শিশুকালটাই সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ার সঠিক সময়। এই সময়টাই তার শিক্ষার সময়। যা দেখে, যা শোনে তা-ই সে খুব সহজে রপ্ত করে ফেলে। সুতরাং, এই সময়টাতে সবচে বেশি সতর্ক থাকা উচিত অভিভাবকদের যে– বাচ্চা কি শিখছে? তাকে তার বাচ্চামি'তে ছেড়ে দিয়ে, বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গেলে হয়তো একটা সময় দেখা যাবে, সে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।
বর্তমানে বাচ্চাদের পরম-বন্ধু হলো কার্টুনের চরিত্রগুলো। তারা সারাদিন সেই ভার্চুয়াল জগতেই বুদ হয়ে থাকতে ভালোবাসে। যার আসলেই বাস্তবের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। মারামারি, অস্ত্র-শস্ত্রের অবাস্তব ব্যবহারে ভরপুর কার্টুনগুলো বাচ্চাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তারাও যেন কার্টুনের মতোই আচরণ শুরু করে। বাচ্চারা ভার্চুয়াল জগতটাকেই আসল বলে ধারণা করতে শুরু করে।
সুতরাং খোঁজতে হবে এখন বিকল্প পদ্ধতি। দাওয়াতে ইসলামী 'কিডস মাদানী চ্যানেল' নামে ইউটিউব চ্যানেল উপহার দিয়েছে। যেখানে কার্টুনের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে প্রিয় নবীর সুন্নাত শিখানো হয়, পড়াশুনার প্রতি উৎসাহিত করা হয়, বাবা-মা'র আনুগত্যের শিক্ষা দেয়া হয়। যা বাচ্চারা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে, যা স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার। কার্টুনগুলো বাংলা, ইংরেজী এবং উর্দুসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মজুদ আছে। খুব শীঘ্রই 'কিডস মাদানী চ্যানেল' নামে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল শুরু করারও পরিকল্পনা প্রস্তাবিত আছে।
যেহেতু বাচ্চারা কার্টুনের চরিত্রগুলো বাচ্চারা সহজেই গ্রহণ করে, সেহেতু সুযোগটাকে কাজে লাগানো যেতে পারে সুন্দরভাবে। 'কিডস মাদানী চ্যানেল' এর জনপ্রিয় চরিত্র– গোলাম রাসূল আর কানিয ফাতিমা নামের চরিত্র দু'টি দর্শক শিশুগুলোর কোমল হৃদয়ে সহজেই দাগ কেটে নিয়েছে। ফলে এর মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলতে পারেন ইসলামি তালিমাত মোতাবেক। সে যদি গোলাম রাসূল আর কানিয ফাতিমা'র চরিত্রগুলো নিজের মধ্যে গ্রহণ করে নেয়, নিঃসন্দেহে আপনার সন্তান বড় হবে ইসলামী পরিবেশ এর মধ্যে। সু-শিক্ষা নিয়ে।
– স্বাধীন আহমেদ আত্তারী