jpg" width="320" /></a></div><br /><p>ফতোয়া আযিযি ১২০ বছর আগের ফারসী প্রিন্ট</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgooWIVa05Y9XAWhTWZ_tKUNvT4xIUV7hsMy6ib64nhEsm5EQz-KtOw0BppMox8-SaPw_x8PrmP8Yf0vSccAM1O_NBlC-xIZz_RshUDLYRsMCLHkGPfnmdr4ekr9j_sx7e70Bm9iaKT-PgdV31Z88IWDLugyv6pSFScWMF5pWQ15NDOt5uL8U456QblRg/s1440/FB_IMG_1651256186179.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1440" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgooWIVa05Y9XAWhTWZ_tKUNvT4xIUV7hsMy6ib64nhEsm5EQz-KtOw0BppMox8-SaPw_x8PrmP8Yf0vSccAM1O_NBlC-xIZz_RshUDLYRsMCLHkGPfnmdr4ekr9j_sx7e70Bm9iaKT-PgdV31Z88IWDLugyv6pSFScWMF5pWQ15NDOt5uL8U456QblRg/s320-rw/FB_IMG_1651256186179.jpg" width="240" /></a></div><br /><p><br /></p><p>❝..আর 'আলাইহিস সালাম' শব্দটা গায়রে-নবি বা নবি নয় এমন কেউ(তবে সাহাবি),তার শানে ব্যবহার বলতে পারবে।এর দলিল/সনদ/মূলাধার হল আহলে সুন্নতের প্রাচীন হাদিসের গ্রন্থসমূহে,বিশেষত সুনানে আবি দাউদ এবং সহিহ বুখারিতে সাইয়্যিদুনা আলী,হাসানাইন,সাইয়্যেদা পাক ফাতেমা,আম্মাজান খাদিজাহ আর সাইয়্যিদুনা আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুম দের পবিত্র আলোচনায় 'আলাইহিস সালাম' শব্দের ব্যবহার হয়েছে।কিন্তু শিয়াদের সাথে সাদৃশ্যের কারণে কিছু কিছু ওলামা এটা লিখতে মানা করেন!❞</p><p><br /></p><p>আরো কিছু প্রমাণ আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি:</p><p style="text-align: justify;">➤১।ইমাম আব্দুর রহমান ইবনুল জওযী হাম্বলি (৫৯৮হি.)।কিতাবুল মাওযুয়াত।মাক্তাবাতুস সালাফিয়াহ,মদীনাতুল মুনাওয়ারা হতে প্রকাশিত।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">১ম খন্ডে আলী,ফাতিমা,হাসান, হোসাইন রাঃ এর নামের পর আলাইহিস সালাম সহকারে বাব/পরিচ্ছদ রচনা করেছেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤২।ইমাম দারাকুৎনী(৩৮৫ হি.)।ফাযায়েলুস সাহাবা ওয়ামানাকিবুহুম।মাক্তাবাতু গুরাবাইল আছারিয়াহ।</p><p style="text-align: justify;">অনেক জায়য়গায় আলাইহিসসালাম ব্যবহার করেছেন যেমন ২৯ পৃষ্ঠা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৩।ইমাম আহমদ বিন হাম্বল।ফাযায়েলুস সাহাবা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সম্পূর্ণ অধ্যায়েরই এর নামই দিয়েছেন 'ফাযায়েলে আলী আলাইহিস সালাম'।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৪।তিরমিযী শরিফ,দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ বৈরুত,সম্পূর্ণ বাব এর নাম বাব মানাকিবে হাসান ওয়া হুসাইন আলাইহিমুস সালাম।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৫।সুনানে আবি দাউদ,১৫৭৯ নং হাদীস</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: right;"></p><blockquote>حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ قَالَ  ......... </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৬।মুসনাদু আহমদ বিন হাম্বল,৯২৬৫</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: right;"><b></b></p><blockquote><p style="text-align: right;"><b>.....   </b></p><p style="text-align: right;"><b>كَانَ مَرْوَانُ يَسْتَخْلِفُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ فَاسْتَخْلَفَهُ مَرَّةً فَصَلَّى الْجُمُعَةَ فَقَرَأَ سُورَةَ الْجُمُعَةِ وَإِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ فَلَمَّا انْصَرَفَ مَشَيْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَقُلْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَرَأْتَ بِسُورَتَيْنِ قَرَأَ بِهِمَا عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ قَرَأَ بِهِمَ  </b></p><p style="text-align: right;"><b>....</b></p></blockquote><p style="text-align: right;"><b></b>......</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৭।তফসিরে কবির,ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী,২/৩৭৮ মাক্তাবা শামেলা,</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">وَقَالَ قَوْمٌ: إِنَّهَا نَزَلَتْ فِي عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ   .......</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৮।আল্লামা আবুল হাসান ওয়াসেতী বা ইমাম ইবনে মাগাযেলী (৪৮৩হিজরী), মানাকিবে আমিরুল মুমেনীন আলী ইবনে আবি তালিব রাঃ,৩০৫ নং হাদীস।দারুল আছার,ইয়েমেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤৯।তফসিরে কাশশাফ,আল্লামা জারুল্লাহ যামাখশারী(৫৩৮হি.) ,২/২৯৫,</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">قال علىّ بن أبى طالب عليه السلام:لَأَصْبَحَنَّ الْعَاصِ وَابْنَ الْعَاصِى  ...... </p><p style="text-align: justify;">মাক্তাবা শামেলা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১০।তফসিরে মাযহারী,আল্লামা কাযী সানাউল্লাহ উসমানী আল-মাযহারী আল-পানিপথী আল-নখশবন্দী আল-হানাফি (১১৬৫হি.)</p><p style="text-align: justify;">,৩/২৮৯</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ما روى الحاكم عن صعصعة بن صوحان عن علي عليه السلام انه عليه السلام لما استشهد وضربه ابن ملجم قال الناس يا امير المؤمنين</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১১।ইমাম আবু আব্দুল্লাহ কুরতুবী (৬৭১হি.) তফসিরে ক্বুরতুবী,১৫/১৯৮পৃষ্ঠা</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">قُلْتُ: وَضَعَّفَ أَبُو الْفَرْجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ: وَغُلُوُّ الرَّافِضَةِ فِي حُبِّ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১২।ইমাম আবু জাফর জারির আত-তাবারী (৩১০ হি.),তফসিরে ত্বাবারী,১৩/১৬৬, #১৫১৯৯ নং হাদীস</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">قال، حدثنا أبي، عن شريك، عن جابر، عن عبد الله بن يحيى، عن علي عليه السلام قال: إنما سميت "اليهود"، لأنهم قالوا: "هدنا إليك  .....</p><p style="text-align: justify;"> </p><p style="text-align: justify;">➤১৩।শায়খুল ইসলাম যাহিদ ইবনে হাসান আল কাউসারী (১৩৭১হি.) ,'আল হাভী ফি সিরাত আত ত্বাহাভী' গ্রন্থের ৩৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">وتبدو على كلامه آثار بغضه لعلي عليه السلام في كل خطوة من خطوات تحدثه  ...... </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১৪।কাযী আবু আব্দুল্লাহ আল-কাদ্বায়ী শাফেয়ী(৪৫৪ হি), মুসনাদু শিহাব,ইমাম কাদ্বায়ী,১/৪</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">عن إسحاق بن إبراهيم الشامي قال: أخبرنا علي بن حرب قال: أخبرنا موسى بن داود الهاشمي قال: أخبرنا ابن لهيعة عن محمد بن عبد الرحمن بن نوفل عن عامر بن عبد الله بن الزبير عن أبيه عن علي عليه السلام  .........</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১৫।আল ইস্তিয়াব,ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালেকী(৪৬৩হি.) ,৩/১১৩১পৃষ্ঠা</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">وقال قَاسِم بْن ثَابِت صاحب كتاب الدلائل: أنشدني مُحَمَّد بْن عَبْد السَّلامِ الحسيني فِي قتل علي عليه السلام</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১৬।ইমাম ইবনে আব্দিল বার,জামেউল বায়ানুল ইলম ওয়া ফাযলিহী,১/৪৪৮,৭৭৪ নং হাদীস,</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">وَمِنْ حَدِيثِ أَبِي رَافِعٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ<span style="white-space: pre;"> </span>.........</p><p style="text-align: justify;">➤১৭।বাহজাতুল মাজালিস,ইমাম ইবনে আব্দিল বার,২৪৩ পৃষ্ঠা,</p><p style="text-align: justify;">سئل علي عليه السلام: من الزاهد في الدنيا؟ قال: من لم ينس المقابر والبلى وترك فضل زينة الدنيا<span style="white-space: pre;"> </span>....  </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১৮।ইমাম বুখারী,তারিখুল কাবির,২/৩৫৫,ক্রমিক ২৭৩১</p><p style="text-align: justify;">قَالَ: صمنا على عهد علي عَلَيْهِ السَّلَامُ ثمانية وعشرين يوما فأمرنا<span style="white-space: pre;"> </span>.........</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤১৯।সুনানু কুবরা লিন নাসায়ী,১/৩৩,১০৯৭৯ নং হাদীস,</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">  أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ شُتَيْرِ بْنِ شَكَلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ<span style="white-space: pre;"> </span>......</p><p style="text-align: justify;">➤২০।ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী,হিলইয়াতুল আউলিয়া(৪৩০হি.) ,১/৭৫</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الطُّوسِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالَا: ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خُزَيْمَةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي الْمَشَدِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ:.<span style="white-space: pre;"> </span>.......</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">➤২১।মুজামুল কাবির লিত ত্বাবারানি,২২/৪১৩</p><p>مَا أَسْنَدَتْ فَاطِمَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ فَاطِمَةَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ<span style="white-space: pre;"> </span>........... </p><p><br /></p><p>➤২২।মুসান্নাফে আব্দির রায্যাক,৫/১৯৫</p><p><br /></p><p>9362 - عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مَطَرٍ، وَابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ: أَنَّ مُكَاتِبًا أَسَرَهُ الْعَدُوُّ، ثُمَّ اشْتَرَاهُ رَجُلٌ، فَسَأَلَ بَكْرِ بْنِ قِرْوَاشٍ عَنْهُ عَلِيًّا، فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ: «قُلْ فِيهَا يَا بَكْرَ بْنَ قِرْوَاشٍ<span style="white-space: pre;"> </span>...........</p><p><br /></p><p>➤২৩।ইমাম শাহিন স্বীয় তারগীব গ্রন্থের ৪২ পৃষ্ঠায় হযরত আব্বাস রাঃ এর নামের পর আঃ লিখেছেন—</p><p><br /></p><p>فَضْلُ صَلَاةِ التَّسْبِيحِ الَّذِي عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمِّهِ الْعَبَّاسِ عَلَيْهِ السَّلَامُ</p><p><br /></p><p>➤২৪।ইমাম ইবনে শাহিন,শরহে মাযহাবে আহলুস সুন্নাহ,২৬৩ পৃষ্ঠার ১৬৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় উল্লেখ আছে,হাসান আলাইহিস সালাম</p><p><br /></p><p>وَلَمْ يُطْلِقِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السُّؤْدَدَ فِي الصَّحَابَةِ إِلَّا لِلْحَسَنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ<span style="white-space: pre;"> </span>.......</p><p><br /></p><p>➤২৫।একই গ্রন্থে উনার আব্বাজানকেও আলাইহিসসালাম সহকারে আলাদা বাব রচনা করা হয়েছে—</p><p><br /></p><p>ذِكْرُ مَا تَفَرَّدَ بِهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ<span style="white-space: pre;"> </span>.....</p><p><br /></p><p>➤২৬।ইমাম শাহিন (৩৮৫হি.) ,ফাযায়েলে ফাতেমা গ্রন্থের স্থানে স্থানে ফাতেমার পর আলাইহাস সালাম লিখেছেন,যেমন 17 পৃষ্ঠা,১ নং হাদীস</p><p><br /></p><p>صَنَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْتَزَعَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ سِلْسِلَةً مِنْ ذهب من عُنُقِهَا فَقَالَتْ: هَذِهِ أَهْدَاهَا لِي أَبُو حَسَنٍ<span style="white-space: pre;"> </span>....... </p><p><br /></p><p>➤২৭।ঐ একই গ্রন্থে উল্লেখ আছে,আলী আলাইহিস সালাম </p><p>29-[30] حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْأَشْعَثَ، ثنا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، ثنا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا، سَمِعَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ يَقُولُ: أَرَدْتُ أَنْ أَخْطُبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ﷺ ابْنَتَهُ ثُمَّ<span style="white-space: pre;"> </span>.......</p><p><br /></p><p>➤২৮।সুনান আদ দারাকুৎনী,১/৯২,২৮৯ নং হাদীস</p><p>نَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَاسِطِيُّ ، نَا مُوسَى بْنُ إِسْحَاقَ ، نَا أَبُو بَكْرٍ ، نَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ عَوْفٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هِنْدٍ قَالَ : قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ : مَا أُبَالِي إِذَا أَتْمَمْتُ وُضُوئِي بِأَيِّ أَعْضَائِي بَدَأْتُ<span style="white-space: pre;"> </span>.......... </p><p><br /></p><p>➤২৯।ত্বাবাকাতুশ শাফেইয়াহ,৬/১১৭ ইমাম তাজুদ্দিন সুবুকি,</p><p>وَقَالَ أَنا مُحَمَّد ابْن عبد الله وسرد لَهُ نسبا إِلَى عَليّ عَلَيْهِ السَّلَام وَصرح بِدَعْوَى الْعِصْمَة لنَفسِهِ وَأَنه الْمهْدي الْمَعْصُوم وَبسط يَده للمبايعة فَبَايعُوهُ<span style="white-space: pre;"> </span>...........</p><p><br /></p><p>➤৩০।মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন, ৩/১৬৬,</p><p>4728 - أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتَّابٍ الْعَبْدِيُّ، بِبَغْدَادَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَارِمٍ الْحَافِظُ<span style="white-space: pre;"> </span>،.......<span style="white-space: pre;"> </span>عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ</p><p><br /></p><p>আলাইহিসসালাম ব্যবহার নিয়ে বাড়াবাড়ি কাম্য নয়।এটাকে শিয়া-সুন্নির মানদণ্ড ভাবাটা বেইনসাফি হবে।</p><p><br /></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আর হযরত আলি রা এর নামের পর কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু শব্দের ব্যবহার এত বেশি যে, যে লোক এটার বিরোধিতা করে সে আসলে খারেজী মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই লালন করেনা। কতেক দেওবন্দি আপত্তি করে,যা তাদের অজ্ঞতা। তাদের শ্রদ্ধাভাজন সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলি নদভী হযরত আলির জীবনী লিখতে গিয়ে কিতাবের নামের মধ্যেই كَـرَّم اَلـلَّـهُ  وَجْهَـهُ  ব্যবহার করেছেন। এছাড়া জামেয়া বিনূরীয়ার ফতোয়ায় ও তারা এটা ব্যবহার করেছে। <a href="https://www.banuri.edu.pk/readquestion/%D9%85%D9%88%D9%84%D8%A7-%D8%B9%D9%84%DB%8C-%DA%A9%DB%81%D9%86%DB%92-%DA%A9%D8%A7-%D8%AD%DA%A9%D9%85-2/10-07-2018" target="_blank"><span style="color: red;"><b>দেখতে এখানে ক্লিক করুন।</b></span></a></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p><br /></p><p><br /></p>

'আলাইহিস সালাম', 'কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু' বলা কি শিয়াদের চিহ্ন?

 আলাইহিস সালাম ব্যবহার করার পক্ষে অনেক দলিলাদি দেখা যায়। নবীজি ﷺ এঁর নামের পর সালাত  সালাম প্রেরণের নির্দেশ আমরা কোরানুল করিম হতে পাই।⁽*⁾ এব...

Read more »

'মাওলা আলি' বলা কি শিয়াদের লক্ষণ?

<p style="text-align: justify;"> হযরত আলি كَـرَّم اَلـلَّـهُ تَبَـارَكْ وَتـَعٰالى وَجْهَـهُ الْكَـرِيْـمُ এর পবিত্র নামের পূর্বে 'মাওলা' ব্যবহার করা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম'আহর একটা অন্যতম নিদর্শন। আহলে বায়তের অন্যতম প্রধান সদস্যকে 'মাওলাইয়ত' প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ ﷻ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং এর সত্যায়ন করেছেন সাহাবীরা ।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEix1xAcQ2mFEDeqUSOe4OB8N7L9k_BCTQjJHYDvWFK3Exe71d3HEvMZsWfdSU4g85bC0-jw3LHNkql4L1GYTwXBZJtVr2j562o7oodFcZIE-BfUw0_1TYJ8f21Xf4d3k0sibU3th7EQwds4-0W3QSvJVwIDWClnktV95oC5usJ7MUKS8bhf8-tYau_DfA/s1350/279332204_386276603363483_7582791033759380381_n.webp.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1350" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEix1xAcQ2mFEDeqUSOe4OB8N7L9k_BCTQjJHYDvWFK3Exe71d3HEvMZsWfdSU4g85bC0-jw3LHNkql4L1GYTwXBZJtVr2j562o7oodFcZIE-BfUw0_1TYJ8f21Xf4d3k0sibU3th7EQwds4-0W3QSvJVwIDWClnktV95oC5usJ7MUKS8bhf8-tYau_DfA/w280-h320-rw/279332204_386276603363483_7582791033759380381_n.webp.jpg" width="280" /></a></div><div style="text-align: center;"><span style="background-color: #eeeeee;">Mazar Of Imam Hussain عليه السلام</span></div><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন, যারা এ উপাধীটি ব্যবহারের বেলায় বিরোধিতা করেন তাদের নামের পূর্বে তারা নিজেই 'মাওলানা' বা 'আমাদের মাওলা' লিখে রেখেছেন। দেওবন্দিদের আলেমরা খুব ঘটা করেই নিজেদের আকাবিরের সাথে 'মাওলানা' লাগান অথচ অনেকে হযরত আলি رضي الله عنه এর বেলায় আপত্তি তোলেন। তখন উনাদের মনে প্রশ্নের অবতারণা হয়না। তখন বলেন এখানে আমরা 'মাওলানা' দিয়ে বন্ধু,নেতা এসব বুঝিয়েছি! শিয়াদের মতো শিরক বুঝাইনি। এখন সেটাই আমাদের জবাব যে হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে আহ্লুস সুন্নাহর অনুসারীরা 'নেতা', 'অভিভাবক' এবং 'সাহায্যকারী' হিসেবেই 'মাওলা' নামে আখ্যায়িত করে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ক্বুরআনুল কারীম স্বয়ং হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে 'সাহায্যকারী' অর্থে মাওলা ঘোষণা করেছে। সুরা তাহরিমের চতুর্থ আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেন,</p><p style="text-align: center;"><span style="font-size: medium;"><b></b></span></p><blockquote><span style="font-size: medium;"><b>فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ <span style="color: red;"><u>مَوْلَاهُ</u></span> وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ ۖ...</b></span></blockquote><p></p><p style="text-align: justify;">অর্থ: অবশ্যই আল্লাহ হলেন তাঁর (ﷺ) সাহায্যকারি/মাওলা , এবং জিবরিল عليه السلام ও নেক ইমানওয়ালারাও তার মাওলা/সাহায্যকারি।<i>[</i></p><p style="text-align: justify;"><i>তরজমা: কানযুল ইমান। আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রিদ্বা আলি খান মুহাদ্দিসে বেরেলভি রহ.]</i></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">বিখ্যাত তাফসিরে জালালাইন গ্রন্থে উল্লেখ আছে,<span style="text-align: center;">{</span></p><p style="text-align: justify;"><b style="text-align: center;">مولاه - </b><b style="text-align: center;">ناصره</b><b style="text-align: center;"> </b></p><p style="text-align: justify;">— মাওলাহু অর্থাৎ তাঁর ﷺ সাহায্যকারী!</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">'শরহুশ শিফা' গ্রন্থে হাফিয মোল্লা আলি ক্বারি লিখেছেন,</p><p style="text-align: right;"></p><blockquote><p style="text-align: right;"><span style="color: red;"><b>{فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ}</b></span></p><p style="text-align: right;"><span style="color: red;"><b> الآية {مَوْلَاهُ} أي <u>وليه يعني ناصره</u> ومتوليه فيما أولاه</b></span></p></blockquote><p style="text-align: right;"></p><p style="text-align: justify;">— [নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মাওলা] আয়াতের (ব্যাখ্যায় কাযি আয়ায বলেন) মাওলা মানে বন্ধু/ওয়ালি । অর্থাৎ (মোল্লা আলি ক্বারি বলেন), মাওলা মানে সাহায্যকারি এবং আল্লাহ উনার ﷺ সাহায্য করবেন যেরূপ আগেও করে এসেছেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ইমাম শিহাবউদ্দিন সাইয়্যেদ মাহমুদ আলুসিও 'তফসিরে রূহুল মাআনি' গ্রন্থে 'মাওলা' এর অর্থ 'নাসির' বা সাহায্যকারি নিয়েছেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সুতরাং বলা চলে আল্লাহ ﷻ খুলাফায়ে রাশেদুনকে 'মাওলা' ঘোষণা করেছেন কেননা,এই আয়াতে 'নেক ইমানদার' বলতে খুলাফায়ে রাশিদুনকে বুঝানো হয়েছে। পাশাপাশি হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর বিশেষ অন্তর্ভুক্তি কয়েকটা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">তাফসিরে ইবনে কাসীরে উল্লেখ আছে,(৮/১৮৭ DK)</p><p style="text-align: right;"></p><blockquote><p style="text-align: right;"><b><br /></b></p><p style="text-align: right;"><b> قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلّم في قوله تعالى: وَصالِحُ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ: «هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ</b></p></blockquote><p style="text-align: right;"></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হাফিয ইবনু হাজার বলেন,</p><p style="text-align: center;"><br /></p><p style="text-align: justify;"><b></b></p><blockquote style="text-align: center;"><b>وَأَخْرَجَهُ الطَّبَرِيُّ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ <u><span style="color: red;">عَنْ مُجَاهِدٍ</span></u> قَالَ هُوَ عَلي <span style="color: red;"><i><u>وَأخرجه بن مَرْدَوَيْهِ بِسَنَدَيْنِ</u></i></span> ضَعِيفَيْنِ مِنْ حَدِيثِ <u><span style="color: red;">أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ مَرْفُوعًا</span></u> قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ صَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ <span style="color: red;"><u>عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ</u></span> وَمَنْ طَرِيقِ أَبِي مَالِكٍ <span style="color: red;"><u>عَن بن عَبَّاسٍ </u></span>مِثْلَهُ مَوْقُوفًا وَفِي سَنَدِهِ رَاوٍ ضَعِيفٌ وَذكره النقاش عَن <u><span style="color: red;">بن عَبَّاسٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْبَاقِرِ وَابْنِهِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الصَّادِقِ</span></u> </b></blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এই আয়াতে 'নেক ইমানদার' দ্বারা উদ্দেশ্য হযরত আলি রা. এরকম হাদিস বর্ণণা করেছেন</p><p style="text-align: justify;">১. ইবনু আবি হাতিম, দূর্বল সনদে হযরত আলি রা. হতে</p><p style="text-align: justify;">২.ইমাম তাবারি, দূর্বল সনদে মুজাহিদ হতে</p><p style="text-align: justify;">৩.ইমাম ইবনু মারদাওয়াইয়াহ দুইটি দুর্বল সূত্রে হযরত আসমা বিনতে উমাইস হতে</p><p style="text-align: justify;">৪.আবু মালিকের সূত্রে হযরত ইবনু আব্বাস রা. হতে</p><p style="text-align: justify;">৫. নাক্কাশ বর্ণনা করেছেন স্বীয় সনদে ইবনু আব্বাস রা. হতে</p><p style="text-align: justify;">৬. এবং নাক্কাশ হযরত ইমাম বাকির রা. ও ইমাম জা'ফর সাদিক্ব রা. হতে বর্ণনা করেছেন।</p><p style="text-align: justify;">(ফতহুল বারী, ১০/৪২২ দারুল মা'আরিফাহ)</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হাফেয ইবনু কাসির '১' নং বর্ণনাটি উল্লেখ করে অত্যন্ত দ্বইফ এবং মুনকার ঘোষণা করেছেন বটে কিন্তু উনার বক্তব্য বাকি সাত-সাতটি সনদ দ্বারা নাকচ হয়। হাফিয ইবনু হাজারও এর বিরোধিতা করেন নি।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এই গেলো ক্বুরআন হতে সত্যায়ন। এরপর নবিজি ﷺ গাদীরে খুমে হযরত আলি রা. এর মুবারক হাত উঁচু করে তুলে ঘোষণা করেছেন। মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদিসে এসেছে নবি ﷺ বলেছেন ❝আমি যার মাওলা,আলি তার মাওলা।❞</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এর যেসব অর্থ আহলুস সুন্নাহ গ্রহণ করে তা হলো</p><p style="text-align: justify;">১।❝আমি যার বন্ধু,আলি তার বন্ধু।❞</p><p style="text-align: justify;">২।❝আমি যার অভিভাবক,আলি তার অভিভাবক।❞</p><p style="text-align: justify;">৩।❝আমি যার নেতা,আলি তার নেতা।❞</p><p style="text-align: justify;">৪।❝আমি যার সাহায্যকারি,আলি তার সাহায্যকারি।❞</p><p style="text-align: justify;">৫।❝আমি যার অতিনিকটভাজন,আলি তার অতিনিকটভাজন।❞</p><p style="text-align: justify;">এর মধ্যে ৪ নম্বর টা নিয়ে অনেক দেওবন্দি বা বাতিলের সমস্যা থাকতে পারে। এসব ব্যাপারে বহু আগে আলোচনা করা হয়েছে। টীকা ১ দেখে নেওয়া যেতে পারে।</p><p style="text-align: justify;">টীকা ১।<a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/03/blog-post_36.html?m=1"><span style="color: red;"><b>সাহায্য প্রার্থনার বিধান</b></span></a></p><p style="text-align: justify;">হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে:—</p><p style="text-align: justify;">১। হযরত ইবনে আব্বাস হতে, ইমাম হাকিম নিশাপুরীর 'মুস্তাদরাক' গ্রন্থে, ৩/১৩৪, ৪৬৫২নং হা.</p><p style="text-align: justify;">২। হযরত জাবির হতে, ইমাম ইবনে আবি শায়বাহর 'আল-মুসান্নাফ' গ্রন্থে, ১২/৫৯</p><p style="text-align: justify;">৩। হযরত আবু আইয়ুব আনসারি হতে, ইমাম তাবারানির 'মুজামুল কাবির' এর ৪/১৭৩ পৃ.</p><p style="text-align: center;"><b><br /></b></p><p style="text-align: center;"><b>حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ غَنَّامٍ، ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ التُّسْتَرِيُّ، ثنا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ حَنَشِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: بَيْنَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَالِسٌ فِي الرَّحَبَةِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ وَعَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَايَ، فَقِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ، فَقَالَ: أَبُو أَيُّوبَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «<span style="background-color: red;">مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ</span></b></p><p style="text-align: justify;">৪। হযরত বোরাইদাহ হতে, ইমাম আব্দির রাযযাক সান'আনি, ১১/২২৫ পৃ.</p><p style="text-align: justify;">৫। হযরত হুবসা বিন জুনাদাহ, ইমাম ইবনু আসেম 'আস-সুন্নাহ' ৬০২পৃ.</p><p style="text-align: justify;">৬। হযরত সা'দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস হতে, তারিখে দামেষ্ক গ্রন্থে, ২০/১১৪ পৃ.</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৭। বারা ইবনু আযিব রা. হতে ইমাম আহমদ সংকলন করেছেন, 'ফাযাইলুস সাহাবা' ১০১৬ নং হাদিস</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، نا عَفَّانُ قال: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: أنا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَنَزَلْنَا بِغَدِيرِ خُمٍّ، فَنُودِيَ فِينَا: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ، وَكُسِحَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ شَجَرَتَيْنِ، فَصَلَّى الظُّهْرَ وَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: فَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالِاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ»، قَالَ: فَلَقِيَهُ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ: هَنِيئًا لَكَ يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ وَأَمْسَيْتَ مَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ ''.(رقم الحديث: ١٠١٦، فضائل علي رضي الله عنه ، ٢/ ٥٩٦،ط: مؤسسة الرسالة بيروت</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৯। মাওলা উসামা ইবনু যায়দ হতে বর্ণিত,</p><p style="text-align: justify;">شرح أصول اعتقاد أهل السنة و الجماعة"میں ہے:</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">'' أنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أنا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: نا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ، قَالَ: نا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: نا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: نا هِلَالُ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّمْلِيُّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي بِسْطَامٍ مَوْلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ: أَرَأَيْتَ قَوْلَ النَّاسِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَقَعَ بَيْنَ أُسَامَةَ وَبَيْنَ عَلِيٍّ تَنَازُعٌ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «يَا عَلِيُّ، يَقُولُ هَذَا لِأُسَامَةَ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّهُ» . وَقَالَ لِأُسَامَةَ: «يَا أُسَامَةُ، يَقُولُ هَذَا لِعَلِيٍّ، فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ»''. (رقم الحديث: ٢٦٤٠، ٨/ ١٤٥٩، ط: دار طيبة)</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সহ আরো অগণিত গ্রন্থের মধ্যে আলাদা আলাদা সনদে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হযরত আলি كَـرَّم اَلـلَّـهُ تَبَـارَكْ وَتـَعٰالى وَجْهَـهُ الْكَـرِيْـمُ এর 'মাওলাইয়ত' প্রাপ্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাইয়্যিদুনা আমিরুল মু'মিনিন উমর ফারুক্ব عليه السلام. হাদিসে এসেছে, উনি বলেন</p><p style="text-align: justify;">أصبحت مولاي ومولى كل مؤمن ومؤمنة</p><p style="text-align: justify;">—❝আজ থেকে আপনি আমারও মাওলা হয়ে গেলেন। আপনি প্রত্যেক মু'মিন নর-নারীর মাওলা!❞</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এটি বর্ণিত হয়েছে</p><p style="text-align: justify;">১।হযরত আবু হুরাইরা হতে খতিবে বাগদাদি 'তারিখে বাগদাদ', ৮/২৯০পৃষ্ঠায় এনেছেন</p><p style="text-align: justify;">২।হযরত আবু হুরাইরা হতে হাফিয ইবনু আসাকির 'তারিখে দামেষ্ক' গ্রন্থে ৪৫/১৭৬ পৃ.</p><p style="text-align: justify;">৩।হযরত আবু হুরাইরা হতে হাফিয ইবনু কাসির 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া' ৫/৪৬৪</p><p style="text-align: justify;">৪।হযরত আবু সাইদ খুদরি হতে ইমাম তাবারানি 'মুজামুল আওসাত' এর ৩/২২৪পৃ. উল্লেখ করেছেন</p><p style="text-align: justify;">৫। এভাবে বারা' ইবনু আযিব, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং ইমাম যাইনুল আবিদিন হতেও অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে</p><p style="text-align: justify;">৬। জুরজানি (৪৯৯হি.), কিতাবুল আমালি, ১২১২ নং হাদিস</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সুতরাং বুঝা গেলো হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে 'মাওলা' বলে সম্বোধন করাটা রাসুলে পাক ﷺ এঁর সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">দেওবন্দিদের অন্যতম মারকায জামেয়াতুল উলুম ইসলামিয়া বিনূরি পাকিস্তান এর অফিশিয়াল ফতোয়ায়ও যেসব অর্থে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম'আহ হযরত আলিকে 'মাওলা' বলে সেগুলো জায়েয বলে ফতোয়া দিয়েছে।</p><p style="text-align: justify;">যেমন ফতোয়া নং <a href="https://www.banuri.edu.pk/readquestion/%D9%85%D9%88%D9%84%D8%A7-%D8%B9%D9%84%DB%8C-%DA%A9%DB%81%D9%86%DB%92-%DA%A9%D8%A7-%D8%AD%DA%A9%D9%85-2/10-07-2018">143909201315</a> এ উল্লেখ আছে</p><p style="text-align: justify;"><span style="color: red;"><b></b></span></p><blockquote style="text-align: right;"><span style="color: red;"><b>رسولِ اکرم صلی اللہ علیہ وسلم نے حضرت علی کرم اللہ وجہہ کے لیے "مولا" کا لفظ محب، دوست اور محبوب کے معنی میں استعمال فرمایا ہے، اور یہی معنی صحابہ کرام رضوان اللہ علیہم اجمعین نے سمجھا تھا؛ لہذا حضرت علی کرم اللہ وجہہ کے لیے "مولا" کا لفظ اسی معنی میں استعمال </b></span></blockquote><div style="text-align: right;"><span style="color: red;">کرنا چاہیے</span></div><p></p><p style="text-align: justify;">— ❝রাসুল ﷺ হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ব্যাপারে 'মাওলা' শব্দকে 'প্রিয়তম','প্রিয়ভাজন' এবং 'বন্ধু' হিসেবে প্রয়োগ করেছেন। এবং সাহাবায়ে কেরাম রা. গণও এই অর্থ নিয়েছেন। একারণে হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ব্যাপারে 'মাওলা' শব্দের ব্যবহার এসব অর্থে হওয়া চাই।❞</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">مولیٰ کا ایک معنی سردار بھی آتاہے، اس معنی کے اعتبار سے بھی "مولا علی" کہنا جائز ہوگا</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">— 'মাওলা' শব্দের এক অর্থ 'নেতা' ও হয়। এই অর্থে 'মাওলা আলি' বলা জায়েজ! </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সুতরাং বুঝা গেলো 'মাওলা আলী' বলাটা সবক্ষেত্রেই নাজাইয নয়। এটা আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারীদের অন্যতম একটা নিদর্শন বটে!</p>

'মাওলা আলি' বলা কি শিয়াদের লক্ষণ?

 হযরত আলি كَـرَّم اَلـلَّـهُ تَبَـارَكْ وَتـَعٰالى وَجْهَـهُ الْكَـرِيْـمُ এর পবিত্র নামের পূর্বে 'মাওলা' ব্যবহার করা আহলুস সুন্নাহ ...

Read more »

খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ- ২

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkJK5hL2f29rJXHUFnaPD0jZZCciDVGy-OqU32ImLntGPX9HVll89U-Wpp2H5HivmsVrmahoXO8IT9Ih_0oAJBSI_vh12UK0rzozJxJr-PLVKPz6559D-wHlXPt5AhAVD7X_emqtKMNak/s1600/images+-+2022-04-26T235530.785.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="678" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkJK5hL2f29rJXHUFnaPD0jZZCciDVGy-OqU32ImLntGPX9HVll89U-Wpp2H5HivmsVrmahoXO8IT9Ih_0oAJBSI_vh12UK0rzozJxJr-PLVKPz6559D-wHlXPt5AhAVD7X_emqtKMNak/s1600-rw/images+-+2022-04-26T235530.785.jpeg" width="320"></a></div><br></div><div>খুশির দিনে সবাই খুশি উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক। এই দিনেও যদি কেউ কান্না করে, তাহলে ব্যাপারটা অস্বাভাবিকই বটে।</div><div><br></div><div>এমনি এক ঈদ-উল-ফিতরের কথা। মুসলমানদের সবচে খুশির দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিন। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অঢেল খুশি নিয়ে হাজির হয় ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের অন্তরে বইতে থাকে খুশির ফোয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই সবাই সেদিন খুশি উদযাপনে ব্যস্ত যে-যার মতো করে। </div><div><br></div><div>হঠাৎ মাথায় আসলো আমিরুল মু'মিনীন কোথায়? খোঁজতে সাহাবীরা রওনা হলো ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু'র বাড়ির দিকে। দরজায় সামনে যেতেই আবু হুরায়রা রাদ্বিআল্লাহু আনহু শুনলেন– ভেতর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। সবাই মূহুর্তের জন্য স্তব্ধ। সম্ভবত ওমর রাদ্বিআল্লাহু আনহু কাঁদছেন! </div><div><br></div><div>অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর দরজা খোলা হলো। যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই। জিজ্ঞেস করা হলো– এই ঈদের দিনে আপনি কাঁদছেন? ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু'র জওয়াব আসলো– নিঃসন্দেহে ঈদের দিন খুশির দিন, তবে যাদের সিয়ামগুলো আল্লাহর দরবারে মকবুল হয়েছে। আমি আক্বা কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি– 'যে রমাদ্বান পেল, কিন্তু গুণাহের মাগফিরাত করাতে পারল না, সে দূর্ভাগা।'</div><div><br></div><div>আমি তো এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না, আমার রোজা, সাহরী, ইফতারসহ নেক আমলগুলো আদৌ আমার রব কবুল করেছেন কি-না! সেই আমি; কিভাবে আনন্দ উদযাপন করি!</div><div><br></div><div>'খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ- ২'</div><div>__স্বাধীন আহমেদ আত্তারী</div>

খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ- ২

খুশির দিনে সবাই খুশি উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক। এই দিনেও যদি কেউ কান্না করে, তাহলে ব্যাপারটা অস্বাভাবিকই বটে। এমনি এক ঈদ-উল-ফিতরের কথা। মুস...

Read more »

খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ!

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7msRQzf5ap4LrAuTQL7P8h2HrkyVhyphenhyphenZjNXj3GEi4ornN5lXFdiqwJmmGTjpBW41qN7Wr9d2V6Yd-1HfExvvkPK_-76-tLyr5o2g9hb2OSzSC4UR7UsDRdbFGLnZJIKr_UudwsKTQ8CRA/s1600/images+-+2022-04-26T013759.353.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="260" data-original-width="490" height="169" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7msRQzf5ap4LrAuTQL7P8h2HrkyVhyphenhyphenZjNXj3GEi4ornN5lXFdiqwJmmGTjpBW41qN7Wr9d2V6Yd-1HfExvvkPK_-76-tLyr5o2g9hb2OSzSC4UR7UsDRdbFGLnZJIKr_UudwsKTQ8CRA/s1600-rw/images+-+2022-04-26T013759.353.jpeg" width="320"></a></div><br></div><div>কোনো এক ঈদের কথা। ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু'র ঘরে ছোট্ট সন্তান বায়না ধরেছে নতুন পোশাক চাই। স্ত্রী বললেন– আমাদের তো না-হয় চলে গেল। কিন্তু এই ছোট্ট বাচ্চার জন্য তো অন্তত একটা পোশাক থাকা উচিত। </div><div><br></div><div>ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু জবাব দিলেন– পোশাক কেনার মতো যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ তো নেই! খেয়াল করুন, পুনরায় পড়ুন আর ভাবুন। কে বলছে এই কথা? 'আমার কাছে ছেলের পোশাক কেনার মতো সামর্থ্য নেই' এটা বলছেন ইসলামী সালতানাতের ২য় খলিফা সায়্যিদুনা ওমর ফারুক রাদ্বিআল্লাহু আনহু! এখানেই হয়তো আমরা বাকরুদ্ধ। </div><div><br></div><div>যাই হোক, চিঠি লিখলেন ফাইনান্স ডিপার্টমেন্টে। এক মাসের স্যালারিটা যদি অগ্রীম নেওয়া যায়। এই বিভাগের দায়িত্বে তখন আবু উবায়দা রাদ্বিআল্লাহু আনহু। খলিফার চিঠি পেয়ে চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পরছে। কিন্তু আবেগকে উপেক্ষা করলেন। বললেন নিতে হলে আপনাকে দু'টি শর্তের ওপর ফয়সালা দিতে হবে। প্রথমত, আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি আগামী মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন? দ্বিতীয়ত, যদিও বেঁচে থাকেন প্রজারা কি খেলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে? </div><div><br></div><div>নিজের নিয়োগকৃত মন্ত্রী থেকে এমন জবাব পেয়ে– খলিফার অন্তর নাড়া দিয়ে উঠল। অশ্রুতে ভিজতে লাগল দাঁড়ি-গুলো। বলতে লাগলেন– উমর একজন সঠিক ব্যক্তিকে বাছাই করতে পেরেছে এই বিভাগের দায়িত্ব প্রদানের জন্য। দোয়া করলেন– হে রব! আবু উবায়দার ওপর দয়া করো। ছেলেকে বললেন: তোমার বাবা অর্ধ-জাহানের শাসক হলেও, অগ্রীম টাকা নেওয়ার অধিকার সে রাখে না!</div><div><br></div><div><br></div><div>'খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ'</div><div>__স্বাধীন আহমেদ আত্তারী </div>

খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ!

কোনো এক ঈদের কথা। ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু'র ঘরে ছোট্ট সন্তান বায়না ধরেছে নতুন পোশাক চাই। স্ত্রী বললেন– আমাদের তো না-হয় চলে গেল। কি...

Read more »

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

<div>হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قال عبد الله بن دينار أخبرني قال سمعت بن عمر يحدث عن النبي صلى الله عليه و سلم : في ليلة القدر قال من كان متحريها فليتحرها في ليلة سبع وعشرين</div><div>"নবী করীম ﷺ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদর তালাশ বা অন্বেষণ করতে চায় সে যেন ২৭ রমজান তারিখে তালাশ করে।"</div><div>(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং- ৬৪৭৪)।</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,حَدَّثَنا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ: وَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: "مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ"، فَقَالَ أُبَيٌّ: "وَاللهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ، يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي، وَوَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ، هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِيَامِهَا، هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ، وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لَا شُعَاعَ لَهَا</div><div>তিনি বলেন আমি নবী করীম ﷺ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, লায়লাতুল কদর হলো ২৭ রমজানের রাত এবং  এইদিন সূর্য সকাল বেলা পরিষ্কার হয়ে উদিত হবে তবে কোন কিরণ বিচ্ছুরিত হবে না।"</div><div>(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৭৬২। দারু ইবনু জওজী, কায়রো মিশর থেকে প্রকাশিত।)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLDz6g95fyYquo3aT-ZQqRhbX-jEMQA6vaU4frEdfEiDZ7Fl_pqZIZlY16OEJdd7de3ztzGq6NxeZ7yV-YOVR7IBCROul4KXv4L8IH0n9Qw5WMoq3XVuNd5v68ieRqqlMrFiGO1I7PdvDQ/s1600/20220424_155230.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLDz6g95fyYquo3aT-ZQqRhbX-jEMQA6vaU4frEdfEiDZ7Fl_pqZIZlY16OEJdd7de3ztzGq6NxeZ7yV-YOVR7IBCROul4KXv4L8IH0n9Qw5WMoq3XVuNd5v68ieRqqlMrFiGO1I7PdvDQ/s1600-rw/20220424_155230.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>হজরত আবু বকর ওরবাক(র.) বলেন,</div><div>إن الله قسم ليالي هذه الشهور ، شهر رمضان على كلمات هذه السورة فلها بلغ السابعة والعشرين أشار إليها فقال هي وأيضا فإن ليلته ليلة القدر گزر ذكرها ثلاث مرات وهي تسعة أحرف فتحين شبعا وعشرين</div><div>"নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই মাস সমুহের রাতগুলোকে বণ্টন করেছেন। বিশেষ করে রামাযানুল মুবারকের রাতসমূহকে ভাগ করেছেন সূরা কদূরের বাক্যসমূহের ওপরে। আর যখন রামাযান মাসের রোযা ২৭ সংখ্যায় (দিনে) পৌঁছে তখনই ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সংখ্যার তারিখে লায়লাতুল কদর  পাওয়া যাবে। কেননা, সূরা কদরে ‘লায়লাতুল কদর' শব্দটি তিনবার পুনঃউচ্চারিত হয়েছে। আর এতে রয়েছে ৯টি করে বর্ণ। অতএব এর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ টি। কাজেই লায়লাতুল কদূর হবে রামাযান মাসের ২৭ তারিখে।” যথা:</div><div>اِنَّاۤ  اَنۡزَلۡنٰہُ  فِیۡ  لَیۡلَۃِ  الۡقَدۡرِ ۚ﴿ۖ۱﴾ </div><div>وَ مَاۤ  اَدۡرٰىکَ مَا لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ؕ﴿۲﴾ </div><div>لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ  مِّنۡ  اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾</div><div><br></div><div>প্রত্যেক সম্বন্ধপদে ليلة القدر  এ- ل ي ل ت ا ل ق د ر  ৯টি বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই পদটির উল্লেখ এসেছে তিনবার। অতএব, ৩×৯=২৭ গুণ ফল দাঁড়ায়। তাই লায়লাতুল কদূর ২৭ রামাযান তথা ২৬ রমজান দিবাগত রাতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। "</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী: ২০ তম খন্ড, পৃ: ১৩৫-১৩৭)</div><div><br></div><div><div>হযরত ওবাইদ ইব্‌ন ওয়াইর (র.) বলেন,</div><div>كنت ليلة السابع عشر في البحر فأخذت من مائه فوجدته عذبا سلسا</div><div>“আমি ২৭ রামাযানে সমুদ্রে ছিলাম। আমি সমুদ্রের পানি হাতে নিয়েছি পানি পেলাম মিষ্টি-কোমল"।</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী,  ২০ তম খন্ড, ১২৭ পৃ,)</div></div><div><br></div><div>সাহাবীগণের অভিমত:</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:), হজরত মাবিয়া (রা:) এর অভিমত হচ্ছে,  শবে কদর ২৭ রমজান -এ।</div><div>বর্ণিত আছে, একবার হজরত ওমর ফারুক এ আজম (রা:) সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত করেছিলেন লায়লাতুল কদর বিষয়ে ফায়সালার জন্য। প্রত্যেক সাহাবী তাদের স্বতন্ত্র বক্তব্য তুলে ধরলেন। হজরত ওমর(রা:) শেষ পর্যায়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) কে মন্তব্য করতে বললেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন, আল্লাহ তাআলা সাত আসমান,সাত যমীন,সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন, এতে গভীরভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, লায়লাতুল কদর সাতের ঘরেই আছে। কাজেই লায়লাতুল কদর ২৭ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। </div><div><br></div>

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قا...

Read more »

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

<div>হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قال عبد الله بن دينار أخبرني قال سمعت بن عمر يحدث عن النبي صلى الله عليه و سلم : في ليلة القدر قال من كان متحريها فليتحرها في ليلة سبع وعشرين</div><div>"নবী করীম ﷺ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদর তালাশ বা অন্বেষণ করতে চায় সে যেন ২৭ রমজান তারিখে তালাশ করে।"</div><div>(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং- ৬৪৭৪)।</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,حَدَّثَنا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ: وَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: "مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ"، فَقَالَ أُبَيٌّ: "وَاللهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ، يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي، وَوَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ، هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِيَامِهَا، هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ، وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لَا شُعَاعَ لَهَا</div><div>তিনি বলেন আমি নবী করীম ﷺ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, লায়লাতুল কদর হলো ২৭ রমজানের রাত এবং  এইদিন সূর্য সকাল বেলা পরিষ্কার হয়ে উদিত হবে তবে কোন কিরণ বিচ্ছুরিত হবে না।"</div><div>(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৭৬২। দারু ইবনু জওজী, কায়রো মিশর থেকে প্রকাশিত।)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhG8dD0AyYPZJlOZwzQUb-rtKbOPqpRrMRQhobekjiODOkOCJHYLUTYYO6Jyfeilp7ySHLya8qU1_FHJsw5Pp8sOsFgAO8OKuSuwKVvndtEy66uA51_SaBGxRRDRlGkk5xt6W9sZvNO78H/s1600/20220424_155230.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhG8dD0AyYPZJlOZwzQUb-rtKbOPqpRrMRQhobekjiODOkOCJHYLUTYYO6Jyfeilp7ySHLya8qU1_FHJsw5Pp8sOsFgAO8OKuSuwKVvndtEy66uA51_SaBGxRRDRlGkk5xt6W9sZvNO78H/s1600-rw/20220424_155230.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>হজরত আবু বকর ওরবাক(র.) বলেন,</div><div>إن الله قسم ليالي هذه الشهور ، شهر رمضان على كلمات هذه السورة فلها بلغ السابعة والعشرين أشار إليها فقال هي وأيضا فإن ليلته ليلة القدر گزر ذكرها ثلاث مرات وهي تسعة أحرف فتحين شبعا وعشرين</div><div>"নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই মাস সমুহের রাতগুলোকে বণ্টন করেছেন। বিশেষ করে রামাযানুল মুবারকের রাতসমূহকে ভাগ করেছেন সূরা কদূরের বাক্যসমূহের ওপরে। আর যখন রামাযান মাসের রোযা ২৭ সংখ্যায় (দিনে) পৌঁছে তখনই ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সংখ্যার তারিখে লায়লাতুল কদর  পাওয়া যাবে। কেননা, সূরা কদরে ‘লায়লাতুল কদর' শব্দটি তিনবার পুনঃউচ্চারিত হয়েছে। আর এতে রয়েছে ৯টি করে বর্ণ। অতএব এর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ টি। কাজেই লায়লাতুল কদূর হবে রামাযান মাসের ২৭ তারিখে।” যথা:</div><div>اِنَّاۤ  اَنۡزَلۡنٰہُ  فِیۡ  لَیۡلَۃِ  الۡقَدۡرِ ۚ﴿ۖ۱﴾ </div><div>وَ مَاۤ  اَدۡرٰىکَ مَا لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ؕ﴿۲﴾ </div><div>لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ  مِّنۡ  اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾</div><div><br></div><div>প্রত্যেক সম্বন্ধপদে ليلة القدر  এ- ل ي ل ت ا ل ق د ر  ৯টি বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই পদটির উল্লেখ এসেছে তিনবার। অতএব, ৩×৯=২৭ গুণ ফল দাঁড়ায়। তাই লায়লাতুল কদূর ২৭ রামাযান তথা ২৬ রমজান দিবাগত রাতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। "</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী: ২০ তম খন্ড, পৃ: ১৩৫-১৩৭)</div><div><br></div><div><div>হযরত ওবাইদ ইব্‌ন ওয়াইর (র.) বলেন,</div><div>كنت ليلة السابع عشر في البحر فأخذت من مائه فوجدته عذبا سلسا</div><div>“আমি ২৭ রামাযানে সমুদ্রে ছিলাম। আমি সমুদ্রের পানি হাতে নিয়েছি পানি পেলাম মিষ্টি-কোমল"।</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী,  ২০ তম খন্ড, ১২৭ পৃ,)</div></div><div><br></div><div>সাহাবীগণের অভিমত:</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:), হজরত মাবিয়া (রা:) এর অভিমত হচ্ছে,  শবে কদর ২৭ রমজান -এ।</div><div>বর্ণিত আছে, একবার হজরত ওমর ফারুক এ আজম (রা:) সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত করেছিলেন লায়লাতুল কদর বিষয়ে ফায়সালার জন্য। প্রত্যেক সাহাবী তাদের স্বতন্ত্র বক্তব্য তুলে ধরলেন। হজরত ওমর(রা:) শেষ পর্যায়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) কে মন্তব্য করতে বললেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন, আল্লাহ তাআলা সাত আসমান,সাত যমীন,সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন, এতে গভীরভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, লায়লাতুল কদর সাতের ঘরেই আছে। কাজেই লায়লাতুল কদর ২৭ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। </div><div><br></div>

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قا...

Read more »

কার্টুন আসক্তি ও আপনার সন্তান!

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgiz1tbj-HFdsVz81lJO3eHxO71wziyeCejdnzhXdySyo6R7SSwOg4ZS-s6WzjLk0bsu9gPY2HRk9ldyA_8yNT4fY9RExV6pHihyphenhyphenjJNC1xiqqjOp1R5O0lZrq3dfDiYafw43ZBzSItc0KI/s1600/images+-+2022-04-25T012719.127.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="415" data-original-width="739" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgiz1tbj-HFdsVz81lJO3eHxO71wziyeCejdnzhXdySyo6R7SSwOg4ZS-s6WzjLk0bsu9gPY2HRk9ldyA_8yNT4fY9RExV6pHihyphenhyphenjJNC1xiqqjOp1R5O0lZrq3dfDiYafw43ZBzSItc0KI/s1600-rw/images+-+2022-04-25T012719.127.jpeg" width="320"></a></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><div class="separator" style="clear: both;">শিশুকালটাই সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ার সঠিক সময়। এই সময়টাই তার শিক্ষার সময়। যা দেখে, যা শোনে তা-ই সে খুব সহজে রপ্ত করে ফেলে। সুতরাং, এই সময়টাতে সবচে বেশি সতর্ক থাকা উচিত অভিভাবকদের যে– বাচ্চা কি শিখছে? তাকে তার বাচ্চামি'তে ছেড়ে দিয়ে, বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গেলে হয়তো একটা সময় দেখা যাবে, সে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">বর্তমানে বাচ্চাদের পরম-বন্ধু হলো কার্টুনের চরিত্রগুলো। তারা সারাদিন সেই ভার্চুয়াল জগতেই বুদ হয়ে থাকতে ভালোবাসে। যার আসলেই বাস্তবের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। মারামারি, অস্ত্র-শস্ত্রের অবাস্তব ব্যবহারে ভরপুর কার্টুনগুলো বাচ্চাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তারাও যেন কার্টুনের মতোই আচরণ শুরু করে। বাচ্চারা ভার্চুয়াল জগতটাকেই আসল বলে ধারণা করতে শুরু করে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">সুতরাং খোঁজতে হবে এখন বিকল্প পদ্ধতি। দাওয়াতে ইসলামী 'কিডস মাদানী চ্যানেল' নামে ইউটিউব চ্যানেল উপহার দিয়েছে। যেখানে কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে প্রিয় নবীর সুন্নাত শিখানো হয়, পড়াশুনার প্রতি উৎসাহিত করা হয়, বাবা-মা'র আনুগত্যের শিক্ষা দেয়া হয়। যা বাচ্চারা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে, যা স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার। কার্টুনগুলো বাংলা, ইংরেজী এবং উর্দুসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মজুদ আছে। খুব শীঘ্রই 'কিডস মাদানী চ্যানেল' নামে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল শুরু করারও পরিকল্পনা প্রস্তাবিত আছে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">যেহেতু বাচ্চারা কার্টুনের চরিত্রগুলো বাচ্চারা সহজেই গ্রহণ করে, সেহেতু সুযোগটাকে কাজে লাগানো যেতে পারে সুন্দরভাবে। 'কিডস মাদানী চ্যানেল' এর জনপ্রিয় চরিত্র– গোলাম রাসূল আর কানিয ফাতিমা নামের চরিত্র দু'টি দর্শক শিশুগুলোর কোমল হৃদয়ে সহজেই দাগ কেটে নিয়েছে। ফলে এর মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলতে পারেন ইসলামি তালিমাত মোতাবেক। সে যদি গোলাম রাসূল আর কানিয ফাতিমা'র চরিত্রগুলো নিজের মধ্যে গ্রহণ করে নেয়, নিঃসন্দেহে আপনার সন্তান বড় হবে ইসলামী পরিবেশ এর মধ্যে। সু-শিক্ষা নিয়ে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">– স্বাধীন আহমেদ আত্তারী</div></div>

কার্টুন আসক্তি ও আপনার সন্তান!

শিশুকালটাই সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ার সঠিক সময়। এই সময়টাই তার শিক্ষার সময়। যা দেখে, যা শোনে তা-ই সে খুব সহজে রপ্ত করে ফেলে। সুতরাং, এই সময়টাতে ...

Read more »

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

<div>হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قال عبد الله بن دينار أخبرني قال سمعت بن عمر يحدث عن النبي صلى الله عليه و سلم : في ليلة القدر قال من كان متحريها فليتحرها في ليلة سبع وعشرين</div><div>"নবী করীম ﷺ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদর তালাশ বা অন্বেষণ করতে চায় সে যেন ২৭ রমজান তারিখে তালাশ করে।"</div><div>(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং- ৬৪৭৪)।</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,حَدَّثَنا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ: وَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: "مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ"، فَقَالَ أُبَيٌّ: "وَاللهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ، يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي، وَوَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ، هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِيَامِهَا، هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ، وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لَا شُعَاعَ لَهَا</div><div>তিনি বলেন আমি নবী করীম ﷺ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, লায়লাতুল কদর হলো ২৭ রমজানের রাত এবং  এইদিন সূর্য সকাল বেলা পরিষ্কার হয়ে উদিত হবে তবে কোন কিরণ বিচ্ছুরিত হবে না।"</div><div>(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৭৬২। দারু ইবনু জওজী, কায়রো মিশর থেকে প্রকাশিত।)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLDz6g95fyYquo3aT-ZQqRhbX-jEMQA6vaU4frEdfEiDZ7Fl_pqZIZlY16OEJdd7de3ztzGq6NxeZ7yV-YOVR7IBCROul4KXv4L8IH0n9Qw5WMoq3XVuNd5v68ieRqqlMrFiGO1I7PdvDQ/s1600/20220424_155230.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLDz6g95fyYquo3aT-ZQqRhbX-jEMQA6vaU4frEdfEiDZ7Fl_pqZIZlY16OEJdd7de3ztzGq6NxeZ7yV-YOVR7IBCROul4KXv4L8IH0n9Qw5WMoq3XVuNd5v68ieRqqlMrFiGO1I7PdvDQ/s1600-rw/20220424_155230.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>হজরত আবু বকর ওরবাক(র.) বলেন,</div><div>إن الله قسم ليالي هذه الشهور ، شهر رمضان على كلمات هذه السورة فلها بلغ السابعة والعشرين أشار إليها فقال هي وأيضا فإن ليلته ليلة القدر گزر ذكرها ثلاث مرات وهي تسعة أحرف فتحين شبعا وعشرين</div><div>"নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই মাস সমুহের রাতগুলোকে বণ্টন করেছেন। বিশেষ করে রামাযানুল মুবারকের রাতসমূহকে ভাগ করেছেন সূরা কদূরের বাক্যসমূহের ওপরে। আর যখন রামাযান মাসের রোযা ২৭ সংখ্যায় (দিনে) পৌঁছে তখনই ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সংখ্যার তারিখে লায়লাতুল কদর  পাওয়া যাবে। কেননা, সূরা কদরে ‘লায়লাতুল কদর' শব্দটি তিনবার পুনঃউচ্চারিত হয়েছে। আর এতে রয়েছে ৯টি করে বর্ণ। অতএব এর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ টি। কাজেই লায়লাতুল কদূর হবে রামাযান মাসের ২৭ তারিখে।” যথা:</div><div>اِنَّاۤ  اَنۡزَلۡنٰہُ  فِیۡ  لَیۡلَۃِ  الۡقَدۡرِ ۚ﴿ۖ۱﴾ </div><div>وَ مَاۤ  اَدۡرٰىکَ مَا لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ؕ﴿۲﴾ </div><div>لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ  مِّنۡ  اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾</div><div><br></div><div>প্রত্যেক সম্বন্ধপদে ليلة القدر  এ- ل ي ل ت ا ل ق د ر  ৯টি বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই পদটির উল্লেখ এসেছে তিনবার। অতএব, ৩×৯=২৭ গুণ ফল দাঁড়ায়। তাই লায়লাতুল কদূর ২৭ রামাযান তথা ২৬ রমজান দিবাগত রাতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। "</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী: ২০ তম খন্ড, পৃ: ১৩৫-১৩৭)</div><div><br></div><div>সাহাবীগণের অভিমত:</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:), হজরত মাবিয়া (রা:) এর অভিমত হচ্ছে,  শবে কদর ২৭ রমজান -এ।</div><div>বর্ণিত আছে, একবার হজরত ওমর ফারুক এ আজম (রা:) সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত করেছিলেন লায়লাতুল কদর বিষয়ে ফায়সালার জন্য। প্রত্যেক সাহাবী তাদের স্বতন্ত্র বক্তব্য তুলে ধরলেন। হজরত ওমর(রা:) শেষ পর্যায়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) কে মন্তব্য করতে বললেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন, আল্লাহ তাআলা সাত আসমান,সাত যমীন,সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন, এতে গভীরভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, লায়লাতুল কদর সাতের ঘরেই আছে। কাজেই লায়লাতুল কদর ২৭ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। </div><div><br></div>

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قا...

Read more »

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

<div>হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قال عبد الله بن دينار أخبرني قال سمعت بن عمر يحدث عن النبي صلى الله عليه و سلم : في ليلة القدر قال من كان متحريها فليتحرها في ليلة سبع وعشرين</div><div>"নবী করীম ﷺ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদর তালাশ বা অন্বেষণ করতে চায় সে যেন ২৭ রমজান তারিখে তালাশ করে।"</div><div>(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং- ৬৪৭৪)।</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,حَدَّثَنا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ: سَمِعْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ: وَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: "مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ"، فَقَالَ أُبَيٌّ: "وَاللهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ، يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي، وَوَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ، هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِيَامِهَا، هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ، وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لَا شُعَاعَ لَهَا</div><div>তিনি বলেন আমি নবী করীম ﷺ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, লায়লাতুল কদর হলো ২৭ রমজানের রাত এবং  এইদিন সূর্য সকাল বেলা পরিষ্কার হয়ে উদিত হবে তবে কোন কিরণ বিচ্ছুরিত হবে না।"</div><div>(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৭৬২। দারু ইবনু জওজী, কায়রো মিশর থেকে প্রকাশিত।)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhG8dD0AyYPZJlOZwzQUb-rtKbOPqpRrMRQhobekjiODOkOCJHYLUTYYO6Jyfeilp7ySHLya8qU1_FHJsw5Pp8sOsFgAO8OKuSuwKVvndtEy66uA51_SaBGxRRDRlGkk5xt6W9sZvNO78H/s1600/20220424_155230.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhG8dD0AyYPZJlOZwzQUb-rtKbOPqpRrMRQhobekjiODOkOCJHYLUTYYO6Jyfeilp7ySHLya8qU1_FHJsw5Pp8sOsFgAO8OKuSuwKVvndtEy66uA51_SaBGxRRDRlGkk5xt6W9sZvNO78H/s1600-rw/20220424_155230.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>হজরত আবু বকর ওরবাক(র.) বলেন,</div><div>إن الله قسم ليالي هذه الشهور ، شهر رمضان على كلمات هذه السورة فلها بلغ السابعة والعشرين أشار إليها فقال هي وأيضا فإن ليلته ليلة القدر گزر ذكرها ثلاث مرات وهي تسعة أحرف فتحين شبعا وعشرين</div><div>"নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই মাস সমুহের রাতগুলোকে বণ্টন করেছেন। বিশেষ করে রামাযানুল মুবারকের রাতসমূহকে ভাগ করেছেন সূরা কদূরের বাক্যসমূহের ওপরে। আর যখন রামাযান মাসের রোযা ২৭ সংখ্যায় (দিনে) পৌঁছে তখনই ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সংখ্যার তারিখে লায়লাতুল কদর  পাওয়া যাবে। কেননা, সূরা কদরে ‘লায়লাতুল কদর' শব্দটি তিনবার পুনঃউচ্চারিত হয়েছে। আর এতে রয়েছে ৯টি করে বর্ণ। অতএব এর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ টি। কাজেই লায়লাতুল কদূর হবে রামাযান মাসের ২৭ তারিখে।” যথা:</div><div>اِنَّاۤ  اَنۡزَلۡنٰہُ  فِیۡ  لَیۡلَۃِ  الۡقَدۡرِ ۚ﴿ۖ۱﴾ </div><div>وَ مَاۤ  اَدۡرٰىکَ مَا لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ؕ﴿۲﴾ </div><div>لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ  مِّنۡ  اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾</div><div><br></div><div>প্রত্যেক সম্বন্ধপদে ليلة القدر  এ- ل ي ل ت ا ل ق د ر  ৯টি বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই পদটির উল্লেখ এসেছে তিনবার। অতএব, ৩×৯=২৭ গুণ ফল দাঁড়ায়। তাই লায়লাতুল কদূর ২৭ রামাযান তথা ২৬ রমজান দিবাগত রাতে হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। "</div><div>(তাফসীরে কুরতুবী: ২০ তম খন্ড, পৃ: ১৩৫-১৩৭)</div><div><br></div><div>সাহাবীগণের অভিমত:</div><div>হজরত উবাই ইবনে কা'ব (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:), হজরত মাবিয়া (রা:) এর অভিমত হচ্ছে,  শবে কদর ২৭ রমজান -এ।</div><div>বর্ণিত আছে, একবার হজরত ওমর ফারুক এ আজম (রা:) সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত করেছিলেন লায়লাতুল কদর বিষয়ে ফায়সালার জন্য। প্রত্যেক সাহাবী তাদের স্বতন্ত্র বক্তব্য তুলে ধরলেন। হজরত ওমর(রা:) শেষ পর্যায়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) কে মন্তব্য করতে বললেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন, আল্লাহ তাআলা সাত আসমান,সাত যমীন,সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন, এতে গভীরভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, লায়লাতুল কদর সাতের ঘরেই আছে। কাজেই লায়লাতুল কদর ২৭ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। </div><div><br></div>

২৭ রমজান শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, حدثنا عبد الله قال قرأت على أبي هذا الحديث وسمعته سماعا قال ثنا الأسود بن عامر ثنا شعبة قا...

Read more »

কুরআনে বর্ণিত নেককার নারীর ৭ টি গুণ

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-88ba1371-7fff-3bef-50e1-062d2a901d96"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 255, 0); background-color: rgb(0, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুরআনে বর্ণিত নেককার নারীর ৭ টি গুণ</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বীনদারী ও সতী-সাধ্বী</span><span style="font-size: 12pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নেককার নারীর প্রথম গুণ হলো- দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী হওয়া। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা صَّالِحَاتُ তথা দ্বীনদার সতী-সাধ্বী গুণের অধিকারী হিসেবে নারীকে উল্লেখ করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আয়াতে এ শব্দের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে জারীর তবারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘দ্বীনের সঠিক অনুসারণকারীণী ও সৎকর্মশীল নারীগণ।’ নেককার নারীদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত সাওবান (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, ‘সোনা-রূপা সম্পর্কিত আয়াত নাজিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কোন ধরনের মাল সঞ্চয় করব? তিনি বললেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন সঞ্চয় করে- কৃতজ্ঞ অন্তর, জিকিরকারী মুখ এবং পরকালীন কর্মকাণ্ডে সহায়তাকারিনী মুমিনা নারী।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘দুনিয়া হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্ত্ত। আর দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হল সতী নারী।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবু উমামা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহর ভয় অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই। কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়। তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা (শপথকৃত কর্ম) পূরণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে (অন্যায়-অপকর্ম থেকে) এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(153, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইবনে মাজাহ)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশ্বস্ত ও অনুগত হওয়া</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নারীর দ্বিতীয় গুণ হলো- স্বামীর অনুগত ও বিশ্বস্ত হওয়া। কুরআনুল কারিমে কানিতাত শব্দ দিয়ে তা বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ও স্বামীর অনুগত নারীদের কানিতাত বলা হয়। হাদিসে এসেছে-</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজান মাসের রোজা রাখবে, নিজ লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে তখন তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ কর।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(204, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসনাদে আহমাদ)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হল, নারীদের মধ্যে কোন নারী উত্তম। তিনি বললেন, স্বামী যাকে দেখলে আনন্দবোধ করে, যাকে আদেশ করলে আনুগত্য করে, স্ত্রীর বিষয়ে এবং সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকে।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(204, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সতীত্ব ও সম্পদের হেফাজত কারিনী </span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তৃতীয় গুণ হলো- সতীত্ব ও সম্পদের হেফাজত করা। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা যেভাবে বলেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(53, 28, 117); font-style: italic; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(53, 28, 117); font-style: italic; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথা নিজের সতীত্বের হেফাজত করা এবং স্বামীর (অনুপস্থিতিতে তার) ধন-সম্পদ হেফাজত করা। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সুরা নিসা : আয়াত ৩৪)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(91, 15, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আয়াতের এই বাক্যের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে জারীর তবারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘নারীগণ তাদের স্বামীর অবর্তমানে নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করবে এবং এক্ষেত্রে কোনো ধরনের খেয়ানত করবে না। আর স্বামীর ধন-সম্পদ সংরক্ষণ করবে। তাদের উপর এ দায়িত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকেই আরোপিত।’ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসের এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তোমাকে আনন্দিত করে, আদেশ করলে আনুগত্য করে, তুমি দূরে থাকলে তার নিজের ব্যাপারে এবং তোমার সম্পদের ব্যাপারে তোমার অধিকার রক্ষা করে। তারপর তিনি কুরআনের উক্ত আয়াত (পুরুষ নারীদের অভিভাবক) তেলাওয়াত করেন।’ </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(133, 32, 12); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তাফরিরে তবারি)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পবিত্র ও চরিত্রবান হওয়া</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নারীর চতুর্থ গুণ হলো- নিজে পবিত্র থাকা এবং সৎচরিত্রবান হওয়া। কুরআনুল কারিমের অন্য এক আয়াতে </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তাআলা বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথা পবিত্র নারীরা পবিত্র পুরুষদের উপযুক্ত আর পবিত্র পুরুষরা পবিত্র নারীদের উপযুক্ত। (সুরা নুর : আয়াত ২৬ )</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(39, 78, 19); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসে এসেছে-হজরত আবু সাঈদ খুদরি (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিন গুণের যে কোনো একটি গুণের কারণে নারীকে বিয়ে করা যায়- ধন-সম্পদের কারণে, রূপ-সৌন্দর্যের কারণে ও দ্বীনদারির কারণে। তুমি দ্বীনদার ও চরিত্রবানকেই গ্রহণ কর।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(133, 32, 12); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইবনে আবি শায়বা, মুসনাদে আহমাদ)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিষ্কুলুষ চরিত্রের অধিকারী হওয়া</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(39, 78, 19); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- ‘তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চারিত্রিক পবিত্রতাসম্পন্ন হবে, ব্যভিচারিনী হবে না এবং গোপনে কোনো অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারিনী হবে না।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(152, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সুরা নিসা : আয়াত ২৫ )</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(39, 78, 19); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, চারিত্রিক নিষ্কলুষতার অধিকারিনী নারীগণ, যারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ব্যভিচারিনী হবে না এবং সঙ্গোপনে অবৈধ বন্ধু গ্রহণকারিনী হবে না। তিনি বলেন, জাহেলি যুগের লোকেরা প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হারাম মনে করত, কিন্তু গোপনে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হালাল মনে করত। এই প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাজিল করলেন- তোমরা প্রকাশ্যে হোক, অপ্রকাশ্যে হোক কোনো রকম অশ্লীল কাজের কাছেও যেও না </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(152, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সুরা আনআম : আয়াত ১৫১)।’ (তাফসিরে তবারি)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 14pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সরলমনা হওয়া</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নারীর ষষ্ঠ গুণ হলো- দ্বীনদার ও চরিত্রবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরল মনের অধিকারিণী হওয়া। </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(12, 52, 61); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘চরিত্রবান, সরলমতী ঈমানদার নারীরা।’ </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(153, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সুরা নুর : আয়াত ২৩)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় আল্লামা আলুসি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, পবিত্রতার সার্বিক উপাদান নিয়ে বেড়ে উঠা এবং উত্তম চরিত্রের উপর লালিত-পালিত হওয়ার কারণে অন্য কোনো চিন্তা ও মানসিকতা যাদের কল্পনায়ও আসে না। এই গুণ পূর্ণ নিষ্কলুষতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার প্রমাণ বহন করে, যা শুধু মুহাসানাত (সতী নারী) শব্দের মধ্যে পাওয়া যায়।’</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(133, 32, 12); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (রূহুল মা'আনি)</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 14pt; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঘরে অবস্থানকারী ও নিজেদের সৌন্দর্য গোপনকারী</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নারীর সপ্তম গুণ হলো- ঘরে অবস্থান করা। বিনা প্রয়োজনে ও বেপর্দা বাইরে চলাফেরা না করা। যেমনটি ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ-</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(39, 78, 19); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান কর। (পর পুরুষকে) সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়িও না যেমন প্রাচীন জাহেলি যুগে প্রদর্শন করা হত।’ </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(152, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সুরা আহযাব : আয়াত ৩৩)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(39, 78, 19); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নারীরা রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! পুরুষরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও অন্যান্য মর্যাদায় অগ্রগামী হয়েছেন। আমাদের জন্য কি এমন কোনো আমল রয়েছে যার মাধ্যমে মুজাহিদীনের সমপর্যায়ের মর্যাদা ও সওয়াবের অধিকারী হতে পারব? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের থেকে যারা নিজ ঘরে অবস্থান করবে সেটাই তাদেরকে মুজাহিদদের ফজিলত ও সাওয়াবে উপনীত করবে।’ </span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(152, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসনাদে বাযযার, তাফসিরে ইবনে কাসির)</span></p>

কুরআনে বর্ণিত নেককার নারীর ৭ টি গুণ

কুরআনে বর্ণিত নেককার নারীর ৭ টি গুণ দ্বীনদারী ও সতী-সাধ্বী   নেককার নারীর প্রথম গুণ হলো- দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী হওয়া। কুরআনুল কারিমে মহান আল্...

Read more »

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া

<div>হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া:</div><div>হজরত মা আয়েশা (রা:) নবী করীম ﷺ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন,</div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ وَافَقْتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ مَا أَدْعُو قَالَ ‏ "‏ تَقُولِينَ اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeMmmsveZF4eymvzJTgdHrZpJel1FrRvTJ0Jd8CQyoeMYHTdVi-XFK2pfxiqm0n0K495RHjMqfU0x4Gz16sfoZcRKcLy_h915-4OENzVn_wT_Ya88zK5SscQqSDH-9pmvfK_0n8UbQUqM5/s1600/20220423_122221.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeMmmsveZF4eymvzJTgdHrZpJel1FrRvTJ0Jd8CQyoeMYHTdVi-XFK2pfxiqm0n0K495RHjMqfU0x4Gz16sfoZcRKcLy_h915-4OENzVn_wT_Ya88zK5SscQqSDH-9pmvfK_0n8UbQUqM5/s1600-rw/20220423_122221.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>" হে আল্লাহর রাসুল ﷺ যদি আমি ভাগ্যক্রমে লায়লাতুল কদর পেয়ে যাই আমি কি দোয়া করব? তখন নবী করীম ﷺ বললেন, তুমি এই দোয়া পড়,اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي  "হে আল্লাহ!  তুমি মহাক্ষমাধর, তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ করো,অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"</div><div>√ সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৮৫০</div><div>√ তিরমিজি শরীফ: ৩৫১৩</div><div><br></div>

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া: হজরত মা আয়েশা (রা:) নবী করীম ﷺ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَن...

Read more »

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া

<div>হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া:</div><div>হজরত মা আয়েশা (রা:) নবী করীম ﷺ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন,</div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ وَافَقْتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ مَا أَدْعُو قَالَ ‏ "‏ تَقُولِينَ اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEju7Djo-yapjxgOi4TmWQxACNkGfaLM7caiRXz9ahjh4RUCBJ6yyJqrm7aiqTcp_wZN8311pHst3_k6H40D1nz-6NHbT_jcllq2PiteNZgAPyw35DbsmsMz8fBZB4oo_aMbU1KThsSISd5e/s1600/20220423_122221.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEju7Djo-yapjxgOi4TmWQxACNkGfaLM7caiRXz9ahjh4RUCBJ6yyJqrm7aiqTcp_wZN8311pHst3_k6H40D1nz-6NHbT_jcllq2PiteNZgAPyw35DbsmsMz8fBZB4oo_aMbU1KThsSISd5e/s1600-rw/20220423_122221.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>" হে আল্লাহর রাসুল ﷺ যদি আমি ভাগ্যক্রমে লায়লাতুল কদর পেয়ে যাই আমি কি দোয়া করব? তখন নবী করীম ﷺ বললেন, তুমি এই দোয়া পড়,اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي  "হে আল্লাহ!  তুমি মহাক্ষমাধর, তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ করো,অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"</div><div>√ সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৮৫০</div><div>√ তিরমিজি শরীফ: ৩৫১৩</div><div><br></div>

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া

হাদিসের আলোকে শবে কদরের দোয়া: হজরত মা আয়েশা (রা:) নবী করীম ﷺ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَن...

Read more »

তাদের মতো হয়ো না!

<div>দিন-দিন গুণাহের অতল গহ্বরে যেন হারিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর সাথে দূরত্বটা যেন দিন-দিন বেড়েই যাচ্ছে। অন্তর কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। </div><div><br></div><div>রবের ভয়ে চোখ আর অশ্রুসিক্ত হয় না! দ্বীনের সুবাসিত শীতল হাওয়া হৃদয়ে আর প্রভাব ফেলে না! কোরআনুল কারীম এর মিষ্টিমধুর তিলাওয়াত অন্তরকে আর বিগলিত করে না! মদীনার স্মরণ যেন আর হৃদয়কে ব্যাকুল করে তোলে না! আপনি ভেবে যাচ্ছেন, গুণাহ করছি অনায়াসে। কই আযাব তো আসে না? উপভোগ তো করার সময় এখনই। ভাই আমার, এর চেয়েও বড় আযাব কি? আল্লাহর সাথে আপনার দূরত্ব তৈরী হয়ে গেছে। নেক আমলের তৌফিক ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। নেক আমলে আর তৃপ্তি আপনি পান না। কোথায় আপনার ঈমানের নিরাপত্তা? কোথায় আপনার সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা?</div><div><br></div><div>লোক সম্মুখে গুণাহ করতে লজ্জা হয়। রাতের আধার ঘনিয়ে আসলে, দরজা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিয়ে, হারিয়ে যেতে লাগলেন গুণাহের অন্ধকারাচ্ছন্ন দুনিয়ায়। ধারণা কেউ তো আমায় দেখছে না...! ঠিক এই সময় হয়তো আপনার রব বলছেন– </div><div><br></div><div>'মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা'য়ালাকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা'আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন।' -সূরা হাশর, আয়াত: ১৮</div><div><br></div><div>হায়! কেমন দূর্ভাগা আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাদের সামনে গুণাহ ছাড়তে পারি, আর ভুলে যাই আমার সৃষ্টিকর্তা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আবারও জানাচ্ছেন, মনে করিয়ে দিচ্ছেন–</div><div><br></div><div>'তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা আল্লাহ তা'আলাকে ভুলে গেছে। ফলে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে আত্ন বিস্মৃত করে দিয়েছেন। তারাই অবাধ্য।' -সূরা হাশর, আয়াত: ১৯</div><div><br></div><div>~ স্বাধীন আহমেদ আত্তারী </div>

তাদের মতো হয়ো না!

দিন-দিন গুণাহের অতল গহ্বরে যেন হারিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর সাথে দূরত্বটা যেন দিন-দিন বেড়েই যাচ্ছে। অন্তর কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। রবের ভয়ে চে...

Read more »

বিনা ওযরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়লে কি গুণাহ হবে?

<div>বিনা ওযরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়লে কি গুণাহ হবে? যেমন- তারাবীহ।</div><div>--------স্বাধীন </div><div>(হানাফী ফিক্বহ অনুসারে)</div><div>গ্রহণযোগ্য মতে, গুণাহ হবে। </div><div>যেমন-</div><div>* ইমাম ইবন নুজাইম মিশরী র. বলেন,</div><div>" الظاهر من كلام أهل المذهب أن الإثم منوط بترك الواجب والسنة المؤكدة على الصحيح لتصريحهم بأن من ترك سنن الصلوات الخمس قيل لا يأثم والصحيح أنه يأثم ذكره في فتح القدير ، وتصريحهم بالإثم لمن ترك الجماعة مع أنها سنة مؤكدة على الصحيح وكذا في نظائره لمن تتبع كلامهم ولا شك أن الإثم مقول بالتشكيك بعضه أشد من بعض فالإثم لتارك السنة المؤكدة أخف من الإثم لتارك الواجب</div><div>(البحر الرائق ( 1 / 319 ))</div><div>"মাযহাবের ইমামদের কথা থেকে স্পষ্ট যে, ওয়াজিব তরকে গুণাহ হয়। আর বিশুদ্ধমতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরকেও গুণাহ হয়। যেহেতু ইমামগণ স্পষ্ট করেছেন যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সুন্নাত(মুয়াক্কাদাহ) নামাযগুলি ছেড়ে দেয়া গুণাহ। যদিও কেউ কেউ গুণাহ হয় না বলেছেন। তবু বিশুদ্ধ হচ্ছে, গুণাহ হয়। যেমনটা আছে 'ফাতহুল কাদীর' গ্রন্থে। ইমামগণ, নামাযের জামাত ব্যাপারেও স্পষ্ট করেছেন যে, এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং তরক করলে গুণাহ। এভাবে অনুসন্ধানকারীর জন্য আরো উদাহরণ রয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে গুণাহর পরিমাণ অনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত। এক গুণাহ অপর গুণাহর চাইতে মারাত্মক। তবে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরকের গুণাহ ওয়াজিব তরকের গুণাহর চাইতে হালকা।"</div><div>(আল বাহরুর রায়েক, ১/৩১৯)</div><div><br /></div><div>* ফতোয়ায়ে শামীর লেখক বলেন,</div><div>ﻛﺎﻧﺖ اﻟﺴﻨﺔ اﻟﻤﺆﻛﺪﺓ ﻗﺮﻳﺒﺔ ﻣﻦ اﻟﻮاﺟﺐ ﻓﻲ ﻟﺤﻮﻕ اﻹﺛﻢ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺒﺤﺮ</div><div>"সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সমূহ গোনাহ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ওয়াজিবের নিকটতম। যেমনটা রয়েছে 'আল বাহরুর রাইক' গ্রন্থে।"</div><div>(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/১২)</div><div><br /></div><div>তিনি আরো বলেন,</div><div>«والسنة نوعان: سنة الهُدى، وتركها يوجب إساءة وكراهية كالجماعة والأذان والإقامة ونحوها. وسنة الزوائد، وتركها لا يوجب ذلك كسِيَر النبي عليه الصلاة والسلام في لباسه وقيامه وقعوده».</div><div>"সুন্নাত দুই প্রকার। এক. সুন্নাতে হুদা(মুয়াক্কাদাহ), এটি ছেড়ে দেয়া গুণাহ ও মাকরুহ। যেমন- জামাআত, আযান, ইকামাত ইত্যাদি। আর আরেকটা হচ্ছে, সুন্নাতে যায়েদাহ। যা ছেড়ে দেয়া মুয়াক্কাদাহর মত নয়। যেমন- পোশাক, উঠা-বসাতে প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ।"</div><div>(রদ্দুল মুহতার, ১/১০৩)</div><div><br /></div><div>ফতোয়ায়ে আলমগিরীতে বলা হয়েছে,</div><div>ﻭﺍﻥ ﺭﺁﻫﺎ ﺣﻘﺎ ﻓﺎﻟﺼﺤﻴﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺄﺛﻢ، ﻷﻧﻪ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﻮﻋﻴﺪ ﺑﺎﻟﺘﺮﻙ، ﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﻣﺤﻴﻂ ﺍﻟﺴﺮﺧﺴﻰ، ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ - 1/112</div><div>''তবে কেউ যদি সুন্নতকে(সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ) সত্য মানে, কিন্তু অলসতা করে ছেড়ে দেয়, তবে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- গুনাহগার হবে। যেহেতু এটি ছাড়ার ব্যাপারে সাবধানবাণী এসেছে। যেমনটা আছে ইমাম সারাখসী র. 'র মুহীত্ব গ্রন্থে।"</div><div>(ফতোয়ায়ে আলমগিরী, ১/১১২)</div><div>এছাড়া</div><div>ইমাম বুরহানুদ্দীন বুখারী আল হানাফী র. বলেন, </div><div>برهان الدين البخاري الحنفي: «الجماعة سنة لا يجوز لأحد التأخر عنها إلا بعذر، والأصل فيه قوله عليه السلام: ((لقد هممت أن آمر رجلًا يصلي بالناس وأنظر إلى أقوام تخلفوا عن الجماعة فأحرق بيوتهم))، ومثل هذا الوعيد إنما يلحق تارك الواجب أو تارك السنّة المؤكدة»</div><div>(المحيط البرهاني 1/ 428)</div><div>'নামাযের জামাত সুন্নাত(মুয়াক্কাদাহ)। বিনা ওযরে এটি ছেড়ে দেয়া জায়েয নয়। এর ভিত্তি রসূলেপাকের এই উক্তি- "ইচ্ছা হয় যে, কাউকে নামায পড়াতে দিয়ে আমি গিয়ে দেখবো কারা কারা জামাতে আসেনি। অতঃপর তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেব।" এরূপ ভীতিপ্রদর্শন কেবল ওয়াজিব বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরককারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।'</div><div>(আল মুহীত্বুল বুরহানী, ১/৪২৮)</div><div><br /></div><div>অবশ্য ভিন্নমতও আছে।</div><div>যেমন-</div><div>* আল্লামা জুরজানী রাহ বলেনঃ</div><div>ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎت، ص 138)</div><div>এর হুকুম ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ পড়া জরুরী। তবে পার্থক্য হচ্ছে, ওয়াজিব তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবে, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবে না।(অর্থাৎ গুণাহ হবে না।)</div><div>(আত তা'রীফাত, পৃ.-১৩৮)</div><div><br /></div><div>* ইমাম কাহাস্তানী র. বলেন,</div><div>حكمها كالواجب في المطالبة في الدنيا إلا أن تاركه ( أي تارك الواجب ) يعاقب و تاركها ( أي السنة المؤكدة )لا يعاتب اهـ .</div><div>"দুনিয়াবি গুরুত্বের দিক দিয়ে এর হুকুম ওয়াজিবের মত। পার্থক্য হচ্ছে, ওয়াজিব তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবে, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরককারীকে শাস্তি দেয়া হবে না।"</div><div>(হাশিয়াতুত ত্বহাবী, পৃ.-৬৪)</div><div><br /></div><div>অতএব ইচ্ছা করলেই বিনা ওযরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়া কোনো কাজের কথা নয়। যেহেতু </div><div>প্রথমতঃ এর আবশ্যকতার ব্যাপারে সবাই একমত যে, ওয়াজিবের মত। </div><div>দ্বিতীয়তঃ গ্রহণযোগ্য মতে, এতে গুণাহ হবে।</div><div><br /></div><div>~ ফা লা ক্ব</div>

বিনা ওযরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়লে কি গুণাহ হবে?

বিনা ওযরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছাড়লে কি গুণাহ হবে? যেমন- তারাবীহ। --------স্বাধীন  (হানাফী ফিক্বহ অনুসারে) গ্রহণযোগ্য মতে, গুণাহ হবে। যেমন- ...

Read more »

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম pdf

<p> <b style="color: #666666; font-family: sans-serif; font-size: 12px;"><span style="background-color: white;">📚 দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম [</span></b><b style="color: #666666; font-family: sans-serif; font-size: 12px;"><span style="color: #339966;"><a href="https://mega.nz/#!ARhVyKoL!PjRa87s4HB2He1YK4K6dUBe658tAM2LOpUeNNXU3B28" style="color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">ডাউনলোড</a>]</span></b></p><div dir="ltr" style="background-color: #ececec; color: #666666; font-family: SolaimanLipi; font-size: 12px; font-weight: 700;"><div style="font-family: sans-serif;"><span style="font-size: small;"><b style="background-color: white;"><img height="400" loading="lazy" src="https://i1.wp.com/sunnibangla.com/wp-content/uploads/2017/08/doinondin_jibone_islam.jpg?zoom=2.75&resize=205%2C299&ssl=1" style="border: 1px solid rgb(218, 216, 216); height: auto; max-width: 90%; padding: 4px; transition: opacity 0.2s ease-out 0s;" width="273" /></b></span></div></div>

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম pdf

  📚 দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম [ ডাউনলোড ]

Read more »

ফয়যানে সুন্নাত Pdf

<p> <b style="color: #666666; font-family: sans-serif;">📚 ফয়যানে সুন্নাত [</b><a href="https://mega.nz/#!RcQzGSZR!gTCEacj7_CJX_Ch0CZNL2pGxHcsh1dOoDNXCo8IL5mE" style="color: #01b8c0; font-family: sans-serif; font-size: 12px; font-weight: 700; text-decoration-line: none;"><b><b>ডাউনলোড</b></b></a><b style="color: #666666; font-family: sans-serif; font-size: 12px;"><b>]</b></b></p><div dir="ltr" style="background-color: #ececec; color: #666666; font-family: sans-serif; font-size: 12px; font-weight: 700;"><b><span style="background-color: white;">মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াছ আত্তার কাদেরী রযবী (মা.জি.আ)</span></b></div><div dir="ltr" style="background-color: #ececec; color: #666666; font-family: sans-serif; font-size: 12px; font-weight: 700;"><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6Rk8Rkb8nNrkTexXJDGDGbi6OHQ9bsk1PevuHzh8XZ1fu5Lz3cUAUFrGgQrLHBIHWNWy9YQ9tIKhDZNK2c10Sm3EZ7zHrazaoNiO7vi8Zx9KN930pqqPb9klRtxrSvAd31G84GWuHOEplboa7rumdUdwIm7NksLLU7OnTTCvcrqJFw0kox_Args0d/s659/images%20(4).jpeg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="659" data-original-width="465" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6Rk8Rkb8nNrkTexXJDGDGbi6OHQ9bsk1PevuHzh8XZ1fu5Lz3cUAUFrGgQrLHBIHWNWy9YQ9tIKhDZNK2c10Sm3EZ7zHrazaoNiO7vi8Zx9KN930pqqPb9klRtxrSvAd31G84GWuHOEplboa7rumdUdwIm7NksLLU7OnTTCvcrqJFw0kox_Args0d/s320-rw/images%20(4).jpeg" width="226" /></a></div><br /><span style="background-color: white;"><br /></span></b></div>

ফয়যানে সুন্নাত Pdf

  📚 ফয়যানে সুন্নাত [ ডাউনলোড ] মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াছ আত্তার কাদেরী রযবী (মা.জি.আ)

Read more »