বাদশাহ হারুনুর রশীদ ইসলামী সম্রাজের বড় বাদশাহ ছিলেন। একদিন বাদশাহের এর সাথে তার স্ত্রীর সাথে একবার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী বাদশাহকে বলল, তুমি জাহান্নামি। বাদশাহ রেগে গিয়ে বলল, আমি জাহান্নামি হলে তুমি ৩ তালাক। এখন দুইজনই বিমুর্ষ হয়ে গেল। এবার বাদশাহ রাজ্যের সব আলেমদের ডাকলেন। বাদশাহ আলেমদের বললেন, তোমরা আমি জান্নাতী এটা প্রমাণ কর অথবা আমার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে এটা প্রমাণ কর। তখনকার যুগের আলেমরা কোরআন, হাদিস নিয়ে গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত থাকত।অনেকদিন হয়ে গেল আলেমরা কোন সমাধান দিতে পারল না। শেষ মেষ একদিন বাদশাহ বলল, এই সমস্যার সমাধান দিতে না পারলে তোমাদের কারো চাকরি থাকবে না।বাদশাহ একদিন ফজরের নামাজের পর সব আলেমদের নিয়ে বসল। আলেমরা কেউ কোন সমাধান দিতে পারছে না। বাদশাহ এখন রাগান্বিত হয়ে বললেন, আপনাদের আর কারো চাকরি আজকে থেকে থাকবে না। এই মুহূর্তে ৭ বছরের একজন ছোট বালক দাড়িয়ে গেল এবং বাদশাহ আমি যদি সমাধান দিতে পারি তাহলে সকল আলেমদের চাকরি থাকবে? বাদশাহ বলল, হ্যাঁ থাকবে।তখন বালক বলল, তাহলে আপনি মিম্বর থেকে নামেন।আমি মিম্বরে উঠব।বালক তখন মিম্বরে উঠল এবং বাদশাহকে জিজ্ঞেস করল আপনি জীবনে কোনদিন আল্লাহর ভয়ে কোন গুনাহের কাজ থেকে ফিরে এসেছেন কিনা? বাদশাহ চিন্তা করতে লাগল এবং বলল, একদিন আমার চাচাত বোনের সাথে একান্তে সময় পার করার সুযোগ হয়েছিল।আমি যখন গুনাহের কাজে লিপ্ত হব ওই সময় আল্লাহর ভয় আমার মনে জাগ্রত হল এবং আমি গুনাহ থেকে ফেরত আসলাম। তখন ওই বালক বলে উঠল, আপনি ২ টা জান্নাতের অধিকারী হবেন এবং আপনার স্ত্রীও তালাক হয় নি। কারণ আল্লাহ পাক কোরান মাজিদে সুরা আর রহমানের ৪৬ নং আয়াতে বলেন, وَ لِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ جَنَّتٰنِ
"আর যে তার প্রতিপালকের সম্মুখে(সাক্ষাতের জন্য) উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্য র‍য়েছে, দুইটি উদ্যান(জান্নাত)।"
৭ বছরের ওই বালকটি ছিল শাফেয়ী মাযহাবের ইনামা আবু ইদ্রিস শাফেয়ী(রহঃ)।
Top