বাহারে শরিয়ত

(৫ম খন্ড)

 

 

                                     

 

 

 

 

 

 

মূল:

সদ্রম্নশ শরিয়ত, বদরূত তরীকাত, আল্লামা

মুফতি আমজাদ আলী আ’যমী (রহঃ)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রকাশনায়

 

সাকলাইন প্রকাশন, বাংলাদেশ।

 

 

 

বাহারে শরিয়ত

(৫ম  খন্ড, রোযা ও যাকাত পর্ব)

 

মূল:

সদ্রম্নশ শরীয়ত, বদরূত তরীকত, আল্লামা মুফতি আমজাদ আলী আ‘যমী (রহঃ)।

 

ফিকহ (অংশ) অনুবাদক মন্ডলী:

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লা

মাওলানা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আশরাফী

মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আবদুল আজিজ রজভী

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কারিম

মাওলানা হাফিয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

 

হাদিস অংশ অনুবাদ এবং সম্পাদনায়:

মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর

প্রকাশক, সাকলাইন প্রকাশন, বাংলাদেশ।

 

গ্রন্থস্বত্ত্ব: প্রকাশক কর্তৃক সংরক্ষিত।

প্রথম প্রকাশ: ১০/০৭/২০২০ ইং রবিবার।

শুভেচ্ছা মূল্য: ২৪০/=

প্রকাশনায়: সাকলাইন প্রকাশন, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

ফেইসবুক পেইজ: সাকলাইন প্রকাশন

 

যোগাযোগ: দেশ-বিদেশের যে কোন স্থানে বিভিন্ন সার্ভিসের মাধ্যমে কিতাবটি সংগ্রহ করতে যোগাযোগ- মোবাইল: 01723-933396-01973-933396

 

 

সূচিপত্র

অনুবাদকদের কথা/

প্রকাশক ও সম্পাদকের কথা/

যাকাতের বর্ণনা/

কোরআনের আলোকে যাকাত/

হাদিসের আলোকে যাকাতের বর্ণনা/

ফিক্হী মাসায়েল/

যাকাত ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলী/

(১) মুসলমান হওয়া/

(২) বালেগ হওয়া/

(৩) বিবেকবান হওয়া/

(৪) আযাদ হওয়া/

(৫) নিসাব পরিমাণ সম্পদ তার মালিকানায় হওয়া/

(৬) পূর্ণভাবে মালিক হওয়া/

(৭) নিসাব ঋণমুক্ত হওয়া/

(৮) নিসাব প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক সামগ্রী থেকে মুক্ত হবে/

(৯) মালে নামী বা বর্ধনশীল হতে হবে/

(১০) বছর অতিবাহিত হওয়া/

সাইমা বা বিচরণকারী পশুর যাকাতের বিবরণ/

উটের যাকাতের বর্ণনা/

রূর যাকাতের বিবরণ/

ছাগলের যাকাতের বিবরণ/

বাণিজিক্য স্বর্ণ রৌপ্যের মালামালের যাকাতের বিবরণ/

স্বর্ণের নিসাবের বর্ণনা/

ঋণের যাকাত প্রসঙ্গে জরূরী মাসায়েল/

আশেরের বর্ণনা/

খনি ও গুপ্তধনের বর্ণনা/

কৃষিপন্য ও ফল ফলাদির যাকাতের বর্ণনা/

ফিক্হী মাসায়িল/

মালের যাকাত কাদেরকে দেয়া যায়/

যাকাতের খাত বর্ণনা/

সাদকায়ে ফিতরের বর্ণনা/

ফিকহী মাসায়েল/

সাদকায়ে ফিতরার পরিমাণ/

ভিক্ষা করা কার জন্য হালাল আর কার জন্য হালাল নয়/

নফল সাদকা সমূহের বর্ণনা/

হাদিসের আলোকে নফল সাদকার গুরূত্ব/

রোজার বর্ণনা/

হাদিসের আলোকে সিয়াম’র তাৎপর্য/

ফিকহি মাসায়েল/

রোজার সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ/

চাঁদ দেখার বর্ণনা/

চাঁদ দেখার শরয়ী বিধান/

টেলিগ্রাফ ও টেলিফোনে চাঁদ দেখার সংবাদের শরয়ী বিধান/

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না /

রোজা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের বর্ণনা/

রোজাবস্থার হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট, সুরূট ইত্যাদি পান করার মাসআলা/

এসব অবস্থাদির বর্ণনা যেসব ক্ষেত্রে শুধু কাযা আবশ্যক হয়/াওেবভাককককারমও

যে অবস্থায় কাফ্ফারা ও আবশ্যক হয়/

রোজার মাকরূহ সমূহের বর্ণনা/

সেহরী ও ইফতারের বর্ণনা/

হাদিসের আলোকে ইফতারের দোয়া/

যেসব অবস্থায় রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে/

নফল রোজার ফযিলত/

পয়েন্ট নং-১: আশুরা অর্থাৎ মহররমে রোজা এবং মহররমের নবম তারিখের রোজা রাখা উত্তম/

পয়েন্ট নং-০২: আরাফাতের অর্থাৎ জিলহজ্বের নবম তারিখের রোজা/

পয়েন্ট নং-৪: শাবানের রোজা এবং শবে বরাত তথা শাবানের ১৫ তারিখে ফযিলত/

পয়েন্ট নং-৫: প্রত্যেক মাসের তিন রোজা বিশেষ করে আইয়্যামে বীজ তথা মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখা/

পয়েন্ট নং-৬: সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা/

পয়েন্ট নং-৭: অন্য দিন সমূহে রোজা/

মান্নতের রোজার বর্ণনা/

মান্নাত ছয় প্রকার হতে পারে/

ই‘তিকাফের বর্ণনা/

ই‘তিকাফের ফিকহী আহকাম/

ই‘তিকাফের প্রকারভেদ ও বিধান/

ই‘তিকাফ সম্পর্কিত ছত্রিশটি মাসায়েল/

 


অনুবাদকদের কথা

বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ল্লাহ তা’য়ালার দরবারে অগণিত শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য ‘বাহারে শরিয়ত’র মতো একটি অনবদ্য ফিকহিগ্রন্থের অনুবাদ আমাদের কতিপয় ক্ষুদ্র মানুষদের করার তাওফিক দান করেছেন। বেহদ-বেশুমার দরূদ ও সালামের নাযরানা পেশ করছি, সে মহান নাবিজি সারওয়ারে কায়িনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার আলিশান দরবারে পাকে। যে নাবির বরকতময় যবানপাক থেকে পবিত্রতা অর্জনের বিধানাবলি জানার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্বরণ করছি, ভারত বর্ষের খ্যাতিমান মহাপুরূষ, বিশ^বরেণ্য মুফতি, হুযুর আল্লামা আমজাদ আলী আলাইহির রাহমাহকে যিনি ‘বাহারে শরীয়ত’র মতো এতো বড়ো গ্রন্থ রচনা করে মুসলিম মিল্লাতের প্রতি অশেষ দয়া করেছেন।

প্রিয়পাঠক! খ্যাতিমান লেখক মুফতি আমজাদ আলি আ‘যমির লিখিত বহু কিতাবের মধ্যে ‘বাহারে শরিয়ত’ কিতাবটি অসম্ভব গুরূত্বপূর্ণ ও বেশ প্রয়োজনীয় কিতাব। সহজ-সরল ও প্রাঞ্জলতায় ভরপুর উর্দু ভাষার উপর রচিত যতোসব ফিকহি কিতাব রয়েছে তৎমধ্যে এই কিতাবটিই খুবই গ্রহণীয় ও নির্ভরযোগ্য। যে কিতাবের প্রশংসা স্বয়ং আ‘লা হযরত (রহঃ) নিজে করেছেন। যেখানে ইসলামি শরিয়তের জটিল-কঠিন মাসআলা-মাসায়িলগুলোকে সহজবোধ্যভাবে উলেস্নখ করা হয়েছে। যা যুগযুগধরে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রত্যেত্ত অঞ্চলের আলিম-ওলামা থেকে শুরূ করে বিভিন্ন গবেষকদের কল্যাণ সাধন করে আসছে।

সমানভাবে সকলে উর্দুভাষায় পারদর্শী না হওয়ায় কিতাবটির ফায়দা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকে। এসবের বিবেচনায় এই কিতাব অনুবাদ করা যুগের উলেস্নখযোগ্য চাহিদা মনে করে কাজটি হাতে নিই। অনুবাদের মতো একটি জটিল কাজ আল্লাহ ও রাসূলের মেহেরবানিতে সম্পাদন করতে সক্ষম হই। প্রকাশকের গুরূত্বপূর্ণ দায়িত্বও গ্রহণ করেন, সাকালাইন প্রকাশন। এবং প্রখ্যাত লেখক মাওলানা শহিদুল্লাহ বাহাদুরের সফল প্রচেষ্টাই এতে যোগ করা হয়েছে হাদিসের মূল ইবারাত ও প্রয়োজনীয় তাখরিজ। যা বহু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও মহতী কাজটি সম্পাদনের কারণে পাঠককে অন্যরকম কল্যাণ দেবে; উপকৃত হবে বাংলা ভাষাভাষী সবধরনের গবেষকগণও।

এ পুরো খন্ড-ই গ্রন্থকার (রহঃ) রোযা, যাকাত এবং ই’তিকাফসহ বিসত্মারিত আলোকপাত করেছেন।

অনুবাদের ক্ষেত্রে আমরা মাকতুবাতুল মাদিনা, করাচী, পাকিসত্মান এর ছাপাকে অনুসরণ করেছি। বাহারে শরিয়তের এই খন্ডটিও বরাবরের মতো নির্ভুল ও একটি সর্বাধুনিক অনুবাদ করার জন্যে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রম্নটি ছিলো না বললেও চলে। কিন্তু এতদাসত্বেও ভুল-ভ্রম্নটি রয়ে যাওয়াটা খুবই অস্বাভাবিক কিছু নয়। অতএব, উলেস্নখযোগ্য কোনো বিচ্যুতি যদি কারো নযরে পড়ে প্রকাশক বরাবর জানালে, আগামীতে সংশোধন করে দিবেন। ইনশা আল্লাহ!

অনুবাদক মন্ডলী:

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লা

মাওলানা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান আশরাফী

মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আবদুল আজিজ রজভী

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কারিম

মাওলানা হাফিয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

 

 

 

 

 

 

 


প্রকাশক ও সম্পাদকের কথা

মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে শুকরিয়া ও সিজদা আদায়ের পর দরূদ ও সালামের অগণীত নাযরানা পেশ করছি মানবতার মুক্তির একমাত্র দূত হুযূর নাবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার বরকতময় চরণযুগলে। অতিব ভক্তি ও ভালোবাসার সাথে স্বরণকরি সেসব মহাত্না সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের যাঁদের প্রতিটি আকায়িদ ও আমাল আমাদের জন্যে মুক্তির পাথেয়।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! সর্বপ্রথম ঈমান-আক্বিদা বিষয়ক জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরযে আইন। অতঃপর দ্বীনের অন্যান্য জরূরী জ্ঞান শিক্ষা করা ফরয। সে জ্ঞানকে ইলমে ফিকহ বলা হয়।

প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন সদ্রম্নশ শরিয়ত বদরূত ত্বরিকত আল্লামা মুফতি আমজাদ আলী (রহঃ) দরজাত বুলন্দির লক্ষ্যে বিনম্র চিত্তে মাওলায়ে কায়িনাতের মহান দরবারে পাকে দোয়া করছি। যিনি অত্যন্ত চিমত্মা-গবেষণার মাধ্যমে ‘বাহারে শরিয়ত’ নামক উর্দু কিতাবটি রচনার মাধ্যমে আমাদেরকে প্রজন্মের জন্য একটি জীবন্ত গাইড লাইন উপহার দিয়েছেন।

প্রিয়পাঠক! মুসলিম মিল্লাতের জন্য সর্বযুগে গুরূত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসলামের সঠিক আকিদা। আকিদা ছাড়া কোনো ইবাদাত আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার আশা করা যায় না। এজন্য উক্ত গ্রন্থাকার প্রথম খন্ড- তিনি আক্বিদার আলোচনা করেছেন। আক্বিদা শুদ্ধ হওয়ার পরই আমলের গূরূত্ব অপরিসীম। তাই তিনি আমল এবং ফিকহী সকল বিধি-বিধান সংক্রান্ত বিষয়ের আলোকপাত করেছেন।

বাতিল বা ভ্রান্ত মতবাদ বিরোধী সেই রকম মুজাহিদদের অন্যতম, সদ্রম্নশ শরিয়ত বদরূত ত্বরিকত আল্লামা মুফতি আমজাদ আলী (রহঃ) এর ‘বাহারে শরিয়ত’ কিতাবটি আমার অনেক স্বপ্নের একটি চমৎকার কিতাব। এই কিতাবটি পড়লে যে কোনো ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত সকল বিষয়ের সমাধান পাবেন ইনশা আল্লাহ। গ্রন্থটি ২০ খন্ড- সমাপ্ত। আমি অনুবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে মাকতুবাতুল মাদিনা, করাচী, পাকিসত্মান এর ছাপাকে অনুসরণ করেছি।

আমি আগ্রহী হলাম কিতাবটি অনুবাদ প্রকাশ করার জন্য। যেহেতু আমি অনুবাদের প্রতি মনোনিবেশ করি না, তাই আমি আমার সাথে সুপরিচিত কতিপয় অনুবাদকদের সহযোগিতা কামনা করি। তারা শত ব্যসত্মতার মধ্য দিয়েও সকল খন্ড-র ফিকহী অংশের পান্ডুলিপি তৈরী করে আমাকে দেন। গ্রন্থাকার (রহঃ) এ কিতাবে প্রত্যেক বিষয়ের ফিকহী আলোচনা করার পূর্বে হাদিসে পাক উলেস্নখ করেছেন। বিশেষকরে প্রথম খন্ড থেকে শুরূ করে ২০তম খন্ড পর্যন্ত গ্রন্থের অর্ধেকের কাছাকাছি তিনি হাদিসে পাকই উলেস্নখ করেছেন। তাই আমি অধম নিজে হাদিসের অংশের অনুবাদের দায়িত্ব নেই, আর বাকি শুধু ফিকহী অংশকে অনুবাদকদের অনুবাদ করার দায়িত্ব অর্পন করি, যেন কাজটি খুব দ্রম্নত এবং গবেষণামূলক হয়। বর্তমানে পৃথিবীর ভয়ংকর ফিতনা হচ্ছে সালাফী তথা আহলে হাদিস, তারা প্রিয় নবীর অসংখ্য নির্ভরযোগ্য সনদ বিশিষ্ট হাদিসে পাককে যঈফ জাল বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাই এ কিতাবটি যেহেতু হানাফী ফিকহের উপরে লিখিত সেহেতু আমি এ গ্রন্থে উলিস্নখিত সহীহ বুখারী-মুসলিম ব্যতিত যে হাদিসে পাক বর্ণিত হয়েছে তার প্রত্যেকটি সনদের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরেছি এবং যে হাদিসগুলোর সনদকে আলবানী যঈফ-জাল বলেছেন সেগুলোর দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। গ্রন্থাকার (রহঃ) এ কিতাবে যে সকল বিষয়ের ফিকহী আলোচনার পূর্বে যে সকল হাদিসে পাক এনেছেন সেগুলোর স্বপক্ষে থাকা ভিন্ন সনদের আরোও অনেক হাদিসে পাক আমি হাশিয়ায় উলেস্নখ করেছি। এগুলো করার এক মাত্র কারণ হলো আহলে হাদিসদের মুখোশ উন্মোচন, নিজেকে বড় প--ত সাজানোর জন্য নয়।

দাওয়াতি ইসলামীর প্রকাশনা বিভাগ ‘মাকতুবাতুল মাদিনা’ মজলিস বোর্ডের অনুকরণে গ্রন্থকার (রহঃ) এ কিতাবটির অধিকাংশ মাসায়েল কোন ফিকহের কিতাব থেকে  চয়ন করা হয়ে তা টীকায় উলেস্নখ করা হয়েছে। কিতাবটির ফিকহী অংশ একাধিক অনুবাদক করার কারণে ভাষা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে, তারপরও আমার শ্রদ্ধেয় মাওলানা মুফতি আবদুল আজিজ রযভি সকল খন্ড-র ভাষার মিল রাখার চেষ্টা করেছেন। তবুও সব মিলিয়ে অনুবাদ ও শব্দ গাঁথুনির কারিশমা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে বলে আশাবাদি।

খন্ড- গ্রন্থকার (রহঃ) রোযা, যাকাত এবং ই’তিকাফ সংক্রান্ত বিষয়ে সুবিসত্মারে আলোকপাত করেছেন। বিশেষ করে নফল রোযা, নফল সাদকা, চলার সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করার নিন্দা এবং ই’তিকাফের বিধি-বিধান পর্যন্ত বিষয়গুলোর সুবিসত্মারে আলোকপাত করেছেন।

আমি একজন প্রকাশক ও সম্পাদকের ভূমিকায় কিতাবটি নিপূণতার লক্ষ্যে বহু-চেষ্টা করেছি। অজানা বশত: গ্রন্থের কোনো জায়গায় যদি উলেস্নখযোগ্য ত্রম্নটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে সরাসরি আমাকে জানাবেন অথবা আমাকে মেইল করতে পারবেন। আপনার জন্যে দোয়া করবো। পরবর্তী প্রকাশের সময় বিশুদ্ধ করে দেবো। ইনশাআল্লাহ!

প্রিয় পাঠক! আশা করি, দীর্ঘ এই (অনূদিত) পুসত্মকটি পরোপুরি পড়লেই সফলতার মুখ দেখবে আমাদের পরিশ্রম।

       আরজগুজার

   মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর

                          প্রকাশক, সাকলাইন প্রকাশন, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।

                             ইমেইল: sbahadur1998@gmail.com

Top