মন খারাপের মুহুর্তগুলোতে বুঝে উঠা যায় না কি করব? এতো-এতো পেরেশানির সমাধান কিসে? বান্দা খোঁজে ফিরে প্রশান্তি মূলমন্ত্র। কড়া-নাড়ে কতো শত ঠিকানায়।
ইউটিউব-গুগলের সহায়তায় অনেকেই অনেক প্রকারের মোটিভেশান নিতে নিতে ঝুলি তো ভরে যায়, কিন্তু মনটা আর কিছুতেই ভরে ওঠে না। কি করা উচিত এই অস্থিরতার বেড়াজাল থেকে বের হতে? আসুন এই পরিস্থিতিতে তাঁকে অনুসরণ করি, যিনি স্বয়ং আল্লাহর হাবীব। তাঁর কাছেই আছে এর যথোপযুক্ত সমাধান।
আমাদের প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থার সম্মুখীন হতেন, তখন নামাজে মশগুল হয়ে যেতেন। কারণ সকল দোয়া-যিকর এর পরিপূর্ণতা দানকারী এই নামাজ। এর বরকতে পেরেশানির ঝড়ে পাতাশূন্য হয়ে যাওয়া হৃদয় বৃক্ষে পুনঃ প্রশান্তির নতুন কুড়ি জন্ম নেয়। হুযুর কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করতেন– হে বিলাল! আমাকে নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি পৌঁছাও। অর্থাৎ আযান দাও, যাতে আমি নামাজে মশগুল হয়ে যাই এবং আমার প্রশান্তি অর্জন হয়। [১] এই নামাজকে আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চোখকের শীতলতা বলেছেন।
আহ! হয়তো এই নামাজের সাথে আমাদের তৈরী হওয়া দূরত্বটাই আমাদের প্রশান্তির পথযাত্রায় অন্তরায়। হয়তো আমাদের রুহ ক্ষুধার্ত; তাঁর আর্তনাদ প্রকাশ হচ্ছে অন্তরের অস্থিরতার দ্বারা।
তাঁর প্রশান্তি তো শুধুই যিকরে ইলাহীতে। আসুন রুহের খোরাকের জোগান দেই যদি প্রশান্ত হৃদয় চাই। আমাদের প্রশান্তি তালাশের ঠিকানা হোক– নামাজ।
Reference:
[১] মুজামুল কবীর, ৬/২৭৭।
~স্বাধীন আহমেদ আত্তারী